নাফিসের দুই নম্বরে ম্লান আশরাফুলের চার নম্বর সেঞ্চুরি
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র- অগ্রণী ব্যাংক, বিকেএসপি
টস- কলাবাগান ক্রীড়া চক্র
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ২৪৬/৫ (আশরাফুল ১০৩*, তাইবুর ৮২, সৌম্য ২/৪৬)
অগ্রণী ব্যাংক ৪৫.৫ ওভারে ২৫০/৪ (নাফিস ১০৯, সালমান ৮২, আশরাফুল ২/৩৮)
অগ্রণী ব্যাংক ৬ উইকেটে জয়ী
আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি করে পরাজিত দলে ছিলেন। রেলিগেশন লিগের প্রথম ম্যাচেও সেঞ্চুরি পেয়ে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন মোহাম্মদ আশরাফুল। অগ্রণী ব্যাংকের শাহরিয়ার নাফিসের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ম্লান হয়ে গেছে কলাগাবানের আশরাফুলের সেঞ্চুরি, কলাবাগান হেরেছে ৬ উইকেটে। অগ্রণী ব্যাংকের পয়েন্ট এখন ১০, কলাবাগানের ৪। এক ম্যাচ কম খেলে ব্রাদার্সের পয়েন্ট ৮।
প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে আশরাফুলের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে অগ্রণী ব্যাংককে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দেয় কলাবাগান। সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঝড়ো সূচনা পায় অগ্রণী ব্যাংক। ৬ ওভারের মাঝেই ওঠে ৪৫ রান। ২ চার ও ২ ছয়ে ১৯ বলে ২৬ রানে ফেরেন সৌম্য। সৌম্য ফেরার পর নাফিস ও সালমান হোসেনের জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় কলাবাগান।
১৩ চার ও ২ ছয়ে ১৪২ বলে নাফিস করেন ১০৯ রান। এটি এবারের মৌসুমে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ৪১তম ওভারে ২১৭ রানের মাথায় আশরাফুলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে ১৭২ রানের জুটি। ততক্ষণে অবশ্য জয় অনেকটাই নিশ্চিত অগ্রণী ব্যাংকের। নাফিসের সাথে সেঞ্চুরি পেতে পারতেন সালমানও। তবে সেঞ্চুরি থেকে ১৭ রান দূরে থাকতে নাহিদের বলে আউট হন। ১১ চারের ইনিংসে ৯৩ বলে করেছেন ৮৩। অগ্রণী ব্যাংক জয় পেয়েছে ২৫ বল হাতে রেখেই।
বিকেএসপিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল কলাবাগান। শুরুটা ভালো না হলেও আশরাফুল-তাইবুর জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা। আশরাফুল অপরাজিত ছিলেন ১০৩ রানে, তাইবুর আউট হয়েছে ৮২ করে। শেষের দিকে রিজাউল হুদার ৩ ছয়ে সাজানো ২৭ রানের ক্যামিওতে ২৪৬ রান করে কলাবাগান।