ফারজানার লড়াইয়ের পরও বড় হার বাংলাদেশের
প্রথম ওয়ানডে, পচেফস্ট্রুম
দক্ষিণ আফ্রিকা উইমেন ২৭০/৯, ৫০ ওভার (ট্রিয়ন ৬৫, লি ৫৪, নিকার্ক ৪৪, নাহিদা ২/২২, ফাহিমা ২/৫৩, জাহানারা ২/৬২)
বাংলাদেশ উইমেন ১৬৪ অল-আউট, ৪৯.৩ ওভার (ফারজানা ৬৯, সানজিদা ৩৫, পান্না ২৩, নিকার্ক ৩/২৩, ট্রিয়ন ২/১৪)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৬ রানে জয়ী ও সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে
১০৮ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এর আগে ২.২ ওভার বোলিং করেছেন মিগনোন ডু প্রিজ। উইকেট ছিল না একটিও। পান্না ঘোষের উইকেটটাই ক্যারিয়ারে প্রথম তার, বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যানকে ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে আউট করেছেন তিনি। তিনে নামা ফারজানা হক তখনও অপরাজিত, ৬৯ রানে। মেয়েদের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ, ২৭০ রানের জবাবে থামতে হয়েছে ১৬৪ রানেই।
২৭১ রানের লক্ষ্যে ৫ রানেই ওপেনার মুর্শিদা খাতুনকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, মারিয়ান ক্যাপের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ডানহাতি ওপেনার। সানজিদা ইসলামের সঙ্গে সে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ফারজানা, দ্বিতীয় উইকেটে দুইজন মিলে যোগ করেছেন ৬৩ রান। ডান ফন নিকার্ককে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে লাইন মিস করে স্টাম্পড হওয়ার আগে সানজিদা করেছেন ৬৩ বলে ৩৫ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় এরপরই। ৩, ৬, ০, ০, ২, ৬, ০- সাত ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ১৭ রান। নিকার্ক নিয়েছেন আরও দুইটি, ক্লোয়ি ট্রিয়ন দুইটি, রাইসিবি এনটোজাখে নিয়েছেন একটি। দুইজন হয়েছেন রান-আউট।
একদিকে ব্যাট করে গেছেন ফারজানা, তাকে সঙ্গ দিয়েছেন শেষ ব্যাটসম্যান পান্না। দুইজন মিলে শেষ উইকেটে তুলেছেন ৫২ রান, মাত্র ৬৩ বলে। আউট হওয়ার আগে পান্না করেছেন ২৭ বলে ২৩ রান। আর ফারজানা ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ৬৯ রান করতে খেলেছেন ১৪৬ বল, মেরেছেন ৫টি চার।
টসে জিতে এর আগে ব্যাটিং নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১২.৪ ওভার পর্যন্ত। নাহিদা আকতারের বলে বোল্ড হয়েছেন লউরা উলভার্ডট। ফিফটি করেছেন লিজেল লি। অধিনায়ক নিকার্ক করেছেন ৫২ বলে ৪৪ রান। তবে ঝড় তুলেছিলেন ছয়ে নামা ট্রিয়ন, ৪২ বলে ৬৫ রান করেছেন ৯ চার ও ৩ ছয়ে। মাঝে ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তবে ট্রিয়নের ঝড়েই ২৭০ পর্যন্ত গেছে তারা।
জাহানারা আলম, নাহিদা ও ফাহিমা খাতুন নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট, একটি করে পেয়েছেন রুমানা আহমেদ ও সালমা খাতুন।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন ট্রিয়ন।