• নিদাহাস ট্রফি ২০১৮
  • " />

     

    মিরাজের চোট মনে করিয়ে দিয়েছে মুস্তাফিজকে

    মিরাজের চোট মনে করিয়ে দিয়েছে মুস্তাফিজকে    

    হঠাৎ করেই যেন জাতীয় দলে চোটের হিড়িক। নাসির হোসেন মাঠের বাইরে চলে গেছেন লম্বা সময়ের জন্য। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদও পড়েছেন চোটে। এই দুজনের কেউই বিসিএলে খেলছেন না, কবে মাঠে নামবেন সেটা নিয়েও আছে সংশয়। আজ বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, মিরাজের চোট মুস্তাফিজের মতোই।

    এই কাঁধের চোট ২০১৬ সালে পাঁচ মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে দিয়েছিল মুস্তাফিজকে। ওই অস্ত্রোপচার করা হয়েছি মুস্তাফিজের কাঁধে, মিরাজের চোটেও তা দরকার হতে পারে। আজ বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন তা।

    ‘ও ডান কাঁধে চোট পেয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় থেকেই ওকে এটা ভোগাচ্ছে। চিকিৎসাও হয়েছে। তবে মোটামুটি ম্যানেজেবল অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি ওর থ্রোয়িংয়ে সমস্যা হচ্ছিল। আমরা কনজারভেটিভ উপায়ে চেষ্টা করছি ম্যানেজ করার জন্য। ইনজেকশন অথবা ফিজিওথেরাপি দিয়ে ম্যানেজ করার জন্য। তার পর ব্যথা না কমলে, সমস্যা থেকে গেলে পরবর্তীতে অপারেশনে যেতে হবে।’

    দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, মুস্তাফিজের ক্ষেত্রেও একই রকম চোটে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল, ‘ হ্যাঁ, মুস্তাফিজের যে ইনজুরিতে অপারেশন করতে হয়েছে, অনেকটা কাছাকাছি ধরনেরই ইনজুরি এটা। মুস্তাফিজের সময় কনজারভেটিভ ওয়েতে চেষ্টা করেছিলাম। সফল না হওয়াতে পরে অপারেশন হয়। ’

    তবে মিরাজের ব্যাটিং-বোলিং করতে আপাতত বড় সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন, ‘ওর ব্যাটিংয়ের সমস্যা হচ্ছে না। মূল সমস্যা থ্রোয়িংয়ে। বোলিংও করতে পারছে। তবে প্রথম দিকে দুই তিন ওভার ধুঁকছে। পরে শরীর গরম হলে ব্যথা কমে আসছে। তবে এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এরকম ইনজুরি নিয়ে চলা মুশকিল। আমরা চেষ্টা করব পুরোপুরি ঠিক করতে। কনজারভেটিভ উপায়ে না হলে দেড়-দুই মাস পর অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    তাসকিন আহমেদের সমস্যা পিঠে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই চোট ভোগাচ্ছে তাঁকে। ডা. দেবাশীষের আশঙ্কা, এই চোট প্রভাব ফেলেছে তাঁর পারফরম্যান্সেও। তবে তা গুরুতর নয় বলে মনে করছেন, ‘গত ৩-৪ মাস ধরে ওর ব্যক পেইন। এই ব্যাক পেইন পেস বোলারদের জন্য খুবই কমন। এতদিন ম্যানেজেবল অবস্থায় ছিল। গত ৩-৪ মাস ধরে ভোগাচ্ছে। ওর পারফরম্যান্সে নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে, ব্যাক পেইন একটা কারণ হতে পারে। চেষ্টা করছি কিছু ওষুধ ও ফিজিওথেরাপি দিয়ে ম্যানেজ করার। পরিস্থিতি এই পর্যায়ে যায়নি যে অপারেশন লাগবে। আশা করছি ইনজেকশন, ফিজিওথেরাপি ও এক্সারসাইজ, এসব দিয়েই ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।’