হলিউডের মতোই জেতালেন ইব্রা
ম্যাচের ৭৭ মিনিট। লস এঞ্জেলেস ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে এলএ গ্যালাক্সি তখনও পিছিয়ে ৩-২ গোলে। মাঝমাঠে ড্যানিয়েল স্টেরেসের কাছ থেকে বল পেলেন ইব্রাহিমভিচ। সামনের দিকে না এগিয়ে সেখান থেকেই করলেন শট। ইব্রার হাফ ভলিতে বল গোলপোস্টের ভেতরে উড়ে গেলো গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে। সমতা এনে জার্সি খুলে ইব্রার বুনো উল্লাস। মাঠে নামার পর যুক্তরাষ্ট্রে গোল করতে 'দ্যা লায়ন' সময় নিলেন ৬ মিনিট! এরপর ইনজুরি টাইমে ম্যাচটা ছিনিয়েই নিলেন লস অ্যাঞ্জেলস এফসির কাছ থেকে। ৯১ মিনিটে হেড থেকে ইব্রা করলেন আরেক গোল। তিন গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচ গ্যালাক্সি জিতল, ৪-৩ ব্যবধানে! এমন অভিষেক তো ইব্রাহিমোভিচকেই মানায়!
৭১ মিনিটে যখন বদলি হয়ে মাঠে নামছিলেন তখন তার দল এলএ গ্যালাক্সি পিছিয়ে ছিল ৩-১ গোলে। ইব্রাহিমোভিচ মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যেই লাইফ লাইন গোলটা পেয়ে যায় গ্যালাক্সি। এরপর সমতায় ফেরানো সেই গোল।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইব্রা। এলএ গ্যালাক্সির হয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই বুঝিয়ে দিলেন, এখনো ফুরিয়ে যাননি! ৪৮ মিনিটের মাঝেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইব্রার দল। বড় পরাজয়ই তখন চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছিল তাদের। ৬১ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান সেবাস্তিয়ান। ১০ মিনিট পর মাঠে নামে ইব্রা। ৭৩ মিনিটে পনিতাসের গোলে কিছুটা আশার আলো দেখতে পায় এলএ গ্যালাক্সি।
পরের গল্পটা শুধুই ইব্রাহিমভিচের। ৭৭ মিনিটের সেই দুর্দান্ত ভলিতে যেন উল্লাসে ফেটে পড়েছিল স্টেডিয়ামের দর্শক। গোলের পর উদযাপনের জন্য অবশ্য হলুদ কার্ডও দেখেছেন। তবে তাতে ‘থোড়াই কেয়ার’ করেন ইব্রা!
শেষ বাঁশি বাজতে কয়েক সেকেন্ড বাকি। ড্রকেই মনে হচ্ছিল সম্ভাব্য ফলাফল। কিন্তু তখনও যে ইব্রা ম্যাজিক বাকি! অ্যাশলি কোলের ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড করলেন। সেই হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি। প্রথম ম্যাচেই জয়ের নায়ক হয়ে ইব্রা হার মানালেন হলিউডের গল্পকেও!