শুরুতেই হোঁচট আর্জেন্টিনার
দারুণ সব ম্যাচ উপহার দিচ্ছে কোপা’১৫। মেক্সিকোকে দুর্বল বলিভিয়ার রুখে দেওয়া অথবা আজ শক্তিশালী আর্জেন্টিনার কাছ থেকে প্যারাগুয়ের ১ পয়েন্ট কেড়ে নেওয়া সেটাই প্রমাণ করে। চিলি, ইকুয়েডরের সাথে জিতলেও যারা খেলা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই একমত হবেন একটু এদিক ওদিক হলে ঐ ম্যাচে জয়ী দলের নাম হতে পারতো ইকুয়েডরও। এরকম চলতে থাকলে এ যাবতকালের সেরা কোপা আমেরিকা যে এটাই হতে যাচ্ছে তাতে আর কোন সন্দেহ নেই।
আজ ম্যাচের প্রথম থেকেই প্যারাগুয়েকে চেপে ধরে আর্জেন্টিনা। কিন্তু গোল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৩০ মিনিট পর্যন্ত। ৩০ মিনিটে শিশুতোষ এক ভুল করে বসেন প্যারাগুয়ের মিগুয়েল সামুদিও। গোলকিপারকে ব্যাকপাস দিতে গিয়ে বল তুলে দেন সার্জিও আগুয়েরোর পায়ে। পাড়ার ম্যাচেও এরকম হাস্যকর ভুল কেউ করে না। সাজানো থালায় খাবার খেতে মোটেই ভুল করেননি আগুয়েরো। আর্জেন্টিনাকে ১-০ তে এগিয়ে নেন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই সামুদিও স্ট্রাইকস এগেইন। ডিবক্সের মধ্যে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়া ডি মারিয়াকে ফেলে দেন তিনি। ফলাফল পেনাল্টি। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন লিওনেল মেসি।
হাফটাইম হয় খেলার ঐ অবস্থাতেই। হাফটাইমের পরপরই অন্যরূপে দেখা দেয় প্যারাগুয়ে। মুহুর্মুহু আক্রমণ চালাতে থাকে আর্জেন্টিনার ডিফেন্সে। এরই ফলশ্রুতিতে ৬০ মিনিটে ডিবক্সের অনেকটা বাইরে থেকে এক দুর্দান্ত শটে ব্যবধান কমান নেলসন ভালদেজ।
গোল খেয়ে যেন জেগে ওঠে আলবিসেলেস্তেরা। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। কিন্তু গোল করতে পারছিলো না আর কোনদলই। খেলার ৯০ মিনিটে আর্জেন্টিনার জয় যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র তখনই সুপারসাব লুকাস বারিওসের গোল। বারিওস প্রায় ১৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ে যে শট নিলেন তা তাকিয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না আর্জেন্টাইন গোলকিপার রোমেরো’র।
২-০ তে পিছিয়ে পড়েও প্যারাগুয়ে যদি এই ম্যাচ জিততো তাহলে অসাধারণ এক কামব্যাকের উদাহরণ হত তা। তবে এই ড্রও কম গৌরবের নয়। প্যারাগুয়ের অধিনায়ক রক সান্তা ক্রুজ সরাসরি জানিয়ে দিলেন এই ড্র, প্যারাগুয়ের জন্য স্পেশাল কিছু।
শক্তিশালী আর্জেন্টিনার কাছ থেকে ১ পয়েন্ট পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে প্যারাগুয়ে। আর আর্জেন্টিনার রাস্তাটা একটু হলেও কঠিন হয়ে গেলো।
পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষের নাম যে উরুগুয়ে।