'উনি হয়তো আমার খেলা অন্যভাবে দেখেছেন'
প্রশ্নটার উত্তর প্রথমে দেননি। পরে সেটি মনে করিয়ে দেওয়া হলে হেসেই দিলেন মুশফিকুর রহিম। মুচকি হেসে শুধু বললেন, ‘এখন তো উনি জানলেন আমিও পারি।’
কথাটা কোন প্রসঙ্গে, সেটি হয়তো আপনার ধরতে পারার কথা। নাজমুল হাসান পাপনের ওই মন্তব্য নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই তো চলছে তোলপাড়। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওই মহাকাব্যিক জয়ের পর দিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সবাইকে চমকেই দিলেন, মুশফিক যে ছয় মারতে পারে তা তিনি জানতেনই না, ‘‘তামিম–সৌম্য যে মারতে পারে আমরা জানি। লিটন যে মারতে পারে জানতাম না। মুশফিক? ওকে বললাম, তুমি যে এমন মারতে পার, জানতামই না! ও তো আসলে গত দুই বছরে ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়। ও মারতে পারে। কিন্তু ছয় মারার খেলোয়াড় নয়। ছয় মারে তিনজন, তামিম, সৌম্য, সাব্বির। ’
মজার ব্যাপার, টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের চেয়ে বেশি ছয় বাংলাদেশের শুধু আছে তামিম, সাকিব আর মাহমুদউল্লাহর। আর তিন সংস্করণ মিলে মুশফিকের আছে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়।
আজ অনুশীলনে সেটি মনে করিয়ে দিলে মুশফিক শুরুতে হেসেই দিলেন। পরে বললেন, ‘তাহলে এই ইনিংসের পরে জানবেন, আমি মারতে পারি।’
এই মন্তব্যে অবাক কি না, এমন প্রশ্নে মুশফিকের উত্তরটা ছিল দারুণ কূটনৈতিক, ‘হয়তো বা উনি অন্যরকমভাবে আমার খেলা দেখেছেন। গত দুই-তিন মাসে আমরা ফল পাইনি, অনুশীলনে আমরা কিরকম কঠোর পরিশ্রম করি, সেটার পুরস্কার পেলে সেটার আনন্দ অন্যরকম। অনুশীলনে সেটা দেখেননি, ম্যাচে সেটা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ এটাই।’
এখন পর্যন্ত এটা বাংলাদেশের হয়ে তাঁর সেরা ইনিংস কি না এমন প্রশ্নও উঠল। মুশফিক অবশ্য স্বপ্নের পরিধিটা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন আরও অনেকদূর, ‘এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে তো অবশ্যই। তবে টেস্ট আর ওয়ানডেতে এর চেয়েও ভালো ইনিংস আছে। আর ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টিতেও এর চেয়ে ভালো ইনিংস খেলার ক্ষমতা আমার আছে।’