বিশ্বকাপ ফরম্যাট নিয়ে রোমাঞ্চিত তামিম
বিশ্বকাপ ফিরে যাচ্ছে ১৯৯২ সালের ফরম্যাটে। রাউন্ড-রবিন লিগে খেলা, এরপর সেমিফাইনাল। ১০ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে সমালোচনা থাকলেও অবশ্য এই ফরম্যাটটা সবার পছন্দেরই প্রায়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি, পেছন পড়ে ফিরে আসার সুযোগও বেশি। ব্যক্তিগতভাবে এই ফরম্যাট নিয়ে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালও।
মিরপুরে আজ তামিম বলেছেন, “ব্যক্তিগতভাবে খুবই রোমাঞ্চিত। একটা টুর্নামেন্টে সবার সঙ্গে খেলা, এই সুযোগ আমরা পাব। প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে খেলা হবে। ফরম্যাট নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে রোমাঞ্চিত।” অবশ্য বিশ্বকাপের এ ফরম্যাটের কারণে নেই দুইটি টেস্ট খেলুড়ে দেশও- জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ড।
“এটা এমন ফরম্যাট, যদি কোনো দল শিরোপা জিততে চায় পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সেই দলকে ভালো খেলতে হবে। প্রতিটি দলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। লম্বা সময় ধরে অনেক ম্যাচ জিততে হবে সেমিফাইনালে যেতে। আমি খেলতে উন্মুখ।”
এই ফরম্যাটের অনিশ্চয়তাটা রোমাঞ্চিত করছে তামিমকে, “গ্রুপ থাকলে বোঝা যায় কয়টা ম্যাচ আমাদের জিততে হবে, পরের রাউন্ডে যেতে। গ্রুপে এক-দুইটা ম্যাচ জিতলেই সেটা সম্ভব। কিন্তু এখানে হয়তো ৫-৬টা ম্যাচ জিততে হবে। এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার আমাদের জন্য। লম্বা সময় ভালো খেলতে হবে।”
স্মরণীয় কিছু করতে এখন থেকেই আত্মবিশ্বাসের ঝুলি ভরানোর তাগিদ তার, “টুর্নামেন্টে যদি আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্বকাপের এখনো এক বছর সময় আছে। এই সময়ে যে সিরিজগুলো আছে, আমরা যদি ভালো খেলি, সিরিজ যদি জিতি তবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাওয়া যাবে।”
বিশ্বকাপে নিজেদের সম্ভাবনা হিসাব করার সময়টা এখনও আসেনি বলেই মত তার, “বিশ্বকাপে যারা যায় ভালো করতেই যায়। আমি সব সময়ই বলছি এক বছর পরের চিন্তা না করাই ভাল। তার আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে। এগুলোয় মনোযোগী থাকা ভালো। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে যাব ভালো করব- এটা সবাই চাই। এখনই বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের সামনে যে সিরিজ আসছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর, এশিয়া কাপ- অনেক টুর্নামেন্ট সামনে। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বকাপ, সবাই এখানে ভালো খেলতে চায়। বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স নির্ভর করে এই সিরিজগুলো আমরা কেমন খেলছি।”
তামিম বিশ্বকাপ ফরম্যাটের মতো রোমাঞ্চিত লর্ডসে বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলা নিয়েও, “আমাদের সবার জন্য গর্বের ব্যাপার হবে এটা। সাধারণত টিভিতে দেখেছি লর্ডসে বিশ্ব একাদশের খেলা হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ থেকে দুইজন সেখানে প্রতিনিধিত্ব করবে সামনে। এটা বড় ব্যাপার। এটাই চেষ্টা থাকবে ভালো খেলে মনে রাখার মতো ম্যাচ খেলব।”