• " />

     

    "রশিদকে বলের বিচারে খেললে ফল ভিন্ন হতো"

    "রশিদকে বলের বিচারে খেললে ফল ভিন্ন হতো"    

    সিরিজের আগে আলোচনায় ছিলেন, সিরিজজুড়ে আলোচনায় ছিলেন, রশিদ খান আলোচনায় আছেন সিরিজশেষেও। এবার বাংলাদেশ অলরাউন্ডার আরিফুল হক বলছেন, রশিদ খানের নাম বিচার না করে তার বল ধরে ধরে খেললেই ফলটা ভিন্ন হতো। 

    তিন ম্যাচে মাত্র ৪৯ রান খরচ করে রশিদ নিয়েছেন ৮টি উইকেট, যে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে জয়ের সবচেয়ে কাছে গিয়েছিল বাংলাদেশ, আট রানের সম্বল নিয়ে শেষ ওভারে আটকে দিয়েছিলেন রশিদই। শেষ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল, আরিফুলের শটটা বাউন্ডারি থেকে ফিরিয়েছিলেন শফিকউল্লাহ। 

    “তবু আমার কোনও আক্ষেপ নেই, ম্যাচ জেতানোর এতো বড় একটা সুযোগ পাওয়ার পরও”, আরিফুল বলছেন, “জাতীয় দলের হয়ে আমি মাত্র তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছি। আমি যদি জেতাতে পারতাম, তাহলে এই ম্যাচের স্মৃতি মৃত্যু পর্যন্ত মনে রাখতাম। তবে আমার দুর্ভাগ্য, আমি করতে পারিনি।” 

    “সত্যি বলতে কী, আমার বিশ্বাস ছিল আমি ম্যাচটা জেতাতে পারব। ক্রিজে যাওয়ার পরই ব্যাটিং শুরু করে দিয়েছি, তিনটি বল খেলতে হয়েছে। শেষ বলটা বাঁচা-মরার লড়াই ছিল, চার বা ছয় মারতেই হতো। রিয়াদ ভাই শুধু বল দেখতে বলেছিলেন, বেশি চিন্তা না করে মারতে বলেছিলেন। খ্যাতি পাওয়ার জন্য দারুণ সুযোগ ছিল, মেরেছিলামও বলটা। তবে ভাগ্য ছিল না। ক্রিকেট তো মাঝে মাঝে ভাগ্যের ব্যাপারও।” 

     

     

    বলটা মেরেছিলেন রশিদকেই। ভাগ্যটাও রশিদের পক্ষেই যাচ্ছে বলে ধারণা আরিফুলের, “আমার মনে হয়, আমরা রশিদকে নামের বিচারে খেলছি। যদি বলের বিচারে খেলতাম, ফল ভিন্ন হতো। আদতে ব্যাপারটা হচ্ছে, সময় যখন কারও পক্ষে যায়, তাহলে কিছু করার থাকে না। তার সময়টা খুব ভাল যাচ্ছে। এমন সময় মুত্তিয়া মুরালিধরন, সুনিল নারাইন, অজন্তা মেন্ডিসদেরও গেছে। এখন আমরা তাকে জানতে পেরেছি, তাকে খেলা এখন খুব বেশি কঠিন হবে না।” 

    নিজের সামনে পথটা কঠিন কিনা, সেসব না ভেবে আরিফুল ব্যক্ত করছেন নিজের আশা, “আমি সব