স্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যেই চটেছিলেন ওয়ার্নার
ডি ককের সাথে সেই বাকবিতন্ডা নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রিবিন্দুতে ছিলেন। তদন্তের পর আইসিসির দেওয়া শাস্তিও মাথা পেতে নিয়েছেন। যে ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে এত কথা, তিনিই গত তিনদিন ধরে মুখে কুলূপ এটে ছিলেন। অবশেষে মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়ান সহ-অধিনায়ক। ওয়ার্নার বলছেন, নিজের পরিবার ও স্ত্রীকে নিয়ে করা বাজে মন্তব্যের জন্যই খানিকটা আবেগী হয়ে গিয়েছিলেন।
পরিবারের ‘সম্মানের’ ব্যাপারে কখনোই ছাড় দেবেন না ওয়ার্নার, ‘ মাঠের ভেতরে বাইরে অনেক কিছু সহ্য করি। কিন্তু আমার স্ত্রীর ব্যাপারে যে ধরনের কথা বলা হয়েছে, সেটা আমি কখনোই মেনে নিতে পারব না। একজন মহিলাকে নিয়ে যে জঘন্য ভাষায় ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা শুনে চুপ থাকতে পারিনি।’
তিনটি ডিমেরিট পয়েন্টসহ ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা ও বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ওয়ার্নারকে। অল্পের জন্য দ্বিতীয় টেস্টে নিষেধাজ্ঞা পাননি। ডি ককের দিকে তেড়েফুঁড়ে গেলেও শারীরিকভাবে তার সাথে বিতর্কে জড়ানোর ইচ্ছা ছিল না ওয়ার্নারের, ‘ সে নিচু আওয়াজে আমাকে ওসব কথা বলেছে। আমি তো চাইছিলাম সে যেন কথাগুলো আরও জোরে বলে, সবাই যেন শুনতে পায়। টিম পেইন ও অন্যরা সেখানে জড়ো হলে ডি কক বলতে থাকে, সে নাকি কিছুই বলেনি! যদি কেউ পুরুষ হয়ে থাকে তাহলে চোখে চোখ রেখে সবার সামনে বলা উচিত।’
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যানেজার মোহাম্মেদ মোসাজি বলেছিলেন, তর্ক চলার সময় ডি ককের বোনকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ওয়ার্নার। ওয়ার্নার অবশ্য এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন, ‘আমি কখনোই ওরকম কিছু বলিনি। আমি মাঠে আক্রমণাত্মক, মাঠের বাইরে না। কখনোই সীমাটা অতিক্রম করি না।’