হরিষে বিষাদে ওয়েঙ্গারের বাইশ
২২ বছর কাটিয়ে এই মৌসুম শেষে আর্সেনাল থেকে বিদায় নেবেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। ইংলিশ ফুটবলে ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল ছাড়া নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে গত কয়েক বছরে। একটা সময় বিরক্তির পাত্রেও পরিণত হয়েছিলেন নিজ দলের সমর্থকদের কাছে। শুরুর যাত্রার সঙ্গে এই সময়টার বিস্তর ফারাক।
১৯৯৬-৯৭
আর্সেন হু? নতুন আর্সেনালের ম্যানেজারের নাম জানতেন না বেশিরভাগ আর্সেনাল সমর্থকেরাও। দলের হাল ধরেই অবশ্য রঙ বদলে দিয়েছিলেন অপরিচিত সেই ফ্রেঞ্চম্যানই। যদিও ফেব্রুয়ারি মাসে খেই হারিয়ে আর প্রথম মৌসুমেই লিগ জেতা হয়নি। ওয়েঙ্গারের দল লিগ শেষ করেছিল ৩ নম্বরে। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগেও বাছাই করতে পারেনি। কিন্তু প্রথম বছরে নিজেকে চিনিয়েছিলেন ঠিকই। ইংল্যান্ডে যে একজন নতুন ‘ফুটবল দার্শনিকের’ আবির্ভাব ঘটেছে সেটা প্রথম মৌসুম পরেই জেনে গিয়েছিল সবাই।
১৯৯৭-৯৮
এবার মৌসুমের শুরু থেকেই দলের দায়িত্ব পেলেন। দলবদলে ওয়েঙ্গারকে দেওয়া হলো পূর্ণ স্বাধীনতাও। এমানুয়েল পেটিট, মার্ক ওভারমার্সদের কিনেছিলেন ওই মৌসুমেই। এবারের ফেব্রুয়ারির মাহাত্ম্য গেল উলটে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ১২ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল আর্সেনাল। কিন্তু এবার ঠিকই লিগ জেতেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। লিগ জিতেই থামেননি, ইংল্যান্ডে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে জেতেন এফএ কাপও। ১৯৭১ সালের পর প্রথমবার ডাবল জেতে আর্সেনাল। ১৯৯২ সালের পর আর্সেনালকে নিয়ে যান চ্যাম্পিয়নস লিগেও। প্রথম মৌসুমে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন, পরের মৌসুমে সেটা করেই দেখালেন ওয়েঙ্গার।
১৯৯৮-৯৯
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে সেবার আর লিগ জেতা হয়নি ওয়েঙ্গারের। এফএ কাপে রায়ান গিগসের সেই বিখ্যাত অতিরিক্ত সময়ের গোলে সেমিফাইনাল থেকে বাদ।
১৯৯৯-০০
নিকোলাস আনেলকার সঙ্গে থিয়েরি অঁরিকে নিয়ে আক্রমণভাগ সাজাতে চেয়েছিলেন ওয়েঙ্গার। জুভেন্টাস থেকে অঁরিকে আনতে পারলেন ঠিকই, কিন্তু আনেলকা চলে গেলেন রিয়াল মাদ্রিদে। রক্ষণেও বড়সড় একটা পরিবর্তন এনেছিলেন আর্সেনাল ম্যানেজার। এবারও তাই লিগ জেতা হলো না। চ্যাম্পিয়নস লিগেও আগেরবারের মতোই গ্রুপ পর্বও পেরুনো হলো না। কিন্তু সেটাই সুযোগ করে দিলো ইউয়েফা কাপে। দেখতে দেখতে টুর্নামেন্টের ফাইনালেও উঠে গিয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু ফাইনালে গ্যালাটাসারেইর কাছে টাইব্রেকারে হেরে আর শিরোপা জেতা হয়নি আর্সেন ওয়েঙ্গারের।
২০০০-০১
পেটিট, ওভারমার্সরা এবার পাড়ি জমালেন বার্সেলোনাতে। তাদের জায়গায় এলেন রবার্ট পিরেস। এবারও দুইয়ে থেকে লিগ শেষ। এফএ কাপের ফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে আরও একবার শিরোপাশুন্য ওয়েঙ্গার।
