ভক্তদের ক্ষোভে 'রণক্ষেত্র' ওয়েস্ট হামের স্টেডিয়াম
প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য, ৬৬ মিনিটে অ্যাশলি বার্নসের গোলে এগিয়ে গেলো বার্নলি। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হামের এমন পিছিয়ে পড়া যেন কিছুতেই মানতে পারছিলেন ভক্তরা। দুয়ো দেওয়া পর্যন্ত ঠিক ছিল, তবে ওয়েস্ট হামের কিছু ভক্ত এরপর খানিকটা বাড়াবাড়িই করলেন। মাঠে ঢুকে ফুটবলারদের সাথে তর্কে জড়ালেন, প্রতিবাদ জানালেন বোর্ড কর্মকর্তাদের স্ট্যান্ডের সামনে গিয়ে, পুরো স্টেডিয়ামই তখন রণক্ষেত্র! বাধ্য হয়ে রেফারিকে বন্ধ করতে হলো খেলা। শেষ বাঁশি বাজার আগে আরও দুইবার ভক্তদের কারণে বন্ধ থেকেছে ম্যাচ, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ম্যাচের পরপরই।
বোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ব্যানার ফেস্টুন নিয়েই হাজির হয়েছিলেন ভক্তরা। তাদের ক্ষোভটা যে এভাবে প্রকাশ পাবে, সেটা হয়ত কেউ ধারণা করেননি। লন্ডন স্টেডিয়ামে বার্নলির কাছে ৩ গোল খেয়েছে ওয়েস্ট হাম। প্রত্যেকটি গোলের পড়েই হাঙ্গামার কারণে খেলা বন্ধ রাখতে হয়েছে রেফারি লি ম্যাসনকে। ভক্তদের রাগটা ওয়েস্ট হাম বোর্ড কর্মকর্তাদের ওপরে একটু বেশিই ছিল। স্টেডিয়ামের ভিন্ন ভিন্ন স্ট্যান্ডে লেগে গিয়েছিল হাতাহাতি। ওয়েস্ট হাম অধিনায়ক মার্ক নোবেল নিজেই কয়েকবার মাঠে ঢুকে পড়া ভক্তদের বের করে দিয়েছেন সাইডলাইনে নিয়ে গিয়ে।
পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন এক ভক্ত কর্নারের পতাকা তুলে নেওয়ার পর সেটা উঁচিয়ে মাঠে ঘুরতে থাকেন। বোর্ডের সহকারি পরিচালক ডেভিড সুলিভান ও ডেভিড গোল্ডকে যে ভক্তরা আর চাইছেন না, সেটা তাদের বসা স্ট্যান্ডের সামনে গিয়েই প্রতিবাদ জানিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাদের দিকে পয়সাও ছুড়ে মারা হয়েছে।
৬৬ মিনিটের পর ৭৪ মিনিট ও ৮২ মিনিটের মাথায় বন্ধ হয় খেলা। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ওয়েস্ট হাম। ম্যাচের পরপরই এই ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওয়েস্ট হাম বোর্ড। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট হাম ফুটবলাররা মৌসুমের বাকি ম্যাচে পুলিশ পাহারা ছাড়া মাঠে নামতেও রাজি হচ্ছেন না।
এদিকে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও তদন্ত করবে ব্যাপারটি। ওয়েস্ট হাম কর্মকর্তারা আশংকা করছেন, ভক্তদের এমন আচরণে নিষিদ্ধও হতে পারে লন্ডন স্টেডিয়াম!