• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    রবিউলের প্রথম ৫ উইকেট, চাঁদের 'প্রথম' সেঞ্চুরি

    রবিউলের প্রথম ৫ উইকেট, চাঁদের 'প্রথম' সেঞ্চুরি    

    রুপগঞ্জ ২৬০/৯, ৫০ ওভার (নাঈম ৫১, তুষার ৪৮*, রসুল ৪৩, রবিউল ৫/৩৩, তানভীর ২/৪৮)
    শেখ জামাল ২৬২/৩, ৪৮ ওভার (চাঁদ ১২৭, তানভীর ৬৬, রাসেল ২/৫৩)
    ফল- শেখ জামাল ৩ উইকেটে জয়ী 


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন এখানে 


     

    রবিউল হকের লিস্ট ‘এ’-তে অভিষেক প্রিমিয়ার লিগের এ মৌসুমেই, এর আগে প্রতি ম্যাচেই নিয়েছিলেন উইকেট। আজ করলেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং, ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিলেন শেখ জামালের অফস্পিনার। প্রিমিয়ার লিগের এ মৌসুমে আজ প্রথম নেমেছিলেন উন্মুক্ত চাঁদও, গতবার প্রাইম ব্যাংকের হয়ে খেলে যাওয়া ব্যাটসম্যানকে এবার সুপার লিগে এনেছে শেখ জামাল। নেমেই সেঞ্চুরি করলেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। রবিউলের ৫ উইকেটের পর তার সেঞ্চুরিতেই রুপগঞ্জকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল। শেষ ম্যাচে এসে সুপার লিগ নিশ্চিত করা শেখ জামালের শুরুটাও হলো তাই দারুণ, সুপার লিগের প্রথম ম্যাচশেষে দুই দলের পয়েন্টই এখন সমান ১৪। 

    বিকেএসপিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪ রানেই ওপেনার আব্দুল মজিদকে হারিয়েছিল রুপগঞ্জ। এরপর দুই নাঈম- মোহাম্মদ ও ইসলাম মিলে যোগ করেছেন ৭৫ রান। ৪৩ রান করে মোহাম্মদ নাঈম ফিরলেও ফিফটি পেয়েছেন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম, করেছেন ৫১। এরপর মুশফিকুর রহিমের ৩৯, পারভেজ রসুলের ৪৪ রানের পর তুষার ইমরানের অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসে ২৬০ রানে পৌঁছায় রুপগঞ্জ। শেষদিকে ৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহটা এর বেশি হয়নি তাদের। এ ৩ উইকেটই নিয়েছেন রবিউল হক। এই ডানহাতি পেসার শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩৩ রানে। এর আগে তার সেরা বোলিং ছিল ৩৪ রানে ৩ উইকেট। 

    ১১ রানে রুপগঞ্জ ওপেনার সৈকত আলিকে ক্যাচ বানিয়েছেন সৈয়দ রাসেল। উন্মুক্ত চাঁদ ও রাকিন আহমেদ ২য় উইকেটে যোগ করেছেন ১৫০ রান, ৮৩ বলে ৫২ রান করে রাকিন বনেছেন রাসেলের দ্বিতীয় শিকার। তবে ছিলেন চাঁদ, আসিফ হাসানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৯৯তম বলে পূরণ করেছেন লিস্ট ‘এ’-তে নিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। 

    ৪৩তম ওভারে গিয়ে ১৩৩ বলে ১২৭ রান করে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন পারভেজ রসুলের বলে, এর আগে মেরেছেন ২০টি চার। তানভীরের সঙ্গে গড়েছেন ৬০ রানের জুটি, শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়েছেন এই তানভীরই। ৫২ বলে ৪টি চারের সঙ্গে ৩টি ছয়ে অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে, ১২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে গেছে শেখ জামাল।