মরিয়া মেসি গোল পাবেন ?
ক্লাব ফুটবলে যা পেতে পারতেন, তার সবই পাওয়া হয়ে গেছে। অমর হয়ে থাকার মতো যথেষ্ট কীর্তি হয়ে গেছে লিওনেল মেসির। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে একটা বড় শিরোপা এখন পর্যন্ত সোনার হরিণ থেকে গেছে। সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগ বোধহয় এবারই। কাল ভোরে ফাইনালে প্যারাগুয়েকে হারালেই প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে নিয়ে যাবেন মেসি।
ক্লাবের হয়ে যতটা উজ্বল, দেশের হয়ে ততটা কখনোই নয়। ১০১ ম্যাচে ৪৬ গোল করেছেন, সামনে আছেন শুধু গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। কিন্তু ক্লাবের হয়ে তো আরও অনেক বেশি ক্ষুরধার। এই কোপাতেই দেখুন, প্রথম ম্যাচে এই প্যারাগুয়ের সঙ্গেই গোল করেছিলেন পেনাল্টি থেকে। এরপর টানা তিন ম্যাচে গোলের জন্য হাপিত্যেশ করতে হলো। এমনকি শততম ম্যাচেও জ্যামাইকার সঙ্গে গোল পেলেন না। উরুগুয়ের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালেও গোল পেতে পেতেও যেন পাওয়া হলো না। একটা গোল তো মেসির নামের পাশে একদমই মানায় না।
বার্সেলোনার হয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল পাননি, এমন নয়। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে এই গোলখরা যেন মেসির ওপর ভীষণ চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেই যখন বলেন, "কেন গোল পাচ্ছি না বুঝতে পারছি না"- তখন সেটা বুঝে নিতে কষ্ট হয় না।
কিন্তু সম্পূরক একটা প্রশ্নও উঠে যাচ্ছে, মেসিকে কি খেলতে দেওয়া হচ্ছে? কলম্বিয়ার সঙ্গে বিশেষ করে বার বারই ফাউল করা হয়েছে মেসিকে, কোনো এক বিচিত্র কারণে রেফারির চোখ এড়িয়ে গেছে সেসব। পুরো ম্যাচে মেসিকে একাই ফাউল করা হয়েছে আটবার, সব মিলে পুরো টুর্নামেন্টে মেসিকে ফাউল করা হয়েছে ১৬ বার। শুধু পেরুর পাউলো গেরেরোকে এর চেয়ে বেশি ফাউল করা হয়েছে।
মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, ডিয়েগো ম্যারাডোনাকেও কিন্তু মাঠে ফাউলের শিকার কম হতে হয়নি। ১৯৮৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে নাপোলির ম্যাচে চেন্দো বা ১৯৯০ বিশ্বকাপে ইতালির সঙ্গে ম্যাচে ক্লদিও জেন্টাইল তো ম্যারাডোনাকে নির্মমভাবে ফাউল করেছিলেন। মেসি পূর্বসূরির কাছ থেকেই টোটকা নিতে পারেন!