২০০১-০২
সল ক্যাম্পবেল, জিওভান্নি ভ্যান ব্রঙ্কর্স্টকে দলে ভিড়িয়ে রক্ষণে বদল আনলেন ওয়েঙ্গার। ইউনাইটেডের কাছে লিগ হারানোর প্রতিশোধও নিলেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডেই ইউনাইটেডকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করল গানাররা। আর লন্ডনের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী চেলসিকে ফাইনালে হারিয়ে ৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আর্সেনালকে ডাবল জেতালেন ওয়েঙ্গার।
২০০২-০৩
ক্লাব অধিনায়ক টনি অ্যাডামস অবসর নেওয়ার পর প্যাট্রিক ভিয়েরাকে নতুন অধিনায়ক করলেন ওয়েঙ্গার। তবে এবার আর লিগ জেতা হলো না। আবারও দুই নম্বরেই থাকল তারা। প্রিমিয়ার লিগ পুনুরুদ্ধার করতে না পারলেও এফএ কাপ জিতে দুঃখ ভুললেন ওয়েঙ্গার।
২০০৩-০৪
আর্সেনালের ‘ইনভিন্সিবলস’ হয়ে ওঠার মৌসুম। প্রিমিয়ার লিগে সেবার ৩৮ ম্যাচ পার করে দিয়েছিল আর্সেনাল না হেরেই। অথচ মৌসুম শুরুর আগে দলে ছিল প্রায় অপরিবর্তিত। ইয়েন্স লেম্যান যুক্ত হয়েছিলেন দলে। আর বার্সেলোনা থেকে আসা ফ্রান্সেস ফ্যাব্রিগাস ছিলেন মূলত একাডেমির জন্য। সেই দল নিয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়নস লিগে দ্বিতীয়বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ওয়েঙ্গারের দল। প্রতিপক্ষ ছিল চেলসি, ওই মৌসুমে তার আগে আরও তিনবার চেলসিকে হারিয়েছিল আর্সেনাল। মাঠের খেলা দিয়ে আর্সেনাল তখন ফুটবল পূজারীদের নমস্য। খোদ ইয়োহান ক্রুইফও ভক্ত বনে গিয়েছিলেন তাতে। কিন্তু চেলসির কাছে হেরে আর সেবার কোয়ার্টার বাধা পার করা হয়নি আর্সেনালের। তাতে অবশ্য খুব বেশি কিছু যায় আসেনি। ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাস বদলে লিগে অপরাজিত থাকার কথাই মনে রেখেছে সবাই। এই মৌসুমটার জন্যই বিখ্যাত হয়ে আছেন আর্সেন ওয়েঙ্গার, থাকবেনও চিরকাল।
২০০৪-০৫
আর্সেনালের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা থেমেছিল ৪৯ এ গিয়ে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে। পরে লিগ শিরোপাটাও তাদের কাছে হারতে হয়েছিল। যদিও ফাইনালে ইউনাইটেডকেই টাইব্রেকারে হারিয়ে এফএ কাপ জিতেছিল আর্সেনাল।
২০০৫-০৬
প্যাট্রিক ভিয়েরার বিদায়ের পর প্রথম মৌসুম। লিগে একেবারেই সুবিধা করতে পারল না আর্সেনাল। ইংল্যান্ডে আসার পর তখন পর্যন্ত ওয়েঙ্গারের দলের সবচেয়ে বাজে অবস্থান; চারে থেকে শেষ আর্সেনালের মৌসুম। কিন্তু গানাররা সেটা পুষিয়ে দিয়েছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ দিয়ে। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠে আর্সেনাল। কিন্তু দশ জনের দল নিয়ে এগিয়ে গিয়েও বার্সার কাছে হেরে আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি ওয়েঙ্গারের। শিরোপাটা থেকে গেছে অধরাই।
২০০৬-০৭
