দক্ষিণ আফ্রিকাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছেন পেইন
অস্ট্রেলিয়া ৯৭.৫ ওভারে ৩১১
দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৭ ওভারে ২৪৫/৯
দ্বিতীয় দিন শেষে
আম্পায়ারের সাথে বেশ খানিকক্ষণ তর্ক চালিয়ে গেলেন ফাফ ডু প্লেসি। কিন্তু কেপ টাউনে দিনের আলো প্রায় মিইয়ে এসেছে, ১০ ওভার আগেই খেলা বন্ধ করে দিলেন দুই আম্পায়ার। টিম পেইন তখনো যন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে, শেষটা তাই মনমতো হলো না। কেপটাউন টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে এখনো ৬৬ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া, হাতে একটি উইকেট। ম্যাচের পাল্লাটা এখন অনেকটা ভারসাম্যেই আছে, রায়টা দিয়ে দেওয়া যায়।
অথচ কে ভেবেছিল, ১৭৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়া এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে? নাথান লায়ন ও টিম পেইন গড়লেন প্রতিরোধ, ক্যাচ ড্রপ আর বাজে বোলিং করে তাতে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। দুজন মিলে নবম উইকেটে যোগ করেছেন ৬৬ রান, শেষ পর্যন্ত লায়নকে আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকার উপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন মরকেল।
তার আগেই মরকেল পেয়ে গেছেন অনেক প্রতীক্ষার এক মাইলফলক। এই টেস্টে সুযোগ পেয়ে লাঞ্চের পরেই চেপে ধরেছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি, ৪৩ রানেই ফিরে গেছেন ওয়ার্নার। মরকেলের আঘাত হানা শুরু এরপর। খাওয়াজাকে ক্যাচ বানিয়েছেন রাবাদার বলে, এর পরেই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন। খাওয়াজার মতোই মরকেলের বলে ঠিক ৫ রানেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন অধিনায়ক স্মিথ। তবে মরকেলের সবচেয়ে আরাধ্য উইকেট এসেছে এরপর। ৭২ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর শন মার্শ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট ভালোই খেলছিলেন, কিন্তু শনকে ২৬ রানে ফিরিয়ে টেস্ট ক্রিকেটেনিজের ৩০০তম উইকেট পেয়ে গেছেন মরকেল।
তবে ব্যানক্রফট খেলছিলেন দারুণ, টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৭৭ রান করে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন ফিল্যান্ডারের বলে, ১৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর কামিন্স, স্টার্ক ফিরে গেছেন দ্রুত, সেই দুইটি উইকেট নিয়েছেন রাবাদা। তার পরেই শুধু লায়নদের প্রতিরোধ।
তার আগে দিনের সকালটা নিজের করে নিয়েছেন ডিন এলগার। আগের দিনের সঙ্গে আজ আরও ৪১ রান যোগ করেছেন রাবাদার সঙ্গে। রাবাদা ২২ করে আউট হলেও এলগার নিজে অপরাজিত ছিলেন ১৪১ রানে। টেস্ট ক্রিকেটে এ নিয়ে তৃতীয়বার ক্যারি দ্য ব্যাট থ্রু দ্য ইনিংস করলেন, তিন বার এই কীর্তি আছে শুধু ডেসমন্ড হেইন্সের।