বিহারির সেঞ্চুরিতে সুপার লিগেও দারুণ শুরু আবাহনীর
আবাহনী লিমিটেড- গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, মিরপুর
টস- গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ( বোলিং)
আবাহনী লিমিটেড ৫০ ওভারে ২৭৮/৬ (বিহারি ১০৯, মিঠুন ৭২*, হায়দার ২/৪৫, মাহেদি ২/৪৯)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪৩ ওভারে ২০৫ (মজুমদার ৬৪, মুমিনুল ৪৬, সানজামুল ৪/৫০)
আবাহনী ৭৩ রানে জয়ী
প্রথম রাউন্ডে ১১ ম্যাচের ৮ টিতে জয় পেয়ে শীর্ষে থেকেই সুপার লিগে উঠেছিল আবাহনী। সুপার লিগেও জয়ের ধারা বজায় রেখেছে তারা। হানুমা বিহারির দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৭৩ রানে হারিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থাকা আবাহনী লিমিটেড।
মিরপুরে ২৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানেই নেই গাজীর ৩ উইকেট। জহুরুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, মেহেদী হাসান; তিনজনের কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। শুরুর ধাক্কার পর গাজীকে আশা দেখাচ্ছিলেন মুমিনুল হক ও অনুস্তুপ মজুমদার। দুইজনের ৪৮ বলে ৪৩ রানের জুটি ভাঙ্গে তাসকিন আহমেদের বলে মুমিনুল ফিরলে। ৫১ বল খেলে হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকতেই ফেরেন মুমিনুল।
অনুস্তুপ অবশ্য ফিফটি পেয়েছেন। মুমিনুল ফিরলেও নাদিফ চৌধুরী ও আসিফ আহমেদকে নিয়ে ধীরে ধীরে এগুচ্ছিলেন। ৮০ বলে ৬৪ রান করে সানজামুল ইসলামের বলে ৩৭তম ওভারে অনুস্তুপ বোল্ড হওয়ার সাথে সাথেই জয়ের শেষ আশাটুকুও নিভে যায় গাজীর। শেষের দিকে জাকির আলির ২৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে তারা। ৫০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সানজামুল ইসলাম।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনীর হয়ে আলো ছড়িয়েছেন হানুমা বিহারি। এই মৌসুমে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই করেছেন সেঞ্চুরি। বিহারিকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৯১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দুইজন যোগ করেছেন ১৩৬ রান।
ইনিংসের প্রথম ভাগে রানের গতি ছিল ছিল বেশ ধীর। বিহারি-মিঠুন জুটির কল্যাণে কিছুটা হলেও গতি পায় আবাহনী। ১০ চার ও ১ ছয়ে ১২৪ বলে বিহারি করেন ১০৯। মিঠুন ছিলেন আরেকটু বেশি আক্রমণাত্মক। ৬ চার ও ১ ছয়ে ৬১ বলে করেন ৭২।
৪৬ তম ওভারে বিহারিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মেহেদি হাসান। মিঠুন অবশ্য অপরাজিতই ছিলেন। শেষের দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ১ চার ও ৩ ছয়ে ৭ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে আবাহনীর স্কোর ২৫০ পেরোয়।
গাজী গ্রুপের জন্য পরে যথেষ্ট হয়েছে সেটাই। সুপার লিগের প্রথম ম্যাচের পর আবাহনীর পয়েন্ট এখন ১৮, গাজী গ্রুপের ১২।