মায়ের পাশে থাকতে অবসর নিতে চেয়েছিলেন হিগুয়াইন
ইতালির সাথে প্রীতি ম্যাচে অংশ নিতে আর্জেন্টিনা দল এখন ম্যানচেস্টারে। গত বছর বেশিরভাগ সময় আর্জেন্টিনা দলে বাদ পড়ার পর আবারও ফিরেছেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। সেখানেই এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ফুটবল থেকেই অবসর নিতে চেয়েছিলেন তিনি।
২০১৪ সালে বিশ্বকাপে জার্মানির পর টানা দুইবার চিলির কাছেও কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর হিগুয়াইনের ওপরই দোষ দিয়েছিল আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমগুলো। সেই হতাশা তো ছিলই, সাথে যোগ হয়েছিল মায়ের অসুস্থতা। সবমিলিয়ে ফুটবল থেকে তখনই অবসর নিতে চেয়েছিলেন ৩০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। "আমার সময়টা খুব কঠিন ছিল। ইশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমার মা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আমি তার অসুস্থতার খবর শোনার পর তার পাশে থাকার জন্য অবসর নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম আমি যদি খেলা চালিয়ে যাই, তাহলে সেটাতেই তিনি বেশি খুশি হবেন।"
"আমি খেলা ছেড়ে তাকে সময় দিতে চেয়েছিলাম। তিনিই আমাকে রাজি করিয়ে আবার ফুটবলে ফিরিয়েছেন।"
মায়ের সুস্থতার পর হিগুয়াইন নিজেও কিছুটা ফর্ম ফিরে পেয়েছেন। শেষ ৯ ম্যাচে করেছেন ৯ গোল, জুভেন্টাসকেও প্রায় একাই নিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। খারাপ সময় পেছনে ফেলে আসাটাই মূল লক্ষ্য ছিল বলে জানাচ্ছেন হিগুয়াইন, "আমি সবসময়ই লড়াই করি। আমি সেরাদের মধ্যে থাকতে চাই। এটা করতে গিয়ে উলটোটাও হতে পারে, কিন্তু আমার লক্ষ্য একই থাকবে, উন্নতি করা। আমি ১২ বছর ধরে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল খেলছি। এই কাজটা সহজ নয়। আমি আরও অনেকদিন খেলা চালিয়ে যেতে চাই।"
"আমি জাতীয় দলে ফিরতে পেরে খুশি। আর্জেন্টিনার হয়ে খেলাটা খুব বেশি মিস করেছি। এখন সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। আমি রিয়াল মাদ্রিদ আর নাপোলির হয়ে সর্বোচ্চ ১০ গোলদাতার তালিকায় ঢুকেছি, জুভেন্টাসেও একই কাজ করতে চাই।"
ফুটবলার হলেও, মাঠের বাইরে জীবনটা আর দশটা মানুষের মতোই তার। ফুটবলটাই তাই জীবনের পরিপূরক ভাবেন না তিনি। "এমন সময় আসে যখন পরিস্থিতি আপনাকে কাবু করে ফেলে। আমি মানসিক আর ব্যক্তিগত দিক দিয়ে ঠিকই আছি। কিন্তু মাঠের বাইরে জীবনটা শুধু ফুটবলময় নয়। লোকে তো আর দেখে না মাঠের বাইরে আমাদের জীবনটা কেমন যায়!"