• সিরি আ
  • " />

     

    জুভেন্টাসকে শেষ মুহুর্তে জেতালেন দিবালা

    জুভেন্টাসকে শেষ মুহুর্তে জেতালেন দিবালা    

    শেষ বাঁশি বাজতে ১০ সেকেন্ডও বাকি নেই। ৯৩ মিনিটের মাথায় বক্সের একটু বাইরে বল পেলেন পাউলো দিবালা। লাৎসিওর লুইজ ফিলিপ তাকে আটকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছিলেন। তবে ফিলিপের দুই পায়ে মাঝে দিয়ে দারুণভাবে বল কাটিয়ে নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলেন দিবালা। ডিফেন্ডারদের বাধায় মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ালেন। আনন্দে ভাসল জুভেন্টাস, হতাশায় ডুবল লাৎসিও। দিবালার দুর্দান্ত এই গোলেই লাৎসিওকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরি আর লড়াইটা আরও জমিয়ে তুলল জুভেন্টাস।

     

     

     

    ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে যেতে পারত জুভেন্টাস। মিরালেম জানিকের ক্রসে মারিও মানজুকিচের হেডার গোলপোস্ট ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে জুভ কিপার জিয়ানলুইজি বুফনও ছিলেন ব্যস্ত, ঠেকিয়েছেন লাৎসিও ফরোয়ার্ডদের বেশ কয়েকটি শট। শুরুর দিকে কিছুটা অগোছালো জুভেন্টাস ডিফেন্স ধীরে ধীরে সামলে নিয়েছেন নিজেদের, কমেছে লাৎসিওর আক্রমণের সংখ্যাও। 

     

    প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটা এসেছিল স্যামি খেদিরার সামনে। বিরতির ঠিক আগে জানিকের কর্নার থেকে পাওয়া বলে গোলপোস্টের একবারে সামনে থেকেও গোল করতে পারেননি খেদিরা। খেদিরার মতো তুরিনের বুড়িদের অন্য ফরোয়ার্ডরাও হতাশ হয়েছেণ দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময়জুড়েই।

     

    লাৎসিওর জমাট রক্ষণভাগ ও দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ে কোনো আক্রমণই পূর্ণতা পাচ্ছিল না জুভেন্টাসের। পয়েন্ট খুইয়ে মাঠ ছাড়া থেকে যখন কয়েক সেকেন্ড দূরে দল, তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন দিবালা। এই সপ্তাহেই আর্জেন্টিনা স্কোয়াড থেকে বাদ পরা দিবালার একক কৃতিত্বেই ৯৩ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলের দেখা পায় জুভরা। সেই গোলেই কপাল পুড়েছে লাৎসিওর। এই মৌসুমে লিগে এটি দিবালার ১৫ তম গোল, দলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও এখন তিনিই। 

     

    এই জয়ে ২৬ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে জুভেন্টাস। অন্যদিকে কাল রোমার কাছে ৪-২ গোলে হেরেও ২৭ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নাপোলি।