• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    'সবাই কাঁদছিলাম। কেউ দেয়ালে, কেউ জার্সিতে মুখ লুকিয়েছিলাম'

    'সবাই কাঁদছিলাম। কেউ দেয়ালে, কেউ জার্সিতে মুখ লুকিয়েছিলাম'    

    কখনো কিছু পুরস্কার হয়ে থাকে শুধু সান্ত্বনা। ভুল হলো, শুধু সান্ত্বনা নয়, বরং হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগানোর মতো। সিকান্দার রাজার কাছে আইসিসি বাছাইপর্বের টুর্নামেন্টসেরা হওয়ার পুরস্কারও তেমন। জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে ওঠেনি, এই পুরস্কারের কোনো মূল্য নেই তাঁর কাছে। বরং মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ট্রফি তাঁকে মনে করিয়ে দেবে কোটি মানুষের স্বপ্নভঙ্গ। মনে করিয়ে দেবে, ড্রেসিংরুমে গিয়ে তাঁদের কান্নায় ভেঙে পড়া... দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে মুখ লুকানো।

    বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের কাজটা প্রায় ঠিকঠাকই করছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষ ম্যাচে গিয়েই হয়ে গেল গড়বড়। আমিরাতের কাছে হেরে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন বেরিয়ে গেল মুঠো গলে। ১৯৮৩ সালের পর এই প্রথম তারা হয়ে থাকল দর্শক। ৩১৯ রান ও ১৫ উইকেট নিয়ে রাজা হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরা, কিন্তু এটা তো এখন মূল্যহীন। ইএসপিএনক্রিকইনফোকে রাজা বলেছেন, সেই ম্যাচে হারের পর তারা কীভাবে ভেঙে পড়েছিলেন হতাশায়।

    ‘আমরা কেউই কিছু বলিনি। সবাই কাঁদছিল, আমিও কাঁদছিলাম। দেয়ালে মুখ লুকিয়ে বসেছিলাম, কেউ মুখ ঠেকেছিল জার্সিতে। সবাই নিজের জায়গায় চুপচাপ বসে ছিল, কারও মুখে ছিল না কিছু। স্ট্রিক আর ক্লুসনার (দুই কোচ) অনেক ভালো ভালো কথা বলছিল। ব্যস, ওটুকুই। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা জানি না আমাদের সামনে কী অপেক্ষা করছে। আমরা জানি না, এই ড্রেসিংরুমে কে আসবে। অনেক কিছুই হতে পারে, আমরা কিছুই জানি না।’

    ‘তবে এটা সবচেয়ে হৃদয়বিদারক নয়। সবচেয়ে বেদনার ব্যাপার, আমরা বিশ্বকাপে নেই। আমরা এরপর কেউ কারও সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগও করিনি। ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের সময় লেগেছে। ওপরওয়ালা জানেন, নিজেদের ধাতস্থ করতে আমাদের কতটা সময় লাগবে। আমার জন্য সৌভাগ্য, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপের হয়ে খেলব। ভবিষ্যত নিয়ে ভাবার সুযোগ পাব। ’

    রাজা বললেন, আরও অনেকদিন এই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে তাঁদের, ‘এই যন্ত্রণা আরও অনেক অনেক দিন থাকবে। পরের বছর বিশ্বকাপ, এটা আবার ফিরে আসবে। আমার মনে হয় এটা যদি কাটিয়েও উঠি, যখন দেখব জিম্বাবুয়েকে ছাড়া দারুণ একটা বিশ্বকাপ হচ্ছে, এটা আবার ফিরে আসবে। এই যন্ত্রণা অনেক অনেক দিন আমাদের তাড়া করে বেড়াবে। এটাই বাস্তবতা।  ’