• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগে : বিশ্বকাপ-উন্মাদনা থমকে যাবে আজ!

    কিক অফের আগে : বিশ্বকাপ-উন্মাদনা থমকে যাবে আজ!    

    রিয়াল মাদ্রিদ -লিভারপুল, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল, কিয়েভ অ্যারেনা, ইউক্রেন, ২৬(২৭) মে, ২০১৮, রাত ১২ঃ৪৫, টেন ২

    বিশ্বকাপের বাকি কতোদিন? কে রাশিয়াগামি বিমানে নিজ দেশের স্কোয়াডের হয়ে ঠাঁই পেলেন, কে বাদ পড়লেন? শেষ মুহুর্তে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ স্বপ্নই বা শেষ হয়ে গেল কার? কেমন হলো বিশ্বকাপের থিম-সং? বিশ্বকাপ এসেই পড়েছে প্রায়, তা নিয়ে বাড়তে উন্মাদনা-উত্তেজনা। তবে অন্তত একদিনের জন্য হলেও বিশ্বকাপ থমকে যাবে আজ! ফুটবলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচগুলোর একটি যে আজই, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল!

    বাংলা ব্যাকরণে নিশ্চয়ই সমার্থক শব্দ পড়েছেন। ভিন্ন শব্দ, কিন্তু অর্থ একই। একবার ভাবুন তো, চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের সমার্থক যদি রিয়াল মাদ্রিদকে ধরা হয়; খুব ভুল কি হবে? না, হবে না। আরও ভাল করে বললে, হওয়ার সুযোগটা রাখেনি ১২ বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। সুযোগ রাখেননি জিনেদিন জিদান। তাকে হটসিট বসানোটা অনেকেই দেখেছিলেন আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত হিসেবে। কিন্তু বছর তিনেক পর নিজের এবং রিয়ালের টানা তিন নম্বর চ্যাম্পিয়নস ফাইনালে জিদান।বায়ার্ন, জুভেন্টাস বা নেইমারের পিএসজি- পাত্তা পায়নি কেউই। ঠিকই সব পেরিয়ে একবিংশ শতাব্দীর একমাত্র ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের 'হ্যাটট্রিক'-এর সামনে 'লস ব্লাঙ্কোস'রা। 

    জিদানের মত অবশ্য এতটা বর্ণাঢ্য সাফল্যের দেখা ক্যারিয়ারে পাননি লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। লিভারপুলে এসেই প্রতিজ্ঞাসুরে বলেছিলেন, ক্লাবটিকে ইউরোপের সেরাদের কাতারে নিয়ে যাবেন। বছর তিনেক পর স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার থেকে মাত্র ৯০ মিনিট দূরে এই জার্মান কোচ। প্রায় ১ যুগ পর ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠতম মঞ্চে লিভারপুল। রিয়ালের চেয়ে শক্তিমত্তায় আলোকবর্ষ পিছিয়ে থাকলেও ক্লাপের আক্রমণত্রয়ী, সালাহ-ফিরমিনো-মানেতেই ৬ নম্বর ইউরোপিয়ান শিরোপার আশায় বুক বাঁধছে 'কপাইট'রা।

    যেকোনো ধরণের কেতাবী পরিসংখ্যানের চোখে দেখলে, আজ রিয়ালের বিপক্ষে লিভারপুলের দাঁড়াতেই পারার কথা না। কিন্তু খেলাটা যখন ফুটবল, আর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল; তখন এসব পরিসংখ্যান যেন জানালা দিয়েই পালায়। এই ফাইনালের জন্যই রোজা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। লিভারপুল-রিয়াল ছাপিয়ে লড়াইটা যেন তার এবং রোনালদোরই। গোলের সংখ্যা প্রায় সমান, কোটি ভক্তের এবং দলের মূল ভরসার প্রতীক- সব মিলিয়ে দুই মেরুর দুজন হলেও সালাহ-রোনালদো একই বিন্দুতে মিলিত হবেন আজ, কিয়েভে। ৯০ মিনিটে, হয়ত আরও বেশি সময়ের জন্য থমকে যাবে পুরো বিশ্ব। চোখ আটকে থাকবে টিভি স্ক্রিনে, সেহরির শেষ লোকমাটাও হয়ত মুখে নিতে ভুলে যাবে অনেকেই। কিন্তু সবশেষে হাসবে একজন, আর তীরে এসে তরী ডুববে আরেকজনের। 'ডেভিড' লিভারপুল কি পারবে 'গোলিয়াথ' রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে? সালাহ কি পারবেন রোনালদোর ওপর থাকা পাদপ্রদীপের আলোর পুরোটাই নিজের করে নিতে? নাকি সেই ষাটের দশকের পর আবারও ইউরোপিয়ান কাপ জয়ের 'হ্যাটট্রিক'-এর আনন্দে মাতবেন রোনালদো এবং রিয়াল মাদ্রিদ?

