বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে দলীয় সংস্কৃতির সম্পর্ক দেখছেন না পন্টিং
নিজের শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করছেন না স্টিভ স্মিথ। ক্যামেরন ব্যানক্রফট বা ডেভিড ওয়ার্নারও মেনে নিয়েছেন তাদের ভাগটুকু। স্মিথ বলেছিলেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যে শক্ত বার্তা দিতে চায়, সেটার পক্ষে তিনিও বলেই এমন সিদ্ধান্ত। সেই বার্তার অনেকখানি জুড়েই আছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের সংস্কৃতি, তাদের খেলার পদ্ধতি সম্পর্কে নতুন করে ভাবা, নতুন রাস্তায় হাঁটা। পদত্যাগ করার আগে কোচ ড্যারেন লেম্যান তো এটাও বলেছিলেন, আচার-আচরণে নিউজিল্যান্ড হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার আদর্শ।
তবে দলীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে তোলা আঙুলগুলোকে গ্রাহ্য করছেন না সাবেক অধিনায়ক ও লেম্যানের সম্ভাব্য উত্তরসূরি রিকি পন্টিং। কেপটাউনে বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে দলীয় সংস্কৃতিকে মেশাতে রাজি নন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক। আইপিএলের দল দিল্লীর কোচ হিসেবে বর্তমানে ভারতে আছেন পন্টিং। সেখানেই তিনি মুখ খুলেছেন বল টেম্পারিং ইস্যু নিয়ে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া শাস্তি যুগোপযোগী মনে করলেও তার ধারণা, দলের সংস্কৃতি একেবারেই গোল্লায় যায়নি।
‘এই সংস্কৃতির ব্যাপারটা মনোযোগ আকর্ষণের মতো। খুব বেশিদিন না, কয়েক মাস আগেও অস্ট্রেলিয়া যখন অ্যাশেজ জিতল তাদের মতো করে, তখন এসব নিয়ে কথা হয়নি’, বলেছেন পন্টিং, ‘আমার সত্যিই মনে হয়, এই সংস্কৃতির ব্যাপারটা বেশিদূর নিয়ে যাওয়া হয়েছে, মূল ব্যাপারটা থেকে সরে এসে।’
তবে বল টেম্পারিংয়ের এই ঘটনায় আর সব অস্ট্রেলিয়ানের মতো ধাক্কা খেয়েছেন তিনিও, ‘সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক হিসেবে, মাঠে যা হয়েছে সেটা জানার পর আমি ধাক্কা খেয়েছি। তবে আমার কাছে স্বস্তির ব্যাপারটা হচ্ছে, যেভাবে এই ব্যাপারটা শেষ হতে যাচ্ছে। (স্মিথ ও ব্যানক্রফটের পর) ওয়ার্নারও শাস্তি মেনে নিয়েছে, তিনজনই তাদের শাস্তি মেনে নিল।’
এই ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া বেশ এক ঝাঁকুনি খেয়েছে বলেই মত দুইবার বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের, ‘সপ্তাহ দেড়েক আগেও আমি যখন দেশে ছিলাম, অস্ট্রেলিয়াতে এই ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবেই কতো বিশাল আকার ধারণ করেছিল, সেটা দেখেছি। আমাদের সমর্থকরা অস্ট্রেলিয়াকে ঠিকভাবেই খেলতে দেখতে যায়। এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ হিসেবে আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়ানরা মনে করেছে তাদের ক্রিকেটাররা ন্যায্যভাবে এটা খেলেনি।’
এমন বিষয়ের পর তাকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হলে তিনি কী করতেন, এমন প্রশ্নের জবাবে পন্টিং বলেছেন, সেটা মন্তব্য করা সমীচিন হবে না তার জন্য। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ঠিক পথই বেছে নিয়েছে বলে মনে করেন তিনি, ‘এক বছরের নিষেধাজ্ঞা বেশ কঠোর মনে হতে পারে। তবে আমার মনে হয়, এই অবস্থা এমন কিছুই চাইছিল। বিশ্ব ক্রিকেট এবং অস্ট্রেলিয়ার জনগণ চাইছিল, যাতে এসব ক্রিকেটারদের একটা নির্দিষ্ট ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়।’