• কোপা আমেরিকা
  • " />

     

    চিলির প্রথম না আর্জেন্টিনার ১৫?

    চিলির প্রথম না আর্জেন্টিনার ১৫?    

    যেই জিতুক, ইতিহাস তাহলে হচ্ছেই।  কখনও কোনো বড় শিরোপা জেতা হয়নি চিলির, চারবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে । আজ সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ সামনে। এবারের কোপায় দক্ষিণ আমেরিকার বাকি সব দেশেরই কখনও না কখনও শিরোপা  জেতার সৌভাগ্য হয়েছে, বাকি আছে শুধু চিলি। আর্জেন্টিনারও কি হাতছানি নেই? আজ জিতলেই সবচেয়ে বেশি কোপা জেতার রেকর্ড (১৫টি) ছুঁয়ে ফেলবে আর্জেন্টিনা। সেই সুযোগটা কি তারা হাতছাড়া করবে ?

     

    আর্জেন্টিনার গল্পটা যদি "এর কাছে তবু এত দূরের" হয়ে যায়, তাহলে সবচেয়ে বেশি আফসোস করবেন কে বলুন তো ? লিওনেল মেসিই। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দেশের জন্য ঠিক নিবেদিতপ্রাণ নন, এমন অভিযোগ শুনতে হয়েছে। বার্সেলোনার মেসি থেকে আর্জেন্টিনার মেসি হতে অনেকটা সময় লেগেছে। আকাশী-নীল জার্সিতে নিজেকে অন্য উচ্চতাতেই নিয়ে গেছেন অনেকটা অলক্ষ্যেই। এই তো, কয়েক দিন আগেই জ্যামাইকার সঙ্গে শততম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেললেন। এর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি আছে মাত্র পাঁচজনের। ৪৬ গোল নিয়ে দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলও তাঁর, সামনে শুধু গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা।

     

     

    কিন্তু এসব কিছুই মেসির কাছে মূল্যহীন। বার্সেলোনার হয়ে উপচে পড়া শোকের পাশে আর্জেন্টিনার শোকেসটা তো একবারেই দীনহীন। একটা অলিম্পিক স্বর্ণপদক ছাড়া জাতীয় দলের হয়ে বলার মতো কিছুই নেই। আক্ষেপের শুরু সেই ২০০৭ সাল থেকে, পুরো টুর্নামেন্ট দুর্দান্ত খেলেও ফাইনালে হেরে গেল ব্রাজিলের কাছে। এরপর ২০১০ বিশ্বকাপ, ২০১১ কোপা, আবার ২০১৪ বিশ্বকাপ... প্রতিটা গল্পই হয়ে আছে আক্ষেপ আর হতাশার। এবার সেই খরাটা ঘোচানোর সেরা সুযোগ মেসির সামনে।

     

     

    কিন্তু চিলি কাজটা যতদূর সম্ভব কঠিন করবেই। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ধাবাবাহিক দল তাদেরকেই বলতে হবে। সবচেয়ে বেশি গোল দিয়ে উঠেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে সর্বশেষ দুই ম্যাচেই মাঠে খেলার চেয়ে বেশি ছড়িয়েছে উত্তাপ। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের এডিনসন কাভানিকে উসকে দিয়েছেন চিলির গঞ্জালো হারা, দুজনেই পরে নিষিদ্ধ হয়েছেন। সেমিফাইনালেও পেরুর কার্লোস জামব্রানোর লাল কার্ড নিয়ে আছে বিতর্ক। এই দুই ম্যাচে চিলি ঠিক নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারেনি। কিন্তু ভিদাল, সানচেজরা নিজেদের দিনে সব হিসেব উলটে দিতে পারেন। স্ট্রাইকার এদুয়ার্দো ভার্গাসও আছেন ফর্মে। আর আর্জেন্টিনা তো সেমিফাইনালেই দেখিয়ে দিয়েছে, তারা কী করতে পারে।

     

    একঘেয়ে একটা আসরের শেষটা রোমাঞ্চকর হওয়ার মঞ্চ কিন্তু সাজানোই আছে!