নাঈম-নাঈমে ম্লান রবির 'প্রথম' সেঞ্চুরি
খেলাঘর ২৫৯/৪, ৫০ ওভার (রবি ১১৬, অংকন ৮০, শহিদ ১/৪৬, মোশাররফ ১/৪৭)
রুপগঞ্জ ২৬২/৪, ৪৬.৩ ওভার (নাঈম ৮২, নাঈম ৭০, মেনারিয়া ২/৪৬, রাফসান ২/৩৫)
ফল- রুপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী
গত মৌসুমটা স্বপ্নের মতো কেটেছিল রবিউল ইসলামের। অথচ এ মৌসুমে গতবারের ফর্মটার ছিঁটেফোঁটাও ছিল না তার, এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৩৫ রানের। রবি ফর্মে ফিরলেন, মৌসুমে প্রথম ফিফটিটাকেই রুপ দিলেন সেঞ্চুরিতে। কিন্তু বৃথা গেল তার সেই সেঞ্চুরি। খেলাঘরের ২৬০ রানের লক্ষ্য ২১ বল ও ৬ উইকেট বাকি রেখেই পেরিয়ে গেছে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা খেলাঘর ৮ রানেই হারিয়েছে ১ম উইকেট। ২য় উইকেটে এরপর মাহিদুল ইসলাম অংকন ও রবিউল মিলে যোগ করেছেন ১৮২ রান। তবে দুইজনের রান তোলার হারই ছিল কম- অংকনের স্ট্রাইক রেট ছিল ৬৪, রবির ৮৪। ৮০ রান করে আসিফ হাসানের বলে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন অংকন, আর শরিফের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে রবি করেছেন ১৩৮ বলে ১১৬ রান। ১৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়।
অমিত মজুমদার, অশোক মেনারিয়া ও মাসুম খানের ছোট ক্যামিওর পর খেলাঘর ৫০ ওভারে তুলতে পেরেছে ২৫৯ রান। মোশাররফ, শহীদ, শরিফ ও আসিফ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
আব্দুল মজিদ ও সালাউদ্দিন পাপ্পুর ওপেনিং জুটিতেই রুপগঞ্জ তুলেছে ৭৮ রান। মেনারিয়ার বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে পাপ্পু করেছেন ৩৯, আর মজিদ করেছেন ৪১। ৩য় উইকেটে নাঈম ইসলাম ও মোহাম্মদ নাঈম মিলে তুলেছেন ১৪৪ রান। ১ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন দুইজনই। নাঈম ইসলাম করেছেন ৬৪ বলে ৭০, মোহাম্মদ নাঈম করেছেন ৯৬ বলে ৮২।
৮ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে গেছে রুপগঞ্জ। আর ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৮ নম্বরে খেলাঘর।