• আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    "সবচেয়ে বেশি ফিক্সিংয়ের ঝুঁকিতে টেস্ট ক্রিকেট"

    "সবচেয়ে বেশি ফিক্সিংয়ের ঝুঁকিতে টেস্ট ক্রিকেট"    

    আল জাজিরার সেই তথ্যচিত্র নতুন করে ভাবাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলংকা; ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠেছে অনেকের দিকেই। এমন অবস্থায় আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন অকপটে স্বীকার করলেন, টেস্ট ক্রিকেটের ওপর ফিক্সিংয়ের কালো মেঘ ঘুরপাক খাচ্ছে। 

    ম্যাচ পাতানোর পাশাপাশি স্পট ফিক্সিং নিয়ে আইসিসির দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও অহরহ ঘটছে ফিক্সিংয়ের ঘটনা। এক পিএসএলেই গত বছর ফিক্সিংয়ের ঘটনায় নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের ৪ জন ক্রিকেটার।

     

     

    তবে আইসিসি সবচেয়ে বেশি চিন্তায় আছে টেস্টে বাজিকরদের হস্তক্ষেপের ওপর, জানালেন রিচার্ডসন, ‘টেস্ট ক্রিকেট অনেক বেশি ঝুঁকির মাঝে আছে। আইসিসি নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে ফিক্সিংয়ের মতো ঘটনা যেন না ঘটতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের মনোযোগ নিচের দিকে। জুনিয়র পর্যায়ের ক্রিকেট লিগ, মাঠের কিউরেটর ও কর্মকর্তা, সবাইকেই নজরদারিতে রাখতে হবে। আমরা জানি সমস্যাটা কোথায়। এই লড়াইটা প্রতিনিয়তই লড়তে হবে আমাদের।’

    কঠোর নিরাপত্তা থাকলেও কীভাবে ক্রিকেটারদের সাথে যোগাযোগ করছে বাজিকররা, সেটাই প্রশ্ন রিচার্ডসনের, ‘এত নিরাপত্তার পড়েও যদি ক্রিকেটাররা বাজিকরদের সাথে জড়িয়ে পড়ে সেটা অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার। বাজিকররা নিজেদের পরিধি দিন দিন বাড়াচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাদের প্রভাব কিছুটা চিন্তার বিষয়ই বটে।’

    ম্যাচ পাতানো নিয়ে বাজিকরদের ভিডিও প্রকাশ করলেও আইসিসিকে কোনো পোক্ত প্রমাণ দিতে পারেনি আল জাজিরা, নিশ্চিত করেছেন রিচার্ডসন, ‘এই মুহূর্তে তারা কোনো প্রমাণই দিতে পারেনি। কিন্তু যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরা তদন্ত করবো। যখন আপনার নিজের কর্মকর্তারাই ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িয়ে পড়বে, তখন সেটা দুশ্চিন্তার বিষয়। এখনই অবশ্য কোনো সিদ্ধান্তে আসা উচিত হবে না। তদন্তের পরই বোঝা যাবে আল জাজিরার দাবি সঠিক কিনা।’

    শ্রীলংকার গল স্টেডিয়ামের কিউরেটরের বিপক্ষে অভিযোগ উঠেছে ম্যাচ পাতানোর। এরই মাঝে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারও করেছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড। চেন্নাইয়ে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে তিন ইংলিশ ব্যাটসম্যানের দিকে। দোষী প্রমাণিত হলে কেউ ছাড় পাবে না বলেই হুশিয়ারি রিচার্ডসনের, ‘তারা ক্রিকেটার, গ্রাউন্ডসম্যানদের হাত করার চেষ্টা করছে। একটা কথাই বলতে চাই, তারা কিন্তু ফিক্সিং করার পড়েও নিজেদের জায়গাতেই কাজ করবেন। আমরা সবসময়ই চেষ্টা করে যাচ্ছি দোষীদের ধরে শাস্তি দেওয়ার।’