বলিভিয়াকে উড়িয়ে দিল চিলি
অবশেষে স্বরূপে ফিরলো চিলি!!
এই কোপার অন্যতম দাবীদার মনে করা হচ্ছে তাঁদেরকে। কেন মনে করা হচ্ছে তা এতোদিন পুরোপুরিভাবে বুঝাতে পারছিলো না চিলি। আজ পারলো। তাতেই চিলি নামক আগ্নেয়গিরির লাভায় পুড়ে ছারখার হয়ে গেলো বলিভিয়া নামক নগরী। গাড়ি দুর্ঘটনায় পুলিশি তদন্তের মুখে পড়ার পর আরতুরো ভিদালের মাঠে নামা নিয়ে সংশয় ছিল। ভিদাল দেখিয়েছেন, কেন তাঁকে চিলির প্রাণভোমরা বলা হয়।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দারুণ খেলছিলো বলিভিয়া। প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর সাথে ড্র করার পর পরের ম্যাচে হারিয়েছিল ইকুয়েডরকে। আজ তাঁদেরকেই খুঁজে পাওয়া গেলো না চিলির সামনে।
এই ম্যাচের প্রথম থেকেই দেখা যায় চিলির আক্রমণ। খেলা শুরু হওয়ার মিনিটখানেকের মধ্যেই গোল করে বসেন আরাঙ্গুইজ। তাঁর ডান পায়ের জোরালো শট ঠেকানোর উপায় জানা ছিল না বলিভিয়া গোলকিপারের। সানচেজ প্রতি ম্যাচের মতো আজও অসাধারণ খেলছিলেন। শুধু গোলটাই পাচ্ছিলেন না। একবার ফ্রিকিক থেকে নেওয়া শট ফিরে আসলো বারে লেগে। অবশেষে ৩৭ মিনিটে ভালদিভিয়ার ক্রসে নিখুঁত টাইমিঙের এক হেডে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম গোল পেলেন সানচেজ। চিলি এগিয়ে যায় ২-০ তে।
স্কোর ২-০ হয়ে যাওয়ার পর জয় নিশ্চিত জেনে চিলির কোচ সাম্পাওলি স্কোয়াডের বাকিদেরও বাজিয়ে দেখতে চাইলেন। তাই তিনি তুলে নিলেন ভিদাল আর সানচেজকে। কোচের সামনে নিজেদেরকে মেলে ধরতে যেন উদগ্রীব হয়ে উঠলেন অন্যরা। ফলাফল দ্বিতীয়ার্ধে আরও ২ গোল। তার মধ্যে এক গোল আরাঙ্গুইজের, অন্য গোলটি গ্যারি মেডেলের, যে গোলের সরাসরি উৎস ছিলেন জর্জ ভালদিভিয়া। এর আগে সানচেজকে দিয়ে গোল করালেন, পুরো মাঠ দাপিয়ে বেড়ালেন। ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ যে ভালদিভিয়া হবেন এতে আশ্চর্য কি!
চিলির পক্ষ থেকে বলিভিয়ার উপরে গোলবৃষ্টি হলো। মজার ব্যাপার হল, চিলির সাথে বলিভিয়ার একজন খেলোয়াড়ও তাতে অংশ নিলেন। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঢুকিয়ে দিলেন বলিভিয়ার রোনাল্ড রালডেস। স্কোর ৫-০ হল তাতেই।
এই পরাজয়ে বলিভিয়ার এমন কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি হয়ে যায়নি। আগের ম্যাচেই মেক্সিকো, ইকুয়েডরের কাছে হেরে সমীকরণ সহজ করে দিয়েছিলো তাঁদের। তাই হেরেও গ্রুপ ‘এ’ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে চিলির সঙ্গী হয় বলিভিয়া।
সামনেই কোয়ার্টার ফাইনাল। নকআউট স্টেজ। হারলেই বাদ। এমন অবস্থায় খেলতে নামার আগে এই ৫-০ ব্যবধানের জয় সাথে রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দের দারুণ পারফরম্যান্স যে চিলিয়ানদের মনোবল অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে সে আর না বললেও চলছে। নিশ্চিত থাকতে পারেন, নকআউটে আরও বিধ্বংসী চিলিকে দেখতে পাবেন।
কোপার প্রথম শিরোপা থেকে চিলির দূরত্ব আর মাত্র ৩ ম্যাচ।