• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    জিততেই পারলো না ফ্রান্স, স্পেনেরও কষ্টার্জিত জয়

    জিততেই পারলো না ফ্রান্স, স্পেনেরও কষ্টার্জিত জয়    

    কাগজে-কলমে বিশ্বকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল বলা যায় ফ্রান্সকে। প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে খেলারই সুযোগ পায়নি। তাই ঢেলে সাজানো হয়েছে দল। সেই আনকোরা দলের সঙ্গেই ঘরের মাঠে জেতা হয়নি ফ্রান্সের। রাশিয়ার বিমান ধরার আগে শেষ প্রীতি ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ফ্রান্স।

    গত মার্চে কলম্বিয়ার কাছে হারের পর সমর্থকেরা অসন্তোষ লুকাতে পারেননি। এরপর ইতালি আর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেও, দিদিয়ের দেশমের দল আটকে গেল শেষ ম্যাচে। এর কতখানি বিশ্বকাপে প্রভাব ফেলবে সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে জিব্রেইল সিদিবের আফসোসটা বোধ হয় থেকেই যাবে। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে তার ভুলেই গোল খেয়ে বসে ফ্রান্স। স্যামুয়েল উমতিতির সঙ্গে বোঝাপড়ায় ভুল ছিল, কিন্তু দোষটা সিদিবেরই বেশি। বল ক্লিয়ার করতে পারেননি ডিবক্সের ভেতর, সেখান থেকেই জুলিয়ান গ্রিন গোল করে এগিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রকে।

     



    অথচ লিঁওর মাঠে পুরো শক্তির দল নিয়েই মাঠে নেমেছিল ফ্রান্স। কয়েকদিন পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও হয়ত খুব বেশি বদল হবে না এই একাদশের। এমবাপ্পে, গ্রিযমান তো ছিলেনই, সঙ্গে ছিলেন অলিভিয়ের জিরুও। সেই দল নিয়েই গোল পেতে ঘাম ছুটে যাচ্ছিল ফ্রান্সের। প্রথমার্ধে গোলের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন পল পগবা, ফিরেছেন বারপোস্টে বাধা পেয়ে। আঁতোয়া গ্রিজমান, কিলিয়ান এমবাপ্পেরাও ডিবক্সের বাইরে থেকে শট করেছিলেন, তাতে দর্শকেরা আশা দেখেছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র গোলরক্ষকের তেমন একটা অসুবিধা হয়নি। দুইজনের শটই গেছে বাইরে দিয়ে।

    দ্বিতীয়ার্ধের মিনিট দশেক পেরুনোর পর অলিভিয়ের জিরু মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়লে তার জায়গায় নামেন উসমান ডেম্বেলে। বদলি ফ্রান্সের খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছেন, হয়ত জয়টাও এনে দিতে পারতেন। যদি না ৯৩ মিনিটে সমতায় থাকা ম্যাচে নাবিল ফেকির আর ডেম্বেলের পরপর দুইটি শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে না দিতেন। অবশ্য এর আগে ডেম্বেলের চেয়ে নাবিল ফেকিরই ছিলেন বেশি উজ্জ্বল। লিভারপুলে যাওয়া হচ্ছে না ফেকিরের, কিন্তু ঘরের মাঠে ক্লাব অধিনায়ক সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়েছেন পুরোটাই। প্রতিদান দিয়েছেন ফ্রান্সের গোলে অবদান রেখে। ডিবক্সের বাইরে থেকে ফেকিরের পাস থেকে পাভার্দ ক্রস করেছিলেন ডিবক্সের ভেতর। সিদিবের জায়গায় নামা পাভার্দের ওই ক্রসই পরে গোলে পরিণত হয়েছে। ৭৮ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন দলকে।  এর দুই মিনিট পর ফেকিরের দারুণ একটা ফ্রি কিক গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন, না হলে দুই মিনিটেই ম্যাচের ভাগ্য বদলে যেতে পারত।

    ফ্রান্স না পারলেও অবশ্য স্পেন তাদের শেষ প্রীতি ম্যাচে জিতেছে। রাশিয়ায় স্পেনের প্রতিপক্ষ ছিল তিউনিসিয়া। তবে বিশ্বকাপের মহড়া ঠিক মনমতো হয়নি হুলেন লোপেতিগর দলের। স্পেনের শুরুটাই ছিল নড়বড়ে। প্রথম ১৫ মিনিটে দুইবার এগিয়ে যেতে পারত তিউনিসিয়া। আর প্রথমার্ধে অন্ততপক্ষে আধ ডজন সুযোগ পেয়েও স্পেনের জালে বল জড়ানো হয় তাদের। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য স্পেন ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ডেভিড সিলভা দুইবার শট করেছিলেন ডিবক্সের ভেতর থেকে। অবশ্য কোনোবারই লক্ষ্যে শট করতে পারেননি। পরে দুই বদলি ডিয়েগো কস্তা আর ইয়াগো আসপাস মিলে জিতিয়েছেন দলকে। ৮৫ মিনিটে প্রথম শট করেছিলেন কস্তা, গোলরক্ষক এগিয়ে গিয়ে প্রতিরোধও করেছিলেন। কিন্তু সেটাই তার জন্য কাল হয়েছে। ফিরতি শটে আসপাস গোল করে লা ফুরিয়া রোহাদের জিতিয়ে দিয়েছেন।