• সিরি আ
  • " />

     

    রোম থেকেই সপ্তম স্বর্গে জুভেন্টাস

    রোম থেকেই সপ্তম স্বর্গে জুভেন্টাস    

    বেঞ্চ ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন আগেই, বুফনদের অপেক্ষা ছিল শুধু রেফারির শেষবাঁশির। অতিরিক্ত ২ মিনিটের পর বুফনরা ছুটলেন মাঠপানে, দিবালাকে গিয়ে জড়িয়ে তুললেন ওপরে। জুভেন্টাস যে উঠে গেছে আরও অনেক ওপরে, একেবারে সপ্তম স্বর্গে! এ এস রোমার সঙ্গে তাদের মাঠে ড্র করে টানা সপ্তমবার সিরি ‘আ’-র শিরোপা জিতলো তুরিনের বুড়িরা, এই জুভেন্টাসকে থামাবে কে! ২০১১-১২ থেকে এই ২০১৭-১৮, বুড়িরা যেন শিরোপা জিততে জিততেই বুড়ি হয়ে গেল আরেকবার! তবে এখন আর তাদের বুড়ি বলা যাচ্ছে না, দীর্ঘ আর কঠিন এক মৌসুম শেষের শেষ হাসিটা হেসে তারা যেন হয়ে উঠেছে এক দৈত্য! 

    সে তারা যাই হয়ে উঠুক না কেন, আজ উদযাপনটা হবে বেশ দীর্ঘই! এ ম্যাচে শুধু একটি পয়েন্ট লাগতো জুভেন্টাসের, নাপোলিকে শিরোপা জেতার সব রকমের অলৌকিক সম্ভাবনা থেকেই তাহলে বাদ দিতে পারতো তারা। ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি বিশ্রামে রাখলেন তার অধিনায়ক জিজি বুফন ও সহ-অধিনায়ক কিয়েলিনিকে। রোমাকে আটকে রাখতে তাদের প্রয়োজন হলো না জুভেন্টাসের। নাপোলিকে শেষ ফুঁটা মারতেও মাঠের খেলার হিসেবে শুধু ৯২ মিনিট সময় নিল জুভেন্টাস। এ নিয়ে টানা চারবার ডাবল জিতলো জুভেন্টাস, চারবারই অ্যালেগ্রির অধীনে, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে যা প্রথম! 

     

     

     

     

    প্রথমার্ধের প্রভাব-বিস্তারি দল রোমা, তবে জুভেন্টাসের রক্ষণ ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই পারেনি তারা। দূর থেকে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগানোর একক চেষ্টাও তাই বৃথা গেছে তাদের। ৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে ভাল একটা বল পেয়েছিলেন জেকো, তবে শটের আগে খানিক বিলম্বেই লক্ষ্যভেদটা করা হয়নি তার। ১০ মিনিটে নাইঙ্গোলান চেষ্টা করেছিলেন, জেকোকে প্রায় উপেক্ষা করেই, সেটাও গেছে ওপর দিয়ে। পিয়ানিচের ভুলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, প্রথমার্ধে পিয়ানিচের ভুলই ছিল বেশি, অযাচিত চ্যালেঞ্জে দেখেছেন হলুদ কার্ডও। পেলিগ্রিনির চেষ্টাও বৃথা গেছে, শেষদিকে কলোরোভের ফ্রি-কিক গিয়ে লেগেছে বাইরের জালেই। জুভেন্টাস প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, তবে দিবালাদের সেসব চেষ্টাও বৃথাই গেছে। 

    ৪৭ মিনিটে অফসাইডে বাতিল হয়ে যাওয়া দিবালার গোলের পর ৬৪ মিনিটে কলারোভের শট ডিফলেকটেড হয়ে বেরিয়ে যাওয়া, নাইঙ্গোলানের লাল কার্ডের আগে যা একটু উত্তেজনার রেণু ছড়ালো এসবই। ৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় হলুদ দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নাইঙ্গোলানকে, পরের ফাউলটি করেছিলেন দিবালাকে। এরপরই মিইয়ে গেল সব। রোমাও হারতে চায় না, জিততে চায় না জুভেন্টাসও। দুই বদলি খেলোয়াড়কে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েও থাকতে হলো, বল যে মাঠের বাইরেই যায় না! দর্শকসারিতে ছিলেন রোমা ও জুভেন্টাসের দুই কিংবদন্তি- দেল পিয়েরো ও ফ্রান্সেককো টট্টি। চাইলে তাদেরকেও নামিয়ে দেওয়া যেতো যেন মাঠে! 

    অবশেষে সে বদলিগুলো হলো। শুধু পরিবর্তন হলো না একটি নিয়মেরই, স্কুডেট্টো জিতবে জুভেন্টাস! সাতবার ধরে তো হয়ে আসছে এমনই! নাপোলি বা রোমা- কার সাধ্য আছে তাদেরকে আটকানোর!