"রুকিতে লিটন অটোমেটিক চয়েস"
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে “রুকি” বা উঠতি ক্রিকেটারদের তালিকায় লিটন দাস “অটোমেটিক চয়েস” বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন। চুক্তিতে ক্রিকেটার সংখ্যা ১৬ থেকে ১০- এ নেমে আসার পর জানানো হয়েছিল, জাতীয় দলঘেঁষা চারজন উঠতি ক্রিকেটারকেও রাখা হবে চুক্তির মধ্যে।
“আজ-কালের মধ্যে রুকিটা ঠিক হয়ে যাবে। রুকিতে লিটন দাস অটোমেটিক চয়েস। বাকিগুলো চিন্তা করছি। ৭ তারিখের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে”, ৪ মে বলেছেন মিনহাজুল।
জাতীয় দলে বেশ চাপ সৃষ্টি করেই চলেছেন লিটন। টেস্ট বা সীমিত ওভার- ঘুরেফিরে খেলছেন সবই। সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া বিসিএলের শেষ রাউন্ডেও করেছেন দারুণ এক ডাবল সেঞ্চুরি।
আর আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রাথমিক দল ৫ তারিখের মধ্যে জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি, “আমরা এরই মধ্যে অধিনায়কের সঙ্গে আলাপ সেরে নিয়েছি এগুলো নিয়ে। কোচের সঙ্গে পরিকল্পনা থাকে সিরিজের আগে। কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হয় মারিও ভিল্লাভারাইনের অধীনে। মারিও এটা পরিচালনা করবে। আমাদের কাজ ৩০ জনের পুল দেওয়া। কোনো সফরের আগে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আমরা যাই তখন প্রধান কোচের দরকার হয় না।”
নিদাহাস ট্রফিতে কোর্টনি ওয়ালশকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি এই পদে বহাল থাকবেন কিনা, বোর্ড নিশ্চিত করেনি সেটা। এরই প্রেক্ষিতে মিনহাজুল বললেন, আপাতত প্রাথমিক দলের জন্য লাগছে না প্রধান কোচকে।
তবে তার গাইডলাইন থেকেই ১৩ তারিখ থেকে ক্যাম্প শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“কাল আমরা দল জমা দিচ্ছি। ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দল হবে। কিছু খেলোয়াড়কে ‘এ’ দলে রাখব। ওদের এইচপির সঙ্গে যুক্ত করছি। এইচপি দলটা হবে ২২ জনের। ৬-৮ জনকে ‘এ’ দলে দেব। জাতীয় দলের ৩০ জনের দল হবে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য।”
“প্রাথমিক দলটা নিয়ে আপাতত আমরা কাজ করব। আফগানিস্তান সিরিজের পর লম্বা সফর আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টি আছে। খুব চ্যালেঞ্জিং সিরিজ। জাতীয় দলের সঙ্গে সঙ্গে ‘এ’ দলের সিরিজ আছে। আমরা একটা সমন্বয় তৈরি করছি। যারা ১-২ বছরের মধ্যে জাতীয় দলে আসবে বা ইমিডিয়েট রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে খেলবে।”
সাম্প্রতিক সময়ে চোট আঘাত করেছে বেশ কয়েকজনকে। এর মধ্যে নাসির হোসেনের ফিরতে মাস ছয়েক সময় লাগবে, মেহেদি হাসান মিরাজের অস্ত্রোপচার লাগবে কিনা, সেটা নিয়ে নিশ্চিত নন মিনহাজুল। আর তাসকিন আহমেদের ব্যাপারটা নির্বাচকদের কাছে পরিষ্কার হলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচকরা। লিগামেন্ট ছিঁড়ে ছিটকে গেছেন নাসির, মিরাজের কাঁধের ও তাসকিনের পিঠের পুরোনো চোটই ফিরে এসেছে আবার।