• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগেঃ গার্দিওলার আশা, দল খেলবে নির্ভুল ফুটবল

    কিক অফের আগেঃ গার্দিওলার আশা, দল খেলবে নির্ভুল ফুটবল    

    লিভারপুল বলেই ভরসা পাচ্ছে সিটি

    ম্যানচেস্টার সিটি বনাম লিভারপুল; চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল দ্বিতীয় লেগ; ৩ (৪) এপ্রিল, রাত ১২ঃ৪৫; টেন ২

     

    এই মৌসুমে ৫টি ম্যাচে এগিয়ে থেকেও জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি লিভারপুল। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতলেও তাই দ্বিতীয় লেগের আগে পা মাটিতেই রাখছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ, “সিটি টাইয়ে ফিরতে পারবে না এই চিন্তা অবান্তর। শেষ দুই ফলাফল তাদের পক্ষে না গেলেও পেপ-এর (গার্দিওলা) দল যেকোনো মুহূর্তে ফিরতে পারে স্বরূপে”। টানা দুই হারের পরও মনোবল দৃঢ়ই আছে গার্দিওলার, “গত সপ্তাহের দুই হার আমরা ভুলে গেছি। কারণ ভাল ফুটবল খেলতে হলে অবশ্যই আমাদের আশাবাদী থাকতে হবে। আমাদের পুরো মনযোগ এখন চ্যাম্পিয়নস লিগের দিকেই।" সিটি ম্যানেজারের আশা, দল খেলবে পারফেক্ট ফুটবল। "একমাত্র পজিটিভ ফুটবলই কালকের ম্যাচের জন্য ভালো ফুটবল। পরের রাউন্ডে যেতে হলে নির্ভুলভাবে খেলতে হবে। সুযোগ তৈরি করতে হবে বেশি, আর নিজেদের রক্ষণের কাজটা করতে হবে ভালো। আমাদের হাতে আছে ৯০ মিনিট, আমরা কেবল চেষ্টাটাই করতে পারি।"
    "এটা একটা পরীক্ষা। ফুটবল জীবনের মতোই। এটা একটা চ্যালেঞ্জ।"

    মৌসুমের সবচেয়ে বড় ম্যাচে পূর্ণশক্তির দলই পাচ্ছেন গার্দিওলা। ফিরেছেন দলের মূল স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো। তবে এদিক দিয়ে খুব একটা নির্ভার থাকতে পারছেন না ক্লপ। ইনজুরির কারণে ম্যাচটি মিস করবেন এমরে চান। বহিষ্কারাদেশের খড়গে দর্শক হয়েই থাকতে হবে ক্লাব অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসনকে। তবে ক্লপের সবচেয়ে বড় সংশয় মোহাম্মদ সালাহর খেলা নিয়ে। অনুশীলনে ফিরলেও এখনও পুরোপুরি ফিট নন তিনি।

     

     

    সম্ভাব্য মূল একাদশঃ

    ম্যান সিটি (৪-২-৩-১): এডারসন; ওয়াকার, কম্পানি, ওটামেন্ডি, দানিলো; ফার্নান্দিনহো, সিলভা; স্টার্লিং, ডি ব্রুইন,সানে; আগুয়েরো

    লিভারপুল (৪-৩-৩): কারিওস; আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, লভ্রেন, ভ্যান ডাইক, রবার্টসন; মিলনার, অক্সলেড-চেম্বারলেইন, ওয়াইনাল্ডাম; সালাহ, ফিরমিনো, মানে