     

     

    তাঁরা বলেন

    গত দু'বছরেই দলকে নিয়ে এসেছিলেন এই মঞ্চে। দানে দানে এবার হলো তিন দান। প্রতিপক্ষ লিভারপুল, যারা ১১ বছর পর খেলছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। যাদের দলে নেই কোনো চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ফুটবলার। কিন্তু এসব কেতাবী পরিসংখ্যানে থোড়াই কেয়ার জিদানের। সাংবাদিকদের 'এবার তো রিয়ালই ফেভারিট' গোছের প্রশ্ন উঠতেই দেখা গেল জিদানের সেই চিরচেনা কঠোর ভাবমূর্তি, সোজাসাপ্টা জবাব, "আমি প্রতিবারই বলি, এবারই বলছি; একটা ফাইনালে কোনো ফেভারিট থাকতে পারে না। ফাইনালে আসতে পারা মানে নিজেদের যোগ্যতা বশেই। গত তিন মৌসুমের পরিশ্রমের ফল গত দু'বার এবং আমাদের আজকের ফাইনাল খেলতে পারা। টানা তৃতীয়বার এই মঞ্চে আসলেও শিরোপা ক্ষুধাটা প্রথমবারের মতই আছে আমাদের। লিভারপুলের চেয়ে জয়ের ক্ষুধা কম- এই কথা কেউ বলতে পারবে না রিয়ালের বিপক্ষে।" লিভারপুলের হয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আসলেও ক্লপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ 'জিজু', "ইউরোপের অন্যতম সেরা কোচ সে। ডর্টমুন্ডের পর লিভারপুলের হয়েও সে নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছে। রিয়ালকে হারানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা তার আছে। এজন্যই আরও বেশি সতর্ক আমরা।" কোচের সাথে ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। সুর মেলালেন একসময়ের সতীর্থ এবং এখনকার কোচের সাথে, "আগামীকালের ফাইনালে দুই দলের সম্ভাবনা ৫০-৫০। কেউই এগিয়ে নেই কোনোভাবেই। পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে বলে আমরা ফেভারিট, এমনটা মানা সাক্ষাৎ বোকামী। সালাহ-মানের মত দুর্দান্ত ফুটবলার আছে লিভারপুলে, যারা চোখের পলকেই বল জালে পাঠানোর ক্ষমতা রাখে। আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। এই মাঠে বছর ছয়েক আগে ইউরোর শিরোপা উল্লাসে মেতেছিলাম। আশা করি আগামীকালও (আজও) একইভাবে উদযাপন করতে পারব।"

    জিদানের মতই প্রতিপক্ষের প্রতি পূর্ণ সম্মানই রাখছেন ক্লপ, "রিয়াল নিঃসন্দেহে এই টুর্নামেন্টের সর্বসেরা দল। তাদের সাথে তুলনার যাব না। কিন্তু এই মৌসুমে আমাদের ফাইনালে আসার গল্পটাও দুর্দান্ত। কেউ আশা করেনি আমরা ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকে সেমিতে আসব। অনেকে ভেবেছিল হয়ত রোমার বিপক্ষেও হেরে যাব। কিন্তু আমরা লিভারপুল। নিন্দুকদের ভুল প্রমাণ করেই এতদূর এসেছি। রিয়ালকে আটকানো কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু নয়। জুভেন্টাস, বায়ার্ন তা করে দেখিয়েছে। আশা করি, আগামীকাল (আজ) আমরা সেরকম কিছুই করতে দেখাতে পারব।" ফাইনালের আগে লিভারপুল অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসনকে ভরসা দেখাচ্ছে লিভারপুলের গোলের রেকর্ড, "এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে আমরা প্রায় ৫০ গোল করেছি। লোকে আমাদের দূর্বল রক্ষণের কথা বললেও ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন (ম্যানচেস্টার) সিটিকে আমরা দু'লেগেই আটকে দিয়েছি। হ্যাঁ এটা সত্য যে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়নস লিগে সবার ওপরে, কিন্তু এতদূর এসে প্রতিপক্ষকে ভয় পাওয়া চলবে না, তা সে যে-ই হোক না কেন।"

