সৌদি আরবকে হারাতে ঘাম ঝরাতে হলো জার্মানিকে
লেভারকুসেনে প্রতিপক্ষ সৌদি আরব, র্যাংকিংয়ের দিক দিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দল। বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রীতি ম্যাচে জার্মানির না জেতার কোনো কারণই ছিল না। ৫ ম্যাচ পর প্রীতি ম্যাচে জিতেছেও জার্মানি, তবে কষ্টই করতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত। সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় দিয়ে বিশ্বকাপের মহড়া সেরেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০১৮ সালে এটাই জার্মানির প্রথম জয়।
ঘরের মাঠে জার্মানদের শুরু আর শেষের ভেতর ছিল বিস্তর ফারাক। দুই গোলে এগিয়ে থেকেও আরেকটু হলেই জয়টা হাত গলে বেরিয়ে যেতে পারত। ৯২ মিনিটে ইয়াসির আল সাহরানির ক্রস গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে হোনাস হেক্টর বাঁচিয়েছেন দলকে। এর আগে ৮৪ মিনিটে সমতায় ফেরে সৌদি আরব। পেনাল্টিতে থেকে ম্যাচে ফেরার সুযোগটা পেয়েছিল সৌদিরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যানুয়েল নয়্যারের জায়গায় নামা মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান ঠেকিয়েও দিয়েছিলেন আল সাহলাউইর স্পটকিক। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি, ফিরতি বলে জার্মানি গোল খেয়ে বসে আল জাসিমের কাছে।
অথচ ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়া জার্মানির কাজটা সহজ হতে পারত আরও। মেসুত ওজিল ছিলেন না, তার জায়গায় নেমেছিলেন মার্কো রইস। ২০১৩ সালের পর আজ প্রথম অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। টিমো ভার্নারের গোলে ডিবক্সের ভেতর বলটা পাঠিয়েছিলেন তিনিই। কিছুক্ষণ নিজেও রইস নিজেও পেতে পারতেন গোল, কিন্তু তার নেওয়া শট ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে। সৌদি আরব গোলরক্ষক আব্দুল্লাহ আল মুয়াফও বেশ কয়েকবার জার্মানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন প্রথমার্ধে। বল দখলের লড়াইয়ে অনুমিত ভাবে এগিয়ে ছিল জার্মানিই, তবে কাউন্টার অ্যাটাকে সৌদিরা বেশ কয়েকবার ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত নিজেদের ভুলেই আর প্রথমার্ধে সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। ৩৮ আর ৩৯ মিনিটে দুইবার দারুণ দুই সুযোগ পেয়েও ফাহাদ আল মুয়ালাদের বাজে ফিনিশের কারণে ম্যাচে ফেরা হয়নি সৌদির। উলটো ৪৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে জার্মানদের আধিপত্য বিস্তারের কাজটা সহজ করে দেয় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে রইসের জায়গায় নামা ইলকায় গুন্ডোয়ান সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ম্যাচের এক ঘন্টা পেরুনোর আগেই তিন গোলে এগিয়ে যেতে পারত জার্মানরা। পরে নামা মারিও গোমেজও পারেননি ব্যবধান বাড়াতে। শেষদিকে গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে থেকেও শটই করতে পারেননি জার্মান স্ট্রাইকার।
হারা ম্যাচ থেকেও তাই সৌদি আরবের পাওয়ার মতো আছে অনেক কিছুই। কিন্তু জার্মানির জন্য কি সেটা খানিকটা দুশ্চিন্তার বিষয়? অতীত অবশ্য বলছে অন্য কথা। প্রীতি ম্যাচে যেমনই হোক, বিশ্বকাপ মানেই তো জার্মানির ছুটে চলা!