• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    মিজানুর-জুনাইদের রেকর্ড জুটি ম্লান হয়ে গেল চার ফিফটিতে

    মিজানুর-জুনাইদের রেকর্ড জুটি ম্লান হয়ে গেল চার ফিফটিতে    

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৮৯/৬, ৫০ ওভার (মিজানুর ১০২, জুনাইদ ৯২, শফিউল ৪/৪৮)
    অগ্রণী ব্যাংক ২৯২/৭, ৪৮.৫ ওভার (ধাওয়ান ৭০, আজমির ৬৫, সালমান ৬৩, জাভেদ ৫৫, সোহরাওয়ার্দি ৩/৬২)
    ফল- অগ্রণী ব্যাংক ৩ উইকেটে জয়ী 


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন এখানে


    আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন, আজ জুনাইদ সিদ্দিক করলেন ৯১ রান। মিজানুর রহমান করলেন ক্যারিয়ার ও মৌসুমে প্রথম সেঞ্চুরি। তবে এই দুইজনের রেকর্ড জুটি ম্লান হয়ে গেছে অগ্রণী ব্যাংকের চার ফিফটিতে। সুপার লিগের আগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারলো ব্রাদার্স ইউনিয়ন, অগ্রণী ব্যাংকের কাছে ৩ উইকেটে। ৯ ম্যাচে ব্রাদার্সের পয়েন্ট থাকলো ৮, অগ্রণী ব্যাংকের ৬। 

    ফতুল্লায় টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল অগ্রণী ব্যাংক। জুনাইদ-মিজানুর এরপর তাদেরকে উপহার দিয়েছেন দুঃস্বপ্ন, প্রিমিয়ার লিগের এ মৌসুমে ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়েছেন দুইজন ২০০ রান করে। ১২০ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ১০২ রান করা মিজানুর প্রথমে ক্যাচ দিয়েছেন শফিউলের বলে। ৮ চার ও ১ ছয়ে ১০৩ বলে ৯২ রান করে মিজানকে অনুসরণ করেছেন জুনাইদ, টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা তাই পাওয়া হয়নি তার। 

    তবে ওপেনিং জুটির গড়া ভিতে তেমন কিছু গড়তে পারেনি ব্রাদার্সের মিডল অর্ডার। ২১ রানে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট। একপ্রান্ত থেকে যা চেষ্টা করেছেন মাইশুকুর, তার ২৩ বলে ৩৭ রানের ক্যামিওতে ২৮৯ রান পর্যন্ত গেছে ব্রাদার্স। ৪৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন শফিউল। 

    ২৯০ রানের লক্ষ্য, অগ্রণী ব্যাংকের শুরুটা হলো বিভীষিকাময়। ইনিংসের প্রথম বলেই সোহরাওয়ার্দি শুভকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন ফর্মে থাকা শাহরিয়ার নাফিস। আজমির আহমেদ ও সালমান হোসেনের ৮৮ রানের জুটি আলগা করেছে সেই চাপ। অলোক কাপালির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৬২ বলে ৬৫ রান করেছেন আজমির। সালমান আউট হওয়ার আগে ৮৯ বলে করেছেন ৬৩। এর মাঝে ২২ রান করে ফিরেছেন ধীমান ঘোষ। 

    এরপর অগ্রণী ব্যাংককে বয়ে নিয়ে গেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যান ঋষি ধাওয়ান ও জাহিদ জাভেদের ১০৬ রানের ঝড়ো জুটি। ৫৯ বলে ৭০ রান করেছেন ধাওয়ান, ৪৯ বলে ৫৫ জাভেদ। ৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে গেছে অগ্রণী ব্যাংক।