     

     

     

    দলের খবর

    মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ম্যাচের আগে পূর্ণশক্তির দলই পাচ্ছেন জিদান এবং ক্লপ। রিয়ালের হয়ে ইনজুরি কাটিয়ে গত সপ্তাহে দলে ফিরেছেন মূল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং রাইটব্যাক দানি কারভাহাল। এছাড়া পূর্ণ অনুশীলনে ফিরেছেন নাচো ফার্নান্দেজও। গ্যারেথ বেল, করিম বেনজেমা, ইস্কো, লুকাস ভাজকেজ, মার্কো আসেন্সিওদের সবাই-ই আছেন দারুণ ফর্মে। ধারাবাহিকভাবে ভাল করা এতগুলো খেলোয়াড়ের মধ্যে থেকে মূল একাদশ বাছাই- কিয়েভ ফাইনালের আগে জিদানের মত মধুর সমস্যায় ভোগা তো ফুটবলে যেকোনো কোচের জন্য রীতিমত স্বপ্নই। কিয়েভে রোনালদোর সাথে আক্রমণভাগে কাকে নামান জিদান, তা-ই এখন দেখার বিষয়।

    রোনালদোর মতই ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন লিভারপুলের সাদিও মানে। ব্রাইটনের বিপক্ষে অ্যাঙ্কেল ইনজুরিতে পড়লেও ফাইনালের আগে শতভাগ ফিট তিনি- এমনটা নিশ্চিত করেছেন ক্লপ নিজেই। তবে হাঁটুর গুরুতর ইনজুরির জন্য কিয়েভ ফাইনাল থেকে অনেক আগেই ছিটকে গেছেন অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইন এবং ডিফেন্ডার জো গোমেজ। আরেক রাইটব্যাক নাথানিয়াল ক্লাইন ইনজুরি থেকে ফিরলেও তার ম্যাচ খেলার ফিটনেস নিয়ে আছে সংশয়। সেক্ষেত্রে লিভারপুলের রাইটব্যাক পজিশনে দেখা যেতে পারে ১৯ বছরের টগবগে তরুণ ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে। দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়ে লিভারপুলের মূল একাদশে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও জায়গা পেয়েছেন তিনি। আজ রোনালদোকে আটকানোর গুরুদায়িত্বটা থাকবেন আর্নল্ডের তরুণ কাঁধেই।

     

    সম্ভাব্য মূল একাদশ

    রিয়াল মাদ্রিদ (৪-৩-৩): নাভাস; কারভাহাল, ভারান, রামোস, মার্সেলো; ক্রুস, মদ্রিচ, কাসেমিরো; বেল, বেনজেমা, রোনালদো

    লিভারপুল (৪-৩-৩): কারিওস; আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, লভ্রেন, ভ্যান ডাইক, রবার্টসন; মিলনার, হেন্ডারসন, ওয়াইনাল্ডাম; সালাহ, ফিরমিনো, মানে

     

     

     

    ট্যাকটিকসের টুকিটাকি

    'বিবিসি'কে মূল একাদশে নামালে লিভারপুলের মতই ৪-৩-৩ ফর্মেশনে মাঠে নামবে রিয়াল। কিন্তু মাঝমাঠে ক্রুস-মদ্রিচ-কাসেমিরো ত্রয়ী, আর আক্রমণভাগ থেকে বেল-বেনজেমা-রোনালদোর নিচে নেমে রক্ষণে তেমন সাহায্য না করায় এই মৌসুমে খুব কম ম্যাচেই একসাথে খেলেছে 'বিবিসি'। সেক্ষেত্রে হয়ত বেলকে বসিয়ে ইস্কোকে নামিয়ে দিতে পারেন জিদান। অথবা বেনজেমার বদলে ইস্কোকে নামিয়ে ৪-৩-১-২ ফর্মেশনে খেলাতে পারেন 'জিজু'। তবে বরাবরই জিদান বলে এসেছেন, বড় ম্যাচে 'বিবিসি'র গুরুত্ব অপরিহার্য।

