• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং: চ্যাম্পিয়নস লিগে কে কতো?

    প্লেয়ার রেটিং: চ্যাম্পিয়নস লিগে কে কতো?    

    চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ৩-১ গোলে লিভারপুলকে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিয়েভের ম্যাচে কাকে কতো দেবেন আপনি?

    রিয়াল মাদ্রিদ

    কেইলর নাভাস ৭
    সালাহকে দেওয়া থ্রু পাসটা ডিবক্সে ভেতর ফাঁকা জায়গাতেই পেতে পারতেন মোহাম্মদ সালাহ। কেইলর নাভাস এগিয়ে এসে প্রথমার্ধে প্রথম কাজটা করেছিলেন। বিপদ এড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে আরেকবার অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ডের শট ঠেকিয়ে দিয়ে নিজের কাজটাও করেছেন ঠিকঠাক।

    দানি কারভাহাল ৫
    ৩৭ মিনিটে মাঠ ছেড়েছেন। তার আগ পর্যন্ত সাদিও মানেকে ভালোভাবেই সামলাচ্ছিলেন।

    রাফায়েল ভারান ৭
    নিজের পজেশন ছেড়ে আজও ওঠেননি। ট্যাকটিকালি প্রায় নির্ভুল ছিলেন।

    সার্জিও রামোস ৭
    প্রথমার্ধে ডিবক্সের ভেতর রবার্তো ফিরমিনোর শটে দারুণ ব্লক করেছিলেন। মার্সেলো আক্রমণে সাহায্য করলেও নিজে আজ মাথা গরম করেননি। বড় ম্যাচে নিজের সেরাটাই দিয়েছেন।

    মার্সেলো ৮
     মার্সেলোর ফেলে যাওয়া ফাঁকা জায়গা কাজে লাগাতে পারেনি লিভারপুল। সালাহ মাঠ ছাড়ার পর কাজটা আরও সহজ হয়ে গিয়েছিল।  গ্যারেথ বেলের প্রথম গোলে ডান পায়ে ক্রসটা করেছিলেন মার্সেলো। যদিও বেলের কাছে বল যাওয়ার আগে লিভারপুলের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগেই কিছুটা দিক পরিবর্তন হয়েছিল সেই ক্রসের। তবুও ম্যাচের ফল বলছে মার্সেলো স্বভাবসুলভ কাজটাই করেছেন ম্যাচজুড়ে।

    লুকা মদ্রিচ ৮
    রিয়ালের হয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। সালাহ মাঠ ছাড়ার পর মিডফিল্ডে বল পজেশন ধরে রেখেছিল রিয়াল। তাতে মদ্রিচের অবদান সবচেয়ে বেশি। তার আগ পর্যন্ত খুব একটা সাহায্য করতে পারেননি দলকে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ লিডে থাকা অবস্থায় মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন।

    টনি ক্রুস ৬
    শুরুটা ভালো হয়নি ক্রসের। লিভারপুলের প্রেসিং গেমে সুবিধা করতে পারেননি মোটেই। পরে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মদ্রিচের সঙ্গ দিয়েছেন অবশ্য ভালোভাবেই।

    ইস্কো ৪
    মাঠ ছাড়ার আগ পর্যন্ত নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে ফাঁকা বারে বল জড়াতে পারেননি। ইস্কো অবশ্য নিজেকে দুর্ভাগাই ভাবতে পারেন। বারপোস্টে লেগেছিল তার শট।

    বেনজেমা ৭
    লিভারপুলের গোলরক্ষকের দুর্বলতাটা ধরতে পেরেছেন সময়মতোই। ৫১ মিনিটে বেনজেমার বুদ্ধিদ্বীপ্ত কাজটাই বদলে দিয়েছে খেলার চেহারা।

     

    রোনালদো ৫

    বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানেও আটকে গেছেন। দলের জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন, সাধারণত এসব সুযোগ মিস করেননা রোনালদো। আজকে দিনটা কিছুটা খারাপ গেছে, যদিও শেষ পর্যন্ত আরও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। এর চেয়ে বেশি আর কিই বা চাইতে পারতেন রোনালদো?

    বদলি
    নাচো ফার্নান্দেজ ৭
    কারভাহালের অভাব পূরণ করতে পারেননি। তবে রক্ষণটা ভালোভাবেই সামলেছেন।  মানেকে সামলাতে হয়নি। নাচোর উইং দিয়ে তেমন আক্রমণই হয়নি পুরো ম্যাচে। মিলনার যে কয়বার চেষ্টা করেছিলেন, প্রতিবারই নিজের পজেশন ধরে রেখেছিলেন ঠিকমতোই।
    গ্যারেথ বেল ৯
    ৬১ মিনিটে মাঠে নেমে খেলাটা রিয়ালের পক্ষে নিয়ে গেছেন তিনিই। ওভারহেড কিকে করা গোলটা ঢুকে গেছে ইতিহাসেই। প্রথম গোলের আত্মবিশ্বাস পরের গোলে কাজে দিয়েছে। দূর থেকে নেওয়া শটটা প্রথম গোলের ধারাবাহিকতাতেই।  
    মার্কো আসেনসিও
    ৮৯ মিনিটে মাঠে নেমেছেন। তার আগেই অবশ্য খেলার ফল নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল।

     


     

    লিভারপুল

     


    লরিস ক্যারিয়াস ১
    লিভারপুলের গোলরক্ষকের পারফম্যান্সে কোনো নম্বর দেওয়াই আসলে কঠিন কাজ। ফাইনালে গোলরক্ষকের এমন খেলা শেষ কবে দেখেছেন? নিরপেক্ষ সমর্থক হয়ে থাকলে ক্যারিয়াসের সমালোচনার  
    চেয়ে তার জন্য বেশি মায়া হওয়ারই কথা।

    অ্যান্ড্রু রবার্টসন ৬
    রোনলাদোকে ওয়ান অন ওয়ান পরিস্থিতিতে গোলবঞ্চিত করেছেন। বিশ্বসেরা ডিফেন্ডাররা যে কাজটা পারেন না, সেটাই করেছিলেন। বেশকয়েকবার পজেশন হারিয়ে দলের ফর্মেশনেও ওলট পালট করে ফেলেছিলেন। গোলরক্ষকের ভুলে অবশ্য সবকিছুই ঢাকা পড়ে গেছে।

    ভার্জিল ভ্যান ডাইক ৭
    ৯০ মিনিট প্রায় নির্ভুলই খেলেছেন। কর্নার থেকেই আক্রমণে রিয়ালের বিপক্ষে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন। বেলের প্রথম গোলে অবশ্য তার কিছুই করার ছিল না। নিয়তির কাছে হার মেনেছিল শেষ পর্যন্ত।

    ড্যান লভ্রেন ৭
    যাকে নিয়ে লিভারপুলের সবচেয়ে বেশি ভয় ছিল তিনিই তাদেরকে ম্যাচে ফেরাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। তার হেড থেকেই গোলটা করেছেন সাদিও মানে। দুই-একবার যদিও বড়সড় ভুল করেও পার পেয়ে গেছেন। যদিও শেষরক্ষা করতে পারেননি।

    অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ড ৬

    কারভাহাল চলে যাওয়ার পর অনেকটাই কাজ সহজ হয়ে গিয়েছিল আর্নল্ডের। তবে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দলের আক্রমণে সাহায্যই করতে পারেননি।

    জর্ডান হেন্ডেরসন ৫
    শুরুটা দারুণ করেছিলেন। সময়ের সাথেই মিলিয়ে গেছে হেন্ডেরসনের পারফরম্যান্সের।

    জেমস মিলনার ৫
    বাঁ প্রান্ত দিয়ে বেশকয়েকবার দলের আক্রমণে সাহায্য করার সুযোগ এসেছিল। ভালো মানের ক্রস করতে পারেননি, রিয়ালের কাছ থেকে বল দখল  করতে পারেননি। যে কাজটা সেমিফাইনাল, কোয়ার্টারে করেছিলেন- সেটা আর বড়মঞ্চে পুর্নমঞ্চায়ন করতে পারেননি।

    জর্জিও ওয়ানাইল্ডাম ৬
    অ্যালেক্স অক্সলেড চেম্বারলেইন থাকলে হয়ত দলে জায়গাই হত না। তবে লিভারপুলের ৩ মিডফিল্ডারের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল। ভুলও করেছেন বাকিদের চেয়ে কম

    মোহাম্মদ সালাহ ৬
    সালাহর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ম্যাচেই তাকে দর্শক হয়ে যেতে হয়েছে আধঘন্টা পর। তার আগ পর্যন্ত রিয়ালের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েই গেছেন।

    রবার্তো ফিরমিনো ৫
    লোন স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও মিডফিল্ডে নেমে এসেই খেলছিলেন। ভালোই খেলছিলেন। তবে সালাহ চলে যাওয়ার পর তাকে মাঠে খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।  প্রথমার্ধে একবার ডিবক্সের ভেতর থেকে শট করার সুযোগ পেয়েও দেরি করে ফেলেছিলেন। ফাইনালের মতো ম্যাচে জিততে হলে তার কাছ থেকে আরও বড় পারফরম্যান্সই আশা করেছিল লিভারপুল।

    সাদিও মানে ৭
    গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন। পরে তার একটা শট বারপোস্টে না লাগলে হয়ত ম্যাচের ফলটাই আলাদা হতে পারত। সালাহ মাঠ ছাড়ার পর জায়গাও বদল করতে হয়েছিল।  সেই তুলনাই তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল।
      
    অ্যাডাম লালানা ৫
    এতো আগে ফাইনালে নামার সুযোগ পেয়ে যাবেন সেটা হয়ত নিজেই চিন্তা করেননি। হয়ত মন থেকেও চাননি। পুরোপুরি ফিট ছিলেন না। বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠতে পারেননি। বেশিরভাগ সময়ই মাঝমাঠে বিচরণ করেছেন।

    এমরে চান
    তিনিও পুরোপুরি ফিট না। ৮৩ মিনিটে মাঠে নেমে অলৌকিক কিছু করা হয়নি তারও।