অনিকের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্লান আশরাফুলের সেঞ্চুরি
কলাবাগান ২৬০ অল-আউট, ৪৭.৪ ওভার (আশরাফুল ১২৭, ওয়ালিউল ৪৬, অনিক ৬/৪৯)
মোহামেডান ২৬৩/৮, ৪৯.২ ওভার (এনামুল ৫৭, রনি ৫১, সনজিত ৩/৪৮)
ফল- মোহামেডান ২ উইকেটে জয়ী
প্রিমিয়ার লিগে মোহাম্মদ আশরাফুল ও কলাবাগানের চিত্র যেন পুরো ১৮০ ডিগ্রি উল্টো। এ নিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরি করলেন আশরাফুল, কলাবাগান হারলো তার দুইটিতেই। নিজেদের শেষ ম্যাচে মোহামেডানের সঙ্গে আশরাফুলের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচ হেরেছে কলাবাগান। বোলিংয়ে ৬ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়েও শেষ ওভারে জ্বলে উঠেছেন কাজি অনিক। কলাবাগানের রেলিগেশন নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই, শেখ জামাল ওদিকে আগেই জিতে যাওয়াই সুপার লিগের আশাও শেষ হয়ে গেছে মোহামেডানের। তবে এ জয়ে অবশ্য একটু স্বস্তি আছে মোহামেডানের, রেলিগেশন লিগ এখন আর খেলতে হবে না তাদের। ১১ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের সাতে।
তবে বিকেএসপিতে আশরাফুলের সেঞ্চুরির আগে আলোচিত ঘটনা ছিল ট্র্যাফিক জ্যাম। যানজটের কারণেই দুই দল ও ম্যাচ অফিশিয়ালরা পৌঁছাতে পেরেছেন দেরিতে, খেলাও তাই শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পরে। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল কলাবাগান। শুরুতে ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে হারালেও কলাবাগান এরপর টিকে ছিল আশরাফুল ও ওয়ালিউল করিমের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। ৪৬ রান করে ওয়ালিউলের আউটে ভেঙেছে ৮০ রানের সেই জুটি। এরপর মাহমুদুলের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়েছেন আশরাফুল। ১৩ চার ও ৩ ছয়ে ১২৪ বলে আশরাফুল করেছেন ১২৭ রান। এর আগে প্রাইম দোলেশ্বর ও অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গেও করেছিলেন সেঞ্চুরি।
৫ম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪৪তম ওভারে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি, কলাবাগানের রান তখন ২৪১। তার ভিতে স্কোরটা আরও বড় করা দূরে থাক, হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে কলাবাগানের ব্যাটিং, ১৭ রানের ভেতরই পড়েছে ৬ উইকেট, ২৪ বলের মাঝেই। ২৬০ রানের বেশি তাই করতে পারেনি তারা। কলাবাগানের মূল হন্তারক মোহামেডান পেসার কাজি অনিক, ৪৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ব্যাটিং লাইন-আপ গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন তিনিই।
রান-তাড়ায় ২৯ রানে ওপেনার জনি তালুকদারকে হারালেও এনামুল হক ও রনি তালুকদারের ফিফটিতে এগিয়ে গেছে মোহামেডান। দলীয় ১২৭ রানেই ফিরেছেন দুইজন- ৫১ রান করা রনি ও ৫৭ রান করা এনামুল। ১৫৩ রানের মাথায় রকিবুল ও ১৫৫ রানে ইরফান শুক্কুর দ্রুত ফিরলে চাপে পড়েছিল মোহামেডান।
শামসুরের ৩৮ ও গুরিন্দার সিংয়ের ২০ রানের ইনিংসে একটু স্বস্তি ফিরলেও তাদের উইকেটেই সেটা বেড়ে গিয়েছে পরে। মোহামেডানের ৭ম উইকেট পড়েছে ১৯৮ রানে, এরপরই তাইজুলের সঙ্গে শামসুরের জুটি ৩৬ রানের। শামসুরের উইকেটে এরপর আবার পিছিয়ে গেছে মোহামেডান, তবে ত্রাতা হয়ে এসেছে ওই তাইজুলই। নয়ে নেমে তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৪ রানে, তাকে সঙ্গ দিয়েছেন বোলিংয়ে উজ্জ্বল অনিক। শুধু সঙ্গ দিয়েছেন কেন, শেষ ওভারে দুই ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেছেন তিনিই।