হাইবুরি থেকে নতুন স্টেডিয়াম এমিরেটেসে যাওয়ার আগেই ঘর খালি হয়ে গেল আর্সেনালের। পিরেস, ক্যাম্পবেল, সায়গান, রেইয়েস, অ্যাশলি কোলদের সবাই ক্লাব ছাড়লেন। আর্সেনালের ভাগ্যও আর বদলালো না। নতুন ঘরে আগের বারের মতো সেই চারে থেকেই শেষ হল আর্সেনালের মৌসুম।
২০০৭-০৮
এবার মৌসুম শুরুর আগে দল ছাড়লেন অঁরি, ইয়ুনবার্গরা। অভিজ্ঞদের অভাবটা অবশ্য শুরুতে টের পায়নি আর্সেনাল। মৌসুমের বেশিরভাগ সময় লিগের শীর্ষে থেকেও মার্চের পর নামতে নামতে তিনে চলে গিয়েছিল ওয়েঙ্গারের দল। তবে গানার সমর্থকদের কাছে এর চেয়েও বেশি গায়ে লাগার মতো ঘটনা ছিল টটেনহাম হটস্পারের কাছে লিগ কাপের সেমিফাইনালের হার।
২০০৮-০৯
লিগে আবারও চার হয়ে শেষ করলো আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছিল, তবে আরেকবার শিরোপা জয়ের কাছাকাছি যাওয়া হয়নি। ম্যান ইউনাইটেডের কাছে হেরে বাদ পড়েছিল ওয়েঙ্গারের দল।
২০০৯-১০
ফ্যাব্রিগাস ততোদিনে প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। সামির নাসরি, এদুয়ার্দোদের গড়া তরুণ ওয়েঙ্গারের তরুণ দল ফেরাতে পারেনি আর্সেনালের ভাগ্য। লিগে একবার তিন তো পরেরবার চারে- এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। আগেরবার চার হওয়ায় সেবার নিয়ম করেই তিনে শেষ করলেন ফ্যাব্রিগাসরা। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টারে বার্সার কাছে ইউরোপ যাত্রাও শেষ আগেভাগেই।
২০১০-১১
আক্রমণভাগে ওয়েঙ্গারের দল বরাবরই ছিল প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ঙ্কর। কিন্তু রক্ষণের অবস্থা নাজেহাল ছিল ক্যাম্পবেল, কোলদের ক্লাব ছাড়ার পর থেকেই। এবার লরেন্ট কোশেয়নলিদের দলে ভিড়িয়ে সেটা কিছুটা ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন ওয়েঙ্গারে। তবে আবারও সেই চারেই শেষ করেছিল তার দল। ততোদিনে আর্সেনালে শুরু হয়ে গেছে শিরোপাখরা। ৬ বছর ধরে কিছু জেতা হয়নি গানারদের। সেই আক্ষেপ ঘোচানোর দারুণ এক সুযোগও পেয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু লিগ কাপের ফাইনালে বার্মিংহাম সিটির কাছে হেরে শিরোপার সাথে দূরত্বটা আর ঘোচানো হয়নি ওয়েঙ্গারের।
২০১১-১২
ঘর খালি করার রীতি থেকে আর ফিরে আসতে পারেনি আর্সেনাল। নিজের তারকা খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে পারেননি ওয়েঙ্গারও। এবার ফ্যাব্রিগাস পাড়ি জমালেন বার্সেলোনাতে। তার জায়গায় অ্যালেক্স অক্সলেড চেম্বারলেইন, মিকেল আরটেটারে এসেছিলেন। আর্সেনাল মৌসুম শেষ করলো লিগে তৃতীয় হয়ে।
২০১২-১৩
এবার আগের মৌসুমে আর্সেনালের সর্বচ্চ গোলদাতা রবিন ভ্যান পার্সিও ছেড়ে গেলেন আর্সেনাল। যোগ দিলেন ম্যান ইউনাইটেডে। পার্সি লিগ জিতলেন, কিন্তু আর্সেনাল নেমে গেল আরও এক ধাপ। এবার চারে। চ্যাম্পিয়নস লিগে বাছাই করার সুযোগটাও নিশ্চিত হয়েছিল মৌসুমের শেষ দিনে।
২০১৩-১৪
এমিরেটস স্টেডিয়ামের ধার শোধ হওয়ার পর এবার দলবদলে মন দিলেন ওয়েঙ্গার। ক্লাব রেকর্ড গড়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে নিয়ে এলেন মেসুত ওজিলকে। রাতারাতি লিগে তেমন উন্নতি হলো না। ডিসেম্বর পর্যন্ত শীর্ষেই ছিল আর্সেনাল, কিন্তু মৌসুম শেষে জায়গা হলো ঘুরে ফিরে সেই চারেই। কিন্তু এফএ কাপের ফাইনালে উঠে আরও একবার শিরোপাখরা কাটানোর সুযোগ পেল আর্সেনাল। দ্বিতীয় স্তরের দল উইগান অ্যাথলেটিকের সঙ্গে ফাইনালেও ভর করেছিল বার্মিংহামের ভূত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর অঘটন হয়নি। টাইব্রেকারে উইগানকে হারিয়ে ৯ বছর পর শিরোপা জেতেন ওয়েঙ্গার।
২০১৪-১৫
মৌসুমের শুরুতেই বার্সেলোনা থেকে অ্যালেক্সিস সানচেজকে দলে ভেড়ালেন এবার। নতুন দল নিয়ে লিগে কিছুটা উন্নতিই করল আর্সেনাল, শেষ করলো তিনে থেকে। এফএ কাপ শিরোপাও পুনুরুদ্ধার করলেন ওয়েঙ্গার। ওই শিরোপা দিয়ে জর্জ রামসের সর্বোচ্চ ৬ এফএ কাপের শিরোপার মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তিনি।
২০১৫-১৬
লিগ জেতার মোক্ষম সুযোগ পেয়েও সেবার খালি হাতেই ফিরেছিল ওয়েঙ্গারের দল। লেস্টার সিটির রূপকথায় ঢাকা পড়েছিল আর্সেনাল। দুইয়ে থেকে অবশ্য এক যুগের মধ্যে লিগে সেরা অবস্থানেই শেষ করেছিল তারা।
২০১৬-১৭
‘আর্সেন হু?’ থেকে ততোদিনে নর্থ লন্ডনে ‘ওয়েঙ্গার আউট’ রব উঠে গেছে। সেই দুয়ো ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ইংল্যান্ডেই। আর্সেনাল সমর্থকদের যে অংশটা এতোদিন ওয়েঙ্গারকে সমর্থন করে যাচ্ছিলেন তারাও বেঁকে বসলেন মৌসুমের শেষদিকে। টানা সাতবারের মতো চ্যাম্পিয়ন লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধা পেরুতেই ব্যর্থ হলো আর্সেনাল। লিগের অবস্থা আরও খারাপ। ওয়েঙ্গারের আমলে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহাম হটস্পার প্রথমবার লিগ শেষ করলো আর্সেনালের ওপর থেকে। আর নর্থ লন্ডনে আসার পর প্রথম মৌসুমে দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিয়ে যেতে পারেননি ওয়েঙ্গার। এতোদিন লিগে আর্সেনালের অবস্থা যেমনই ছিল না কেন, নিদেনপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে দলকে নিয়ে যেতেন ওয়েঙ্গার। এবার সেটাও পারলেন না। আর্সেনাল শেষ করল ৫ এ থেকে। শেষদিকে অবশ্য চেলসিকে হারিয়ে এফএ কাপ জিতে মৌসুমটা শিরোপাশূন্য যায়নি আর্সেনালের। সবচেয়ে বেশি এফএ কাপ জয়ী কোচ ওয়েঙ্গারই।
২০১৭-১৮
পরের মৌসুমেও আর্সেনালের চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার সম্ভবা শূন্যের কাছাকাছি। এফএ কাপ, লিগ কাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। প্রিমিয়ার লিগে এখন আর্সেনাল আছে ৬ নম্বরে। তবে টিকে আছে ইউরোপা লিগ জিতে পরেরবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সম্ভাবনাটা। সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচটা জিততে পারলে ফাইনালে একটা আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ পাবেন ওয়েঙ্গার। ম্যানেজারের বিদায়ের ক্ষণ রাঙিয়ে দিতে পারবেন ওজিল, অবামেয়াংরা? নাকি শেষ মৌসুমটাই ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল অধ্যায়ের ‘সবচেয়ে খারাপ’ হয়ে থাকবে?