"আগুয়েরো-হিগুয়াইনের বিশ্বকাপে যাওয়া উচিত"
সিরি আর এই মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি, তার জাতীয় দল আছে বিশ্বকাপেও। কিন্তু সেই দলে তার থাকার নিশ্চয়তা নেই তবুও। ইন্টার মিলানের জন্য তিনি যতোটা প্রয়োজনীয়, জাতীয় দলে থেকে গেছেন ঠিক ততোটাই উপেক্ষিত। লিগে ৩১ ম্যাচে ২৭ গোল করেও তাই মাউরো ইকার্দিকে বিশ্বকাপে খেলার আগ্রহের কথা জানাতে হচ্ছে আলাদা করে।
ওলে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই আগ্রহের কথাই জানিয়েছেন ইন্টার মিলান অধিনায়ক। "আমার বয়স ২৫, গত ৩ বছর ধরে আমি ইন্টারের অধিনায়ক। গোল করে ক্লাবের ইতিহাসেও ঢুকে গিয়েছি আমি।"
"আমি বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। সেটা এবারই হোক বা আরও পরে। আমার বিশ্বকাপের যাওয়ার লক্ষ্যটা থাকবেই। অবশ্য এটা নিয়ে আমি চাপে নেই, বা বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাব এমনও নয়। এখন না হলেও, পরে হবে। তবে আমি এবার রাশিয়ায় দলের সঙ্গে যেতে না পারলেও সতীর্থদের প্রতি আমার পুরো সমর্থনই থাকবে। সাম্পাওলিই সেটা জানেন।"
বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ বাছাই করতে হোর্হে সাম্পাওলির কাছে অপশন আছে অনেক, সেটা জানেন ইকার্দিও। ২০১৩ সালে অভিষেক হলেও লা আলবিসেলেস্তেদের হয়ে খেলেছেন মাত্র ৪ ম্যাচ। ইন্টারের হয়ে নিয়মিত গোল করলেও জাতীয় দলে গোলের খাতা থেকে গেছে শূন্য। বিশ্বকাপে যেতে হলে তার লড়াইটা সার্জিও আগুয়েরো আর গঞ্জালো হিগুয়াইনের সঙ্গে। কিন্তু ইকার্দি ব্যাপারটাকে লড়াই হিসেবে দেখছেন না। অভিজ্ঞতার জন্য এই দুইজনেরই আর্জেন্টিনা দলে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। চোট আক্রান্ত আগুয়েরোর জায়গায়ও খেলার ইচ্ছা নেই তার, বরং আগুয়েরো সময়মত সেরে উঠুক, সেটাই চাইছেন তিনি।
"লড়াই নিয়ে আমি ভাবি না। এই দুইজনই আমার সতীর্থ। তাদের রাশিয়া যাওয়া উচিত, তাদের অভিজ্ঞতা অনেক।"
"আমি চাই আগুয়েরো তাড়াতাড়ি সেরে উঠুক। সবাই চায় সে ভালো করুক। এই জার্সি গায়ে চড়ালে কি দায়িত্ব পালন করতে হয়, আর সেটা কত গর্বের তা সে ভালোভাবেই জানে। তাদের যদি নেওয়া হয় তাহলে আমাদের সবারই তাদের ওপর ভরসা রাখা উচিত।"
"সাম্পাওলি জানেন ফরোয়ার্ডদের দায়িত্বটা অনেক বেশি। আর আমাদের কাজটাই পার্থক্য গড়ে দেয়। তিনি এটাও জানেন যে, আমাকে দলে ডাকলে আমিও প্রস্তুতই থাকব সেটার জন্য। সেরা ফর্মে থাকা খেলোয়াড়েরাই রাশিয়া যাবে। তবে আমি সেই তালিকার ভেতরে বা বাইরে থাকি না কেন, আমি আমার সতীর্থদের সঙ্গেই আছি।"