• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    শিরোপার সুবাস পাচ্ছে গার্দিওলার সিটি

    শিরোপার সুবাস পাচ্ছে গার্দিওলার সিটি    

    অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটের খেলা চলছে। দল এগিয়ে ১-০ গোলে। এমন সময় ডাগআউটে উত্তেজিত অবস্থাতেই হয়ত দেখা যাওয়ার কথা আর দশজন কোচকে। কিন্তু দুশ্চিন্তার বদলে স্মিত হাসি হেসেই বেঞ্চের ফুটবলারদের সাথে তখন রসিকতায় মেতেছিলেন পেপ গার্দিওলা। রেফারির শেষ বাঁশির পর গার্দিওলার সাথে হাসল গোটা ইতিহাদ স্টেডিয়াম। চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে চলে আসল ম্যানচেস্টার সিটি। গার্দিওলার দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন পর্তুগিজ উইঙ্গার বার্নার্দো সিলভা।

     

    গার্দিওলার সেই নির্ভার হাসির পেছনে অবশ্য কারণও ছিল। পুরোটা ম্যাচেই চেলসিকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলাই করেছে সিটি। বল দখল, গোলের সুযোগ তৈরী- সব দিক দিয়েই এগিয়ে ছিল ‘সিটিজেন’রা। বিশেষ করে অসুস্থতার কারণে মাঝ মাঠে এন’গোলো কান্তের অনুপস্থিতি চেলসিকে ভুগিয়েছে বেশ। কেভিন ডি ব্রুইন, ইলকে গুন্ডোয়ানদের সাথে পেরেই উঠেননি ড্যানি ড্রিঙ্কওয়াটার, সেস্ক ফাব্রেগাসরা। সিটির গোলে বলতে গেলে ঘুমিয়েই ম্যাচটি পার করেছেন এডারসন মোরায়েস। একবারও তাকে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি এডেন হ্যাজার্ডরা। প্রথমার্ধে গোলে একবারও শটই নিতে পারেননি তারা।  উল্টো লিরয় সানে, সার্জিও আগুয়েরোদের ঠেকাতে বেশ ভোগান্তিই পোহাতে হয়েছে চেলসিকে।

    প্রথমার্ধের ২০ মিনিটেই এগিয়ে যেত পারত সিটি। ডানপ্রান্ত থেকে সিলভার শট বারের একটু উপর দিয়ে চলে গেলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় চেলসি। তবে এর মিনিট ছয়েক পর আরেকটু হলেই লিডটা নিয়েই নিয়েছিল গার্দিওলার দল। ২৬ মিনিটে সানের শট চেলসি গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াকে পরাস্ত করলেও শটটি লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন সিজার অ্যাজপিলিকুয়েতা। ৪২ মিনিটে চেলসির আগুয়েরোর পাস থেকে বল চেলসির জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় নিকোলাস ওটামেন্ডির গোল।

     

    কিন্তু কন্তের সেই হাসি মিলিয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। ৪৬ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে ডেভিড সিলভার ক্রস থেকে কর্তোয়াকে পরাস্ত করেন বার্নার্দো। গোল হজম করে যেন আরও ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে চেলসি। উইলিয়ান, ফাব্রেগাস, হ্যাজার্ডদের কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি দলের প্রয়োজনে। আলভারো মোরাতা, ওলিভিয়ের জিরুদের বেঞ্চে বসিয়ে হ্যাজার্ডকে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলানোর ‘জুয়া’টা ফলপ্রসূ হয়নি কন্তের। উলটো ম্যাচের বাকিটা সময় প্রতি আক্রমণে খেলা সিটিই মূহূর্মূহূ কাঁপিয়ে দিচ্ছিল চেলসির রক্ষণভাগ। তবে গোলের সামনে আগুয়েরো, সানেদের নেতিয়ে পড়ায় লিডটা আর বাড়ান হয়নি তাদের। দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে সমতাসূচক গোলের আশায় জিরুকে নামিয়েও শেষরক্ষক হয়নি কন্তের। শেষ বাঁশির পর সিটির ফুটবলারদের উদযাপনই বলে দিচ্ছিল, প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার সুবাসটা যেন এখনই পাওয়া শুরু করেছে গার্দিওলার দল। শেষ ৯ ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট পেলেই প্রথমবারের মত ইপিএল শিরোপা ঘরে তুলবেন গার্দিওলা। এমন খেললে এখনই উদযাপন শুরু করে দিতে পারে সিটি!