• নিদাহাস ট্রফি ২০১৮
  • " />

     

    আগের দিনই ওপেনিংয়ের কথা জানতেন লিটন

    আগের দিনই ওপেনিংয়ের কথা জানতেন লিটন    

    শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচের আগের দিনই লিটন দাস জানতেন, তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে যাচ্ছেন তিনিই। লিটন নিজেকে প্রস্তুত করেছেন সেভাবেই, তামিমের সঙ্গে তার জুটি গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের ভিত। অথচ লিটনের এই সিরিজের খেলার কথাই ছিল না! 

    প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে সময়টা দারুণ কাটছিল তার। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৫ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি, ১টি ফিফটি। ত্রিদেশীয় সিরিজের ওয়ানডে দলে ছিলেন না, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দলে তো নয়ই। সেই তিনি নিদাহাস ট্রফিতে ডাক পেলেন হুট করেই, সাকিবের ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হওয়ার পরই। প্রস্তুতি ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে তুললেন ঝড়, তবে প্রথম ম্যাচের আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তারা তিন নম্বরে ভাবছেন লিটনকেও। 

    লিটন ভারতের সঙ্গে ম্যাচে খেললেন তিন নম্বরেই। ৩৪ রান করে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন, তবে হারল দল। পাওয়ারপ্লেতে অফস্পিনার আসবেন শ্রীলঙ্কার হয়ে, এমন ভাবনা থেকেই লিটনকে এ ম্যাচে ওপেনিংয়ে আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। এ ভূমিকাটা লিটনের কাছে নতুন মনে হচ্ছে না মোটেও, ‘আমি আগের দিনই জানতাম ওপেন করব। ভূমিকা সম্পর্কে বলার কিছু নেই, আমি এটাতে অভ্যস্থ। আমি জানি কিভাবে ব্যাট করতে হতো।’

     

     

    লক্ষ্য ছিল পাওয়ারপ্লেতে যত বেশি সম্ভব রান তোলা, ‘যেটা আমরা তাড়া করছিলাম, সেটা বড় ছিল। ২১৫ রানের একটা লক্ষ্য ছিল। আমার মাথায় ছিল যত বেশি সম্ভব পাওয়ারপ্লে ব্যবহার করা যায়। যত রান করতে পারব, পরের ব্যাটসম্যানরা ওই ছন্দে যেতে পারবে।’

    লিটন-তামিম পাওয়ারপ্লের ব্যবহারটা করলেনও দারুণ। এলো ৭৪ রান, শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৪ রান বেশি। তবে লিটন থাকতে চেয়েছিলেন আরও কিছুক্ষণ, ‘তামিম ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছিল। আমি আরেকটু থাকলে খেলাটা আরেকটু সহজ হতো। চেষ্টা করব যেন পরের বার এমন না হয়।’

    ‘(নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করা), না, এমন কোনো কিছু মনে হয়নি। আমি ওপেন করেছি, সেসব ম্যাচেও মনে হয়নি। আমার দরকার ছিল ভালো একটা শুরুর।’

    আগের ম্যাচেই টি-টোয়েন্টিতে নিজের সর্বোচ্চ স্কোরটা করেছিলেন, এদিন করতে চেয়েছিলেন ফিফটি, ‘ফিফটি আমার ছিল না। আমি চেষ্টা করছিলাম যত তাড়াতাড়ি রান হয়ে যায়। ক্লিক করতে পারলে, যেভাবে খেলেছি সেভাবে সাফল্য পেলে আসলে ফিফটি হয়ে যেত।’

    নুয়ান প্রদীপের স্লোয়ারে ফ্লিক মিস করে হয়েছেন এলবিডাব্লিউ। লিটনের ফিফটি হয়নি, তবে যা হয়েছে, তাতে কেইবা অখুশি হবেন!