• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    স্পেন-জার্মানির ড্র, হেরেই গেল ফ্রান্স

    স্পেন-জার্মানির ড্র, হেরেই গেল ফ্রান্স    

    শেষ দুই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন তারা। স্পেন-জার্মানির ম্যাচ মানেই দারুণ কিছু, হোক সে প্রীতি ম্যাচ। আজ জার্মানির ডুসেলডর্ফে আরও এক দারুণ লড়াই উপহার দিল বর্তমান এবং সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ইউরোপের এই দুই 'পাওয়ারহাউজ'-এর লড়াইয়ে জেতেনি কেউই। রড্রিগো মরেনো এবং থমাস মুলারের গোলে ১-১ গোলে ড্র করেছে দুই দল। স্পেন, জার্মানি না পারলেও ঠিকই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। জেসি লিনগার্ডের একমাত্র গোলে নেদারল্যান্ডকে হারিয়েছে 'থ্রি লায়ন্স'রা। ওদিকে রাতের সবচেয়ে বড় 'অঘটন'টা ঘটেছে ফ্রান্স। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও কলম্বিয়ার কাছে ৩-২ গোলে হেরে গেছে 'লা ব্লুজ'রা।

    ম্যাচের শুরু থেকেই জার্মান রক্ষণভাগের ওপর চড়াও হয়েছিলেন স্প্যানিশ আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। ফলাফলটাও আসে হাতেনাতে। ম্যাচের ৬ মিনিটে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার ডিফেন্সচেরা থ্রু পাস থেকে জার্মান গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেনকে পরাস্ত করেন রদ্রিগো। গোলের পর আরও আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসে স্পেন। ইনিয়েস্তা, ইস্কো, ডেভিড সিলভাদের বুদ্ধিদীপ্ত পাসিং, চমৎকার বোঝাপড়ার সামনে রীতিমত অসহায়ই হয়ে পড়েছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০ মিনিটে ইস্কোর পাস থেকে সিলভা গোলে শট নিতে পারলে ব্যবধানটা দ্বিগুণও করতে পারত ‘লা রোহা’রা। সিলভার এই মিসের পর থেকেই যেন সম্বিৎ ফিরে পায় জার্মানি। টনি ক্রুস, মেসুত ওজিলরাও ফিরতে থাকেন স্বরূপে। ২৪ মিনিটে টিমো ওয়ার্নারের শট ডেভিড ডি গিয়ার গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে যে যাত্রায় বেঁচে যায় জুলেন লোপেতেগির দল। কিন্তু এর মিনিট দশেক পর আর শেষরক্ষা হয়নি স্পেনের। ৩৫ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মুলারের আগুনে শটে সমতায় ফেরে জার্মানরা।

     

     

    সমতায় ফেরার নিজেদের আরও গুছিয়ে নেয় ‘ডি ম্যানশ্যাফট’রা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লিডটাও নিয়ে নিতে পারত তারা। ৪৮ মিনিটে জুলিয়েন ড্র্যাক্সলারের বাঁকানো শট হাওয়ায় ভেসে দারুণভাবে রুখে দেন ডি গিয়া। টার স্টেগেনও কম যান না। ৫৬ মিনিটে স্প্যানিশ এই গোলরক্ষকের দেখাদেখি ইস্কোরও একটি নিশ্চিত গোল অবিশ্বাস্যভাবে বাঁচিয়ে দেন তিনি। দুই গোলরক্ষকের লড়াইয়ে পরের ‘রাউন্ড’ জেতেন ডি গিয়াই। ৫৭ মিনিটে প্রতি আক্রমণে ইলকে গুন্ডোয়ানের প্লেসিং শট রুখে দিয়ে দলকে সমতায় রাখেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই গোলরক্ষক। ডি গিয়ার দক্ষতার পাশাপাশি ভাগ্যদেবীও মুখ তুলে তাকাননি জার্মানির দিকে। ৬৪ মিনিটে ক্রুসের ফ্রিকিক থেকে ম্যাটস হামেলসের হেড প্রতিহত হয়ে ক্রসবারে।

     

     

    রাতের অন্যান্য খেলায় নিজেদের মাঠে কলম্বিয়াকে আতিথিয়তা দিয়েছিল ফ্রান্স। স্তাড দে ফ্রান্সে ম্যাচের ১১ মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন চেলসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরু। ২৬ মিনিটে দারুণ এক প্রতি আক্রমণে কিলিয়ান এম্বাপ্পের পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন থমাস লেমার। নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় হয়ত কিছুটা আত্মতুষ্টিতেই ভুগছিল দিদিয়ের দেশমের দল। এই সু্যোগেরই সদ্ব্যব্যহার করে কলম্বিয়া। লেমারের গোলের মিনিট দুয়েক পরই ২৮ মিনিটে ব্যবধান কমান স্ট্রাইকার লুইস মুরিয়েল। ৬২ মিনিটে হামেস রড্রিগেজের পাস থেকে দলকে সমতায় ফেরান রাদামেল ফালকাও। সমতায় ফিরেও ক্ষান্ত দেয়নি কলম্বিয়া। ফ্রান্সের গা ছাড়া ফুটবলের সুযোগে সবাইকে চমকে ৮৫ মিনিটে লিডটাও নিয়ে নেয় তারা। হোসে ইজকিয়েরদোকে ডিবক্সে ফেলে দিয়ে কল্মবিয়াকে পেনাল্টি উপহার দেন স্যামুয়েল উমতিতি। ১২ গজ থেকে উগো ইয়োরিসকে পরাস্ত করেন হোসে কিন্টেরো।  

     

    ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনাতে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে নেদারল্যান্ডস। ম্যাড়ম্যাড়ে এক প্রথমার্ধের পর বিতর্কিত এক দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে উঠে দু’দলই। ৪৮ মিনিটে মেম্ফিস ডিপাইয়ের পাস থেকে ম্যাথিয়াস ডি লিট ইংলিশ জালে বল পাঠালেও বল বাইরে চলে যাওয়ায় গোল বাতিল করেন রেফারি। এর মিনিটখানেক পরই মার্কাস রাশফোর্ডকে ডিবক্সে ফেলে দেন জোয়েট। কিন্তু এবারও নীরব রেফারি। তবে ৫৯ মিনিটে আর দমানো যায়নি ইংল্যান্ডকে। ড্যানি রোজের নিচু ক্রস থেকে ডানপায়ের বাঁকানো শটে দেশের হয়ে প্রথম গোল করেন জেসি লিনগার্ড।