রাশিয়া মাতাবে চামচের বাদ্যযন্ত্র
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ছিল ভুভুজেলাময়। আফ্রিকার বিশেষ এই বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজে মুখর ছিল ২০১০ বিশ্বকাপের সব ভেন্যু। রাশিয়ানরাও নেচে গেয়ে মাতিয়ে রাখবে এবারের বিশ্বকাপ। তবে আফ্রিকানদের মতো বাদ্যযন্ত্র দিয়ে নয়, তাদের হাতে থাকবে চামচ!
না ভুল শোনেননি। রাশিয়ান দর্শক এবার স্টেডিয়ামে উপস্থিত হবে চামচ হাতেই। রাশিয়ার লোকো সঙ্গীতের একটি জনপ্রিয় ধারা হচ্ছে চামচের সঙ্গীত। দুটি কাঠের চামচ সামনে রেখে আরেকটি চামচ দিয়ে সেটায় আঘাত করে সুর তোলা হয়। গত কয়েক বছরে এই ‘চামচ সঙ্গীতের’ জনপ্রিয়তা বেড়েছে অনেক গুণে। রাশিয়ানরা তাই চায়, বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নিজেদের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।
‘লজকাস’ নামে পরিচিত এই সঙ্গীত পরিবেশনার জন্য বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তৈরি হচ্ছে বিশেষ চামচ। চামচ তৈরির কারিগর রুস্তম নুমানোভ জানাচ্ছেন, সব দেশের দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে চান তার তৈরি চামচ, ‘আমরা এমন একটা বাদ্যযন্ত্র নির্বাচন করেছি, যা রাশিয়ান সঙ্গীতের প্রতীক। এটার আওয়াজ ভুভুজেলার মতো খুব বেশি নয়, দর্শকের হাততালিও চাপা পড়বে না এর আড়ালে। সবাই যেন এটা বাজাতে পারে, এজন্য দক্ষ কিছু লোকও থাকবে প্রতিটা ভেন্যুতে।’
‘স্পুন অফ ভিক্টরি’ নামের এই বাদ্যযন্ত্র কতটা মাতিয়ে রাখবে রাশিয়া বিশ্বকাপ, সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৪ জুন পর্যন্ত।