শেষ ওভারে ১৬ রান নিয়ে জিতল প্রাইম ব্যাংক
প্রাইম দোলেশ্বর ২৮৬/৫, ৫০ ওভার (মার্শাল ১৩৫, ফজলে ৪৫, ফরহাদ ৬৭, নাহিদুল ১/২৬, ইউসুফ ১/১৯)
প্রাইম ব্যাংক ২৮৭/৯, ৪৯.৪ ওভার (মেহরাব ১০২, মেহেদি ৮২, সাজ্জাদুল ৫১, শরিফুল্লাহ ২/৪৭, আরাফাত সানি ২/৫১)
ফল- প্রাইম ব্যাংক ১ উইকেটে জয়ী
ফতুল্লা ও মিরপুরের মতো রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে বিকেএসপিতেও। শেষ ওভারে ১৬ রানের প্রয়োজনটা ২ বল বাকি থাকতেই মিটিয়ে ফেলেছে প্রাইম ব্যাংক, তাও আবার সেই ওভারেই তারা হারিয়েছে ২ উইকেট! আগের ম্যাচে টাইয়ের পর এবার শেষ ওভারে গিয়ে হারলো প্রাইম দোলেশ্বর।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দোলেশ্বর অবশ্য শুরুতে ধাক্কাই খেয়েছে। হুট করে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া লিটন যখন কলম্বোতে আলো ছড়াচ্ছেন, তখন ধুঁকছে দোলেশ্বরের টপ অর্ডার। ২৩ রানে দাঁড়িয়েই তারা হারিয়েছে ২ উইকেট- ২ ওপেনারকেই। সে ধাক্কা সামাল দিয়েছেন ফজলে মাহমুদের সঙ্গে মার্শাল আইয়ুব। ১২৪ রানের জুটি ভেঙেছে মাহমুদের রান-আউটে।
তবে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে ২য় সেঞ্চুরি পেয়েছেন আইয়ুব। ২০১৬ সালে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন, আজ ছাড়িয়ে গেছেন ১০৩ রানের সে ইনিংসকেও। ১২৮ বলে ১৪ চার ও ২ ছয়ে করেছেন ১৩৫ রান, ফজলের পর ফরহাদের সঙ্গে গড়েছেন ১৩২ রানের জুটি। ৪৯তম ওভারে আইয়ুব আউট হলেও ৫৩ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ফরহাদ অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে।
২৮৭ রানের লক্ষ্য, প্রাইম ব্যাংকের শুরুটা হলো দারুণ। মেহেদি মারুফ ও মেহরাব হোসেন জুনিয়রের ওপেনিং জুটিতেই এসেছে ১৪৭ রান। ৯০ বলে ৮২ রান করে আউট হয়েছেন মেহেদি, মেহরাব অবশ্য ঠিকই পেয়েছেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে ১০৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মেহরাবের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল অপরাজিত ৮৬ রানের। আজ ১২৫ বলে ১৩ চারে করেছেন ১০২ রান। মেহরাবের পর চারজন আউট হয়েছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই, বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুধু সাজ্জাদুল হক। ৭ নম্বরে নেমে তিনি করেছেন ৩৮ বলে ৫১ রান।
সাজ্জাদুল নামার সময় প্রাইম ব্যাংকের দরকার ছিল ৭৩ বলে ৯৪ রান। তার ইনিংসে রান-বলের ব্যবধান কমে এসেছিল, তবে ৪৯তম ওভারে ফরহাদ রেজা দিয়েছেন মাত্র ৪ রান! তাতেই প্রাইম ব্যাংকের চাপ বেড়ে গিয়েছিল অনেকগুণ।
শেষ ওভার করতে এসেছিলেন মামুন হোসেন, প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছেন মনির হোসেন। পরের বলে সাজ্জাদুল মেরেছেন ৬, তিনিও ক্যাচ দিয়েছেন তার পরের বলে। ৩ বলে দরকার ছিল ৯ রান, হাতে ছিল শুধু ১ উইকেট!
তবে শেষ ওভারে জোড়া সাফল্যের সুখস্মৃতি নিজেই ভুলিয়ে দিলেন মামুন, শরিফুলকে একটা ডাবলস দেওয়ার পরেই দিলেন নো, সেই নো-তে শরিফুল মারলেন ছয়। পরের বলটাও শরিফুল নো-ই করলেন, ২টি বৈধ ডেলিভারি বাকি থাকতেই জিতে গেল প্রাইম ব্যাংক!