ইউনাইটেডকে হারালেই শিরোপা সিটির
৯০ মিনিটের একটা ম্যাচ, তাও আবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে, নিজেদের ঘরের মাঠে। ম্যানচেস্টার সিটির দরকার জয়। তাহলেই গত সাত বছরে তৃতীয়বারের মতো আরও একবার প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলবে ম্যানচেস্টার সিটি। আজ এভারটনকে গুডিসন পার্কে ৩-১ গোলে হারানোর পর ম্যান সিটি আর শিরোপার মধ্যে দূরত্ব দাঁড়িয়েছে ৩ পয়েন্ট। আগামী শনিবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ডার্বিতেই তাই নির্ধারন হয়ে যেতে পারে এবারের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা।
এই সমীকরণটা আগে থেকেই জানা ছিল সিটিজেনদের। এভারটনকে হারানোর পর মাঠের ভেতর সব খেলোয়াড়দের এক হয়ে করা উদযাপনটাও বোধ হয় সে কারণেই ছিল! এর চেয়ে বড় উপলক্ষ্য আর কী হতে পারে!
অবশ্য অন্য একটা কারণও লুকিয়ে থাকতে পারে অমন উদযাপনের। গত বছর এই মাঠেই ৪-০ গোলের হেরেছিল পেপ গার্দিওলার দল। সেই প্রতিশোধটাও সিটির নেওয়া হয়ে গেল আজ। চার নম্বর বারে এসে অবশেষে এভারটনকে হারাতে পারলেন গার্দিওলাও! ম্যাচটা অবশ্য প্রথমার্ধেই নিজেদের পকেটে পুরে নিয়েছিল সিটি, তিন গোলে এগিয়ে গিয়ে। শুরুটা করেছিলেন লিরয় সানে, ম্যাচের ৪ মিনিটে গোল করে। এর কিছুক্ষণ পর কেভিন ডি ব্রুইনার ক্রস থেকে হেড দিয়ে গোল করেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। বড় জয়ের ইঙ্গিত দিতে থাকা সিটি ৩৭ মিনিটে আবারও বল জড়ায় এভারটনের জালে। এবার গোলের খাতায় নাম লেখান রাহিম স্টার্লিং। সানের মতো তার গোলের উৎসও ছিলেন ডেভিড সিলভা।
প্রথমার্ধে তিন শট অন টার্গেট থেকেই গোল করেছিল সিটি। ফার্নান্দিনহো আর ডি ব্রুইন ছিলেন সিটির আধিপত্যের মূল কারিগর। এই দুইজন যথাক্রমে ৬১ ও ৬২ টি পাস দিয়েছিলেন কেবল প্রথমার্ধে। অন্যদিকে পুরো এভারটন দল মিলেই প্রথমার্ধে সফল পাস দিতে পেরেছিল মাত্র ৫৯ টি।
পরের অর্ধে অবশ্য কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল এভারটন। ৬৩ মিনিটে ইয়ানিক বোলাইসে গোল করার পরও ব্যবধানটা ছিল দুই গোলের। এরপর দুই একটা হাফ চান্স পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি এভারটন। আর সিটিও পারেনি জয়ের ব্যবধানটা বড় করতে।
এভারটনকে হারিয়ে একটা চক্র পূরণ হয়েছে গার্দিওলারও। প্রিমিয়ার লিগের সবগুলো দলকেই হারানো হলো তার। গার্দিওলা সময় নিলেন ৬৯ ম্যাচ, প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ডবুকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মাত্র ৬৩ ম্যাচ খেলেই হোসে মরিনহো হারিয়েছিলেন সব দলকে। এই রেকর্ডটা নিয়ে অবশ্য গার্দিওলার মাথাব্যাথা থাকার কথা নয়। পরের ম্যাচটা তো মরিনহোর দলের বিপক্ষেই! ইংল্যান্ড তো জয় করে নিয়েছেন আগেই, এবার আনুষ্ঠানিকতার পালা। সেটা মরিনহোর বিপক্ষে সারতে পারলে গার্দিওলার চেয়ে বেশি খুশি হবেন না আর কেউই!