সংখ্যায় সংখ্যায় বাংলাদেশের জয়
জয়ের পর তার উদযাপনটাই বলে দিচ্ছিল সবকিছু। অতিমানবীয় এক ইনিংসে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলংকাকে ৫ উইকেটে হারানোর ম্যাচে হয়েছে বেশ কিছু রেকর্ডও।
১
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ করেছে ২১৫ রান। শ্রীলংকার মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু অস্ট্রেলিয়ারই। ২০১৬ সালে পাল্লেকেলেতে ২৬৩ রান করেছিল অজিরা।
৩
বাংলাদেশের কাছে তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারল শ্রীলংকা। দুই দল খেলেছে মোট ১০ টি ম্যাচ।
১২
শ্রীলংকার বিপক্ষে কাল ১২ টি ছয় মেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা, যা দলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ৩ বার এক ইনিংসে ৮টি ছয় মেরেছিলেন তামিম-মুশফিকরা। লিটন দাস কাল একাই মেরেছেন ৫ টি ছয়, যা নাজিমউদ্দিন, জিয়াউর রহমান ও তামিম ইকবালের সাথে যৌথভাবে দলের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয়।
২৪
ফিফট পূরণ করতে মুশফিকের লেগেছে ২৪ বল, যা বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে ফিফটি করে তালিকায় সবার ওপরে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
৭২
রান তাড়া করে জয় পাওয়া ম্যাচগুলোর মাঝে মুশফিকের কালকের ৭২ বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ।
২০৫.৭১
মুশফিকের স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৫.৭১, যা এক ইনিংসে কমপক্ষে ৫০ রান করা বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মাঝে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
২১৪
২১৪ রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। এটাই তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়, টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৭ সালে ১৬৫ রান তাড়া করে জেতাটাই ছিল বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ। উপমহাদেশের দলের মাঝেও বাংলাদেশের এই জয় রেকর্ড গড়েছে। ২০০৯ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০৭ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত, যা এতদিন রেকর্ড হয়েই ছিল।