অস্ট্রেলিয়াকে 'বদলে যেতে' বললেন লেম্যান
একটা ঘটনাই ওলট পালট করে দিয়েছে পুরো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে। বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় বহু নাটকের পর নিষিদ্ধ হয়েছেন দলের ব্যাটিংয়ের দুই মূল স্তম্ব স্মিথ-ওয়ার্নার, নিষিদ্ধ হয়েছেন নিজ হাতে বল টেম্পার করা ব্যানক্রফটও। এতকিছু ঘটলেও মুখে কুলূপ এটে ছিলেন দলের কোচ ড্যারেন লেম্যান। অবশেষে মূল খুললেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ। সবার কাছে ‘ক্ষমা’ চেয়ে লেম্যান বলছেন, তাকে নিজের মানসিকতা পাল্টাতে হবে, সাথে অস্ট্রেলিয়া দলকেও।
টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনার সাথে জড়িত নন লেম্যানসহ কোচিং স্টাফ, সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছিলেন স্মিথ। স্মিথের এমন মন্তব্যেই শাস্তির হাত থেকে বেঁচে গেছেন লেম্যান। তবে দলের ওপর দিয়ে যে ঝড় গেছে, সেই আঁচ ভালোভাবেই পড়েছে তার ওপর। ঘটনার পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসে সবকিছুর জন্য অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তিনি, ‘প্রথমেই আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই। শনিবার যা হয়েছে, তা একদমই কাম্য নয়। অস্ট্রেলিয়ার সবার মত আমরাও খুব বেশি হতাশ। ওরা তিনজন জানত শাস্তি অপেক্ষা করছে। তারা ভুল করেছে, ভুল সবাই করে তাইনা? আমিও অতীতে ভুল করেছি। তারা তরুণ, আশা করি তাদের একটা সুযোগ দেওয়া হবে।’
'জিততেই হবে, সেটা যেকোনো মূল্যেই!' দায়িত্ব নেওয়ার পর লেম্যানের কোচিংয়ের মূলমন্ত্র ছিল এমনটাই। সাফল্য এলেও এটার প্রভাব ভালোমতোই পড়েছে অস্ট্রেলিয়া দলে। সেই লেম্যানই এবার বলছেন বদলে যাওয়ার কথা, ‘আমরা যেভাবে খেলি, সেই মানসিকতাটা বদলাতে হবে। জেতার জন্য অবশ্যই খেলবো, কিন্তু সবকিছুর বিনিময়ে না। উদাহরণ হিসেবে নিউজিল্যান্ডকে সামনে রাখতে পারি আমরা, তারা যেভাবে খেলে ও প্রতিপক্ষকে সম্মান করে, এরকমটাই করতে চাই। আমরাও প্রতিপক্ষকে সম্মান করি, কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু ব্যাপারে সীমা অতিক্রম হয়ে যায়। আমাদের খেলাটাকে আরও বেশি সম্মান করতে হবে।’
এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন স্মিথ-ওয়ার্নার, নয় মাস নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন ব্যানক্রফট। চারপাশ থেকে তাদের দিকে ধেয়ে আসছে নানা সমালোচনা। লেম্যানের ভয়, এসবে তাদের ক্যারিয়ারের বড় ক্ষতি হতে পারে, ‘তাদের তিনজনকে আমরা সবাই ভালোবাসি। বিশেষ করে স্মিথের জন্য ব্যাপারটা মেনে নেওয়া কঠিন। সে ও তার পরিবার খুব খারাপ সময় পার করছে। সে ঘুরে দাঁড়াবে, এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। তাদের জন্য আমাদের সবারই কষ্ট হচ্ছে, খুব বেশি চিন্তাও হচ্ছে। পুরো ঘটনায় কোচ হিসেবে আমি হতাশ, লজ্জিত।’