    ক্লপের পছন্দের একাদশের সবাই-ই ফিট থাকায় কিয়েভে শুরু থেকেই নামবেন তারা। আর্নল্ড বনাম রোনালদো এবং সালাহ বনাম মার্সেলো- এই দুই দ্বৈত লড়াইয়ের ওপর নির্ভর করছে ম্যাচের ভাগ্যের অনেকটাই। আর্নল্ড, মার্সেলো দুজনই আক্রমণাত্মক ফুলব্যাক হওয়ায় রক্ষণের যথাক্রমে ডানে বং বাঁ-প্রান্ত প্রায়ই খালি রেখে উপরে উঠে যান তারা। রোনালদো, সালাহরা রক্ষণে বিন্দুমাত্র ফাঁকা জায়গা পেলে কী ঘটাতে পারেন, তা অবশ্য সবারই জানা। মাঝমাঠে ক্রুস-মদ্রিচদের সাথে রোনালদো-বেনজেমার বোঝাপড়া রুখে দেওয়াই হবে ফিরমিনো-মানেদের বল যোগানের মতই মিলনার-হেন্ডারসনের জুটির মূল লক্ষ্য। অভিজ্ঞতায় যোজন যোজন পিছিয়ে থাকলেও এই দুই জুটির মধ্যে টক্করটা সমানে সমানই হওয়ার কথা। ক্রুস-মিলনারদের চেয়েও মাঝমাঠের লড়াইটা আরও নির্ভর করছে দুই 'ডেসট্রয়ার' কাসেমিরো এবং ওয়াইনাল্ডামের ওপর। রক্ষণ এবং আক্রমণের মাঝে দু'দলের মেলবন্ধনের কাজ করা এই দুই মিডফিল্ডারের উদ্দেশ্য হল প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দিয়ে নিজেদের আক্রমণ শুরু করা। এছাড়া রামোস-ফিরমিনো এবং লভ্রেন-বেনজমার লড়াইটাও হবে দেখার মত। 

     

    সংখ্যায় সংখায়

    একবিংশ শতাব্দীতে খেলা ৪ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের প্রতিটিতেই জিতেছে রিয়াল। ১৯৮১ সালে শেষবার ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে হেরেছিল তারা। প্রতিপক্ষ? লিভারপুল। তবে 'অল রেড'দের হয়ে এবং নিজ ক্যারিয়ারে- কোথাওই ফাইনাল ভাগ্য সুপ্রসন্ন নয় ক্লপের। নিজের শেষ পাঁচ ফাইনালের (লিগে বা ইউরোপে) পাঁচটিতেই হেরেছেন এই জার্মান। ২০১৩ সালে ডর্টমুন্ডকে নিয়ে ফাইনালে গেলেও বায়ার্নের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এমনকি ২০১৬ সালের ইউরোপা লিগের ফাইনালেও সেভিয়ার কাছে হেরেছে লিভারপুল। স্প্যানিশ দলগুলোর বিপক্ষে ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে ইংলিশ দলগুলোর রেকর্ড রীতিমত ভয়াবহ। শেষ ৬ ফাইনালে প্রতিবারই জয় হয়েছে স্প্যানিশদের। আর ফাইনালে রিয়াল যেমন দুর্দান্ত, ঠিক তেমনি অপ্রতিরোধ্য রোনালদো। ৪ গোল করে ইউসিএল ফাইনালের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনিই। আর অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে তো পার্থক্যটা রীতিমত আকাশ-পাতাল। রিয়ালের দলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা ফুটবলারদের যেখানে ছড়াছড়ি, সেখানে লিভারপুলের কেউই ফাইনাল খেলেননি ক্যারিয়ারে একবারও। আর রোনালদোকে হাতছানি দিচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ নামকরণের পর থেকে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৫ বার ইউরোপসেরা হওয়ার রেকর্ড।