    লিভারপুলের নড়বড়ে রক্ষণ ভরসা দেখাচ্ছে সিটিকে। তবে গত সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগের সেরা আক্রমণভাগের বিপক্ষে ঠিকই ক্লিনশিট রেখেছিল ক্লপের দল। সেমিতে জায়গা পাকা করতে হলে আবারও ডি ব্রুইন, ডেভিড সিলভা, লিরয় সানেদের আটকাতে হবে লিভারপুলকে। জয়ের জন্য হন্যে হয়ে ছুটলেও প্রতি আক্রমণে দুর্ধর্ষ মানে-সালাহদের বিপক্ষে সতর্ক থাকতে হবে ওটামেন্ডি-কম্পানিকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এর আগে মাত্র দু’বার ‘নক-আউট’ পর্বে প্রথম লেগ তিন বা ততোধিক গোলে হেরেও পরের রাউন্ডে গেছে সেই দল (দেপোর্তিভো ২০০৩-০৪, বার্সেলোনা ২০১৬-১৭)। এই মৌসুমে একাধিক রেকর্ড নিজেদের করে নেওয়া গার্দিওলার সিটি কি পারবে আরও এক রেকর্ডে ভাগ বসাতে? নাকি এক দশক পর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে খেলবে লিভারপুল?

     

     

    ‘অপরাজেয়’ স্তাদিও অলিম্পিকো এবং রোমার অনুপ্রেরণা

    রোমা বনাম বার্সেলোনা; ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল দ্বিতীয় লেগ; ৩(৪) এপ্রিল, রাত ১২ঃ৪৫; টেন ১

     

    প্রথম লেগে ৪-১ গোলের জয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে বার্সেলোনা। রোমার মাঠ স্তাদিও অলিম্পিকোতে দ্বিতীয় লেগ নিছক আনুষ্ঠানিকতা মনে হলেও একদমই আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না ভালভার্দে, “প্রথম লেগে হারলেও রোমা প্রমাণ করেছে দল হিসেবে তারা অসাধারণ এবং আত্মবিশ্বাসী। কালকের ম্যাচে আমরা এমনভাবে খেলব যেন প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগে মাত্র ১০ মিনিট খারাপ খেলাই আমাদের বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে পারে”।

    সেমিতে যেতে হলে তিন গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে রোমাকে, ১৯ ম্যাচ ধরে অপরাজিত বার্সার বিপক্ষে যা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু তারপরও আশাহত হচ্ছেন না রোমা কোচ ইউসেবিও ডি ফ্রাঞ্চেস্কো, “আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। কালকে অবিস্মরণীয় কিছু করার একটা সুযোগ আছে আমাদের সামনে। কাজটা কঠিন হবে কিন্তু আমরা বিশ্বাস হারাচ্ছি না”।

    ইনজুরির কারণে রোমার হয়ে ম্যাচটি মিস করবেন রিক কার্সড্রপ এবং ডিয়েগো পেরোত্তি। প্রথম লেগ মিস করলেও আজ ফিরছেন রোমার মাঝমাঠের প্রাণভোমরা রাজা নাইঙ্গোলান। একই কারণে বার্সার হয়ে থাকছেন না লুকাস ডিন। পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় খেলা নিয়ে সংশয় আছে সার্জিও বুস্কেটসেরও। মাঝমাঠে বুস্কেটসের অনুপস্থিতি বেশ ভোগাতে পারে বার্সাকে।

     

     

    সম্ভাব্য মূল একাদশঃ

    রোমা (৪-২-৩-১): অ্যালিসন; ফ্লোরেঞ্জি, মানোলাস, ফাজিও, কোলারভ; স্ট্রুটম্যান, ডি রসি; উন্দার, নাইঙ্গোলান, জার্সন; জেকো

    বার্সেলোনা (৪-৪-২): টার স্টেগান; রবার্তো, উমতিতি, পিকে, আলবা; পাওলিনিয়ো, ইনিয়েস্তা, রাকিটিচ, ডেম্বেলে; মেসি, সুয়ারেজ

    বার্সার বিপক্ষে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করার আগে রোমাকে আশা দেখাচ্ছে ইতিহাস। নিজেদের মাঠে এখনও বার্সার বিপক্ষে অপরাজিত রোমা (১ জয়, ১ ড্র)। ইতালির মাঠে সিরি আ-র দলগুলোর বিপক্ষে বার্সার রেকর্ডটাও খুব একটা সুবিধার না (৪ ড্র, ২হার)। ওদিকে অলিম্পিকোতে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচে গোল খায়নি রোমা, জিতেছে শেষ তিনটিই। রোমা কি পারবে অবিস্মরণীয় কিছু উপহার দিতে? নাকি শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করবে বার্সা?