আশরাফুল-তাসামুলের জোড়া সেঞ্চুরিতে জিতল কলাবাগান
অগ্রণী ব্যাংক ২৫২/৯, ৫০ ওভার (নাফিস ৯৯, আজমির ৫৮, রেহমান ৩/৩৪, মুক্তার ২/৪৩)
কলাবাগান ২৫৬/৫, ৪৮.৪ ওভার (তাসামুল ১০৬, আশরাফুল ১০২*, আল-আমিন ২/২৭, শফিউল ২/৪৭)
ফল- কলাবাগান ৫ উইকেটে জয়ী
আগের ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুল আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। আজ করলেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। প্রিমিয়ার লিগের এ মৌসুমে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তার, আগের সেঞ্চুরিতে অবশ্য জেতাতে পারেননি ম্যাচ। আগের চার ইনিংসে তাসামুল হকের সর্বোচ্চ ছিল ১৭ রান। আজ তিনিও করলেন সেঞ্চুরি। এ দুইজনের সেঞ্চুরিতে অনেক প্রতীক্ষার জয় পেয়েছে কলাবাগান। আর ৯৯ রানে আউট হয়ে সেঞ্চুরি-বঞ্চিত হওয়ার আক্ষেপটা ম্যাচ হেরে আরও বেড়ে গেছে অগ্রণী ব্যাংকের শাহরিয়ার নাফিসের।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল কলাবাগান, অগ্রণী ব্যাংকের দুই ওপেনার মুক্তার আলির আক্ষেপ বাড়িয়েছেনই কেবল। ২৬তম ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছে কলাবাগান, আকবর-উর-রেহমানের বলে সনজিত সাহাকে ক্যাচ দিয়েছেন ৬৬ বলে ৫৮ রান করা আজমির আহমেদ। তবে এরপর হতাশা বেড়েছে শুধু অগ্রণী ব্যাংকের, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা।
একপ্রান্তে নাফিস ছিলেন, ৪১তম ওভারে অফস্পিনার মাহমুদুল হাসানের বলে স্টাম্পড হয়েছেন ৯৯ রানে। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার ৯৯ রানে আউট হলেন এই ওপেনার, এর আগে নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়েছিলেন দুইবার।
৪র্থ থেকে ৯ম- এই ৬ উইকেট অগ্রণী ব্যাংক হারিয়েছে মাত্র ৪০ রানের ব্যবধানে। ওপেনারদের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়েও তাই ১৫২ রানের বেশি করা হয়নি তাদের। পাকিস্তানী পেসার রেহমান নিয়েছেন ৩টি উইকেট, মাহমুদুল ও মুক্তার ২টি করে।
২১ রানে ওপেনার জসিমউদ্দিনকে হারিয়েছে কলাবাগান, তবে এরপরই সে উইকেট হারানোর বেদনা ভুলিয়ে দিয়েছে ২য় উইকেটে তাসামুল-আশরাফুলের জুটি। দুইজন মিলে যোগ করেছেন ১৮৮ রান, শফিউলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে তাসামুল করেছেন ১২ চারে ১১৫ বলে ১০৬ রান।
৩২ রানের ব্যবধানে এরপর ৪ উইকেট হারিয়েছে কলাবাগান, তবে আশরাফুল ও তাইবুর সেটা গায়ে লাগাতে দেননি। রাজা দারকে টানা দুইটি চার মেরে পূর্ণ করেছেন সেঞ্চুরি, আর শফিউলের এক ওভারে দুই ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করেছেন তাইবুর। ১০ চারে ১৩৬ বলে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন আশরাফুল।
৭ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শুধু গাজী গ্রুপের ওপরে আছে এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ পাওয়া অগ্রণী ব্যাংক।