'সুপারম্যান' রেজা জেতালেন দোলেশ্বরকে
খেলাঘর ২৫৮/৮, ৫০ ওভার (রবি ৬২, মেনারিয়া ৫৪, অমিত ৫০, সানি ৫/৪৫, রেজা ২/৫৬)
দোলেশ্বর ২৫৯/৭, ৪৮.১ ওভার (রেজা ৬৮*, আব্দুল্লাহ ৩৫, শরিফুল্লাহ ৩০, সাদ্দাম ৩/৪০, হাসান ২/৫৭)
ফল- দোলেশ্বর ৩ উইকেটে জয়ী
শেষ ৬০ বলে প্রয়োজন ৮৫ রান, হাতে মাত্র ৩ উইকেট। প্রাইম দোলেশ্বরের শেষ আশা বলতে তখন অধিনায়ক ফরহাদ রেজাই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নেওয়া খেলাঘরের কাছে তখন উঁকি দিচ্ছে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচেই জয়। তবে এরপর রেজা হয়ে উঠলেন ‘সুপার-ম্যান’, বলতে গেলে দোলেশ্বরকে জিতিয়ে দিলেন একা হাতেই, ৩৭ বলে ৬৮ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংসে!
২টি চারের সঙ্গে রেজা মারলেন ৭টি ছয়! স্ট্রাইক রেট ১৮৩.৭৮। শাহানুরের সঙ্গে গড়লেন ৮৭ রানের জুটি, এর মাঝে শাহানুরের অবদান মাত্র ১৯! ৪৭ ও ৪৮তম ওভার ছাড়া প্রতি ওভারেই ছয় মেরেছেন রেজা, খেলাঘরকে করে দিয়েছেন স্তব্ধ।
২৫৯ রানের লক্ষ্যে দোলেশ্বরের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানই ছুঁয়েছেন দুই অংক, তবে সর্বোচ্চ ৩৫ রান সাতে নামা ইকবাল আব্দুল্লাহর। ১৭২ রান পর্যন্ত দোলেশ্বর ৭ উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতেই, জিততে হলে দোলেশ্বরকে করতে হতো এরপর দারুণ কিছুর চেয়েও বেশি কিছু। ফরহাদ রেজা করলেন ঠিক সেটাই।
ফতুল্লায় এর আগে খেলাঘরের ইনিংসের উজ্জ্বল দিক তিন ফিফটি।
প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে ১২ ইনিংস খেললেন, একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে অশোক মেনারিয়া করলেন সাতটি ফিফটি। খেলাঘরের মুখে যে হাসি, তার অনেক বড় যোগানদাতা তো এই বাঁহাতি ভারতীয় অলরাউন্ডারই! সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে আজ দোলেশ্বরের সঙ্গে আবার করেছেন ফিফটি, তার সঙ্গে রবিউল ইসলাম রবি ও অমিত মজুমদারের ফিফটিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খেলাঘর করেছিল ৮ উইকেটে ২৫৮ রান। ৭৩ বলে ৬২ রান করেছেন রবি, ৬৩ বলে ৫০ করেছেন অমিত, ৬৪ বলে ৫৪ করেছেন মেনারিয়া।
৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানি, এই বাঁহাতি স্পিনারের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এটি চতুর্থবার ৫ বা এর বেশি উইকেট শিকার। খেলাঘরের লেট মিডল-অর্ডার ধসে দিয়েছেন তিনিই, তবে মইনুল ইসলামের ১৮ বলে ২১ ও তানভীরের ১০ বলে ১৭ রানের ছোট ক্যামিওতে উৎরে গেছে খেলাঘর।
তবে সেসব ক্যামিও বা তারও আগের ফিফটিগুলো ম্লান হয়ে গেছে রেজার ওই এক ইনিংসেই!