মরিনহোর বিপক্ষে 'শান্তিপূর্ণ' সমাপ্তি চান ওয়েঙ্গার
কখনো চেলসির কোচ, কখনো বা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। গত ২২ বছরে হোসে মরিনহোর সাথে সম্পর্ক ছিল ‘সাপে-নেউলে’। তবে শেষবেলায় এসে আর্সেন ওয়েঙ্গার সব মনমালিন্য-লড়াইয়ের ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাপ্তি চাইছেন।
চেলসির কোচ থাকার সময় মরিনহো বলেছিলেন, তিনি ও ওয়েঙ্গার ‘বন্ধু’ হতে পারেন, যদি ওয়েঙ্গারকে করা সম্মানের অর্ধেকটাও ফেরত পান। ওয়েঙ্গারের বিদায়ের ঘোষণা দেওয়ার পর মরিনহো বলেছিলেন, তিনি ওয়েঙ্গারকে বরাবরই যথেষ্ট ‘সম্মান’ করে আসছেন।
আগামীকাল ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। প্রিমিয়ার লিগে মরিনহোর বিপক্ষে হয়ত এটাই তার শেষ ম্যাচ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে বন্ধুত্ব পাতিয়েই শেষটা করতে চান, ‘আমি তাকে অনেক সম্মান করি। পুরনো কথাগুলো আর তুলতে চাই না নিজের শেষ সপ্তাহগুলোতে। শান্তিপূর্ণ একটা পরিবেশেই বিদায় নিতে চাই। মরিনহো দুর্দান্ত একজন কোচ। তাই তার সাথে ভালো একটা স্মৃতি রেখে বিদায় নিতে চাই।’
শুধু মরিনহো নয়, ইউনাইটেডের সাথে লড়াইয়ের স্মৃতিও প্রচুর। সুখস্মৃতি বলতে ২০০২ সালে অ্যালেক্স ফার্গুসনের দলের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে লিগ শিরোপা জয়। ২০১১ সালে ৮-২ ব্যবধানের সেই হারের দুঃস্মৃতি হয়ত আজীবন বয়ে বেড়াবেন। সবকিছুর পড়েও দুই ক্লাবের মাঝে লড়াইটা দারুণ উপভোগ করেছেন ওয়েঙ্গার, ‘২২ বছরে এরকম বহু লড়াই হয়েছে যা কখনোই ভুলতে পারব না। তাদের কি দলটাই না ছিল! গিগস, স্কোলস, রোনালদো, রুনি, এরকম একটা দলের বিপক্ষে খেলাটা চ্যালেঞ্জ বটে। এখন সেটা খুব ভালোভাবেই বোঝা যায়।’