জুভেন্টাসকে হারিয়ে লিগ জমিয়ে তুলল নাপোলি
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে বাকি ৩০ সেকেন্ডেরও কম। হোসে মারিয়া ক্যালিয়ন কর্নার থেকে শট নিলেন, সেই শট সোজা গেলো কালিদু কৌলিবেলির সামনে। গোলপোস্টের সামনে থাকা কৌলিবেলি লাফিয়ে উঠে হেড করলেন, বল জড়ালো জালে, উচ্ছ্বাসে ভাসল পুরো নাপোলি। শেষ মুহূর্তের দুর্দান্ত এক গোলে জুভেন্টাসকে তাদের মাঠেই ১-০ গোলে হারিয়ে সিরি আ জমিয়ে তুলল নাপোলি।
এই ম্যাচের আগে পয়েন্টের ব্যবধান ছিল মাত্র ৪। জিতলেই ব্যবধান কমে আসবে ১ এ, এই লক্ষ্যেই হয়ত শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মুডে ছিলেন নাপোলি ফরোয়ার্ডরা। অন্যদিকে জুভেন্টাসের খেলার ধরন ছিল পুরোই উল্টো, জিয়ানলুইজি বুফনরা খেলেছেন রক্ষণাত্মক ফুটবল।
প্রথমার্ধে জুভেন্টাস রক্ষণভাগকে বেশ চাপে রেখেছিল নাপোলি। বুফনের দারুণ কিছু সেভে এগিয়ে যাওয়া হয়নি তাদের। ড্রাইস মারটেনস, মারেক হামসিকসের দারুণ দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন বুফন।১১ মিনিটের মাথায়ই ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে হয় জর্জিও কিয়েলিনিকে।
৩৮ মিনিটে জর্জিনহোর দারুণ এক থ্রু বলে গোল করেছিলেন নাপোলির লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে, তবে অফসাইডে তা বাতিল হয়। স্রোতের বিপরীতে একবারই গোলের কাছে যেতে পেরেছিল জুভেন্টাস। ১৬ মিনিটের মাথায় মিরালেম পিয়ানিচের ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে যায়।
বিরতির সময় প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ থাকা পাউলো দিবালাকে তুলে নেন জুভেন্টাস কোচ। দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল নাপোলির রাজত্ব। জুভেন্টাসকে বাঁচিয়েছেন সেই বুফনই। নাপোলি যখন একের পর এক আক্রমণ করেছে, নিষ্প্রভ ছিল তুরিনের ওল্ড লেডিরা। কতটুক ব্যর্থ ছিলেন হিগুয়াইনরা, সেটা বোঝা যায় একটি পরিসংখ্যানেই। পুরো ম্যাচে জুভেন্টাসের শটস অন টার্গেট ছিল শূন্য!
খেলা যখন ড্রয়ের দিকেই গড়াচ্ছে, তখনই কৌলিবেলির সেই গোল। তুরিনের দর্শককে হতাশায় ডুবিয়ে জয় ছিনিয়ে আনে নাপোলি। পুরো ম্যাচে যে বুফন একাই রুখে দিয়েছেন সব শট, কৌলিবেলির হেড ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি তিনি।
এই হারের পরেও ৩৪ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে জুভেন্টাস। তবে সমান ম্যাচে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার লড়াইটা ভালোভাবেই জমিয়ে তুলেছে নাপোলি। শেষ পর্যন্ত শিরোপা কার ঘরে যায়, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও ৪ ম্যাচ।