শেষ ওভারে দোলেশ্বর হারাল আবাহনীকে
প্রাইম দোলেশ্বর ২৩২/৯, ৫০ ওভার (ফজলে ৬৮, ফরহাদ ৬৩, ফরহাদ রেজা ২৮, মনন শর্মা ৪/৪৪, মাশরাফি ২/৪৭)
আবাহনী ২২৯ অল-আউট, ৪৯.৫ ওভার (মিঠুন ৬০, নাসির ৫৩, বিজয় ৩৪, ফরহার রেজা ৩/৪২, আরাফাত সানি ৩/৫১)
ফল- দোলেশ্বর ৩ রানে জয়ী
আগেরদিন শেষ ওভারে গিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার ইতিহাসে জিতেছিল আবাহনী। আজও শেষ ওভারে গেল ম্যাচ, তবে ফলটা হলো উল্টো। আরাফাত সানির শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন ছিল তাদের, আবাহনী নিতে পারলো ৬ রান। প্রাইম দোলেশ্বর জিতেছে ৩ রানে, পয়েন্ট টেবিলে শাইনপুকুরকে টপকে তারা উঠে এসেছে ২ নম্বরে। শেষ ৩ ম্যাচে এটি আবাহনীর দ্বিতীয় হার।
মিরপুরে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল দোলেশ্বর, শুরুটা হয়েছিল বাজে। ৩৯ রানের মাঝেই নেই ৩ উইকেট। ফজলে মাহমুদ ও ফরহাদ হোসেনের ৪র্থ উইকেট জুটিতে উদ্ধার হয়েছে তাদের, দুইজন মিলে যোগ করেছেন ১৩২ রান। ৬৮ রান করে প্রথমে সন্দীপের বলে ক্যাচ দিয়েছেন ফজলে, ৪ রানের ব্যবধানেই মনন শর্মার বলে বোল্ড ৬৩ রান করা ফরহাদ। দুইজনের গড়ে দেওয়া ভিতে স্কোরটা আরও বড় করতে পারেনি দোলেশ্বর, ৫ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ৩ উইকেট। ফরহাদ রেজার ২৬ বলে ২৮ রানের ইনিংসে এরপর ২৩২ পর্যন্ত যেতে পেরেছে দোলেশ্বর।
৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় বাঁহাতি স্পিনার শর্মা, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও আরিফুল ইসলাম সবুজ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
২৩৩ রান তাড়া করতে নেমে ২৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়েছে আবাহনী। এনামুল হক বিজয়ও ফিরেছেন ৩৪ রান করে। অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৫৩ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ৬০ রানের ইনিংসে রান তাড়ায় ঠিক পথেই ছিল আবাহনী। তবে একপ্রান্ত থেকে তারা উইকেট হারিয়েছে নিয়মিতই।
শেষ ১৮ বলে আবাহনীর প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান, আরাফাত সানির এক ওভারে মিঠুন-সবুজ মিলে তুলেছেন ১৩ রান। পরের ওভারে ফরহাদ রেজা এসে নিয়েছেন মিঠুনের উইকেট, তবে সে ওভারেও ১১ রান তুলে আশা জিইয়ে ছিল আবাহনীর। শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণটা প্রথম ৩ বলে ৬ রান নিয়ে সহজ করে দিয়েছিলেন সবুজ। তবে দোলেশ্বরের প্রয়োজন ছিল শুধু একটি উইকেট, ৫ম বলে গিয়ে সেটাই নিয়েছেন সানি। সব মিলিয়ে ম্যাচে ৩ উইকেট তার, ৩ উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ রেজাও। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরা দোলেশ্বর অধিনায়ক রেজাই।