"আরও ওপরে যাওয়ার সামর্থ্য আছে আমাদের"
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবার আটে উঠেছে বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম ছাড়া গত কয়েকটি সিরিজে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরষ্কারই বলা যায় এটিকে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে অধিনায়কত্ব থেকে বাদ পড়ার আগ পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। র্যাঙ্কিংয়ের এই উন্নতিটা নিশ্চয়ই তৃপ্তিই দিচ্ছে তাকে। হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ, সে পরিকল্পনা ধরে এগিয়ে গেলে উন্নতির গ্রাফটা আরও উন্নত হবেই বলে মনে করেন তিনি।
ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জয় র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে, “এটা তো অবশ্যই। আমাদের পরিকল্পনাই এটা ছিল। কারণ হোম কন্ডিশনে ভালো করার সুযোগটা বেশি, আর যে কোনো দলের জন্যই এখানে খেলা কঠিন হয়। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছিলাম হোম কন্ডিশনে যদি আমরা অলআউট ক্রিকেট খেলতে পারি।”
“এটা অবশ্যই এক দিক দিয়ে ভালো লাগে। কারণ আমি যেসময় অধিনায়ক ছিলাম তখন বড় জয় ছিল। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিলাম। স্মৃতি তো অবশ্যই একটা থাকে। ভালো লাগা কাজ করে। তারপরও আমি মনে করি অধিনায়ক বড় ভূমিকা রাখলেও অন্যান্যদের সাফল্য না থাকলে কখনই এটা সম্ভব না। আমার সময় ওই কয়েকটা সিরিজ যারা খেলেছেন, কঠোর পরিশ্রম করেছেন। শুধু ক্রিকেটাররা না, কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সবাইকেই কৃতিত্বটা দিতে চাই।”
মুশফিক বলছেন, পরিকল্পনার সঙ্গে দরকার ছিল আত্মবিশ্বাসও, “ফল আমাদের পক্ষে এলে অনেক অর্জন আসবে। পরিকল্পনার কথা ভাবলে এই দুই সিরিজ খুবই ভালো ছিল। আর একটা বিশ্বাসও দরকার ছিল নিজেদের। সেটা আমাদের মনে হয় সামনে কাজে লাগবে।”
এখান থেকে উন্নতির পথটা দেখতে পাচ্ছেন তিনি, “আমাদের নিশ্চয়ই একটা গ্রাফ থাকে উপরের দিকে যাওয়ার। আগে দেখেছেন, আমরা ওয়ানডেতে খুব ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। টি-টোয়েন্টিতে আশানূরুপ উন্নতি না হলেও শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ভালো গেছে। টেস্টে যে আমরা উন্নতি করছি, শেষ চার-পাঁচ বছর যে ভালো খেলছি, এটারই একটা ( দিক এই র্যাঙ্কিং) শো করে।”
“এক সিরিজ ভালো খেললে তো আর র্যাঙ্কিং উন্নতি হয় না। সেদিক থেকে বলব কঠোর পরিশ্রম করলে উন্নতি করাটা সহজ হয়। কিন্তু এখন অবস্থান ধরে রাখা আরও কঠিন, এবং এর থেকে উপরে যাওয়া আরও কঠিন হবে সামনে। তবে আমাদের দলের যে ক্রিকেটাররা আছেন তাদের সামর্থ্য আছে এগিয়ে যাওয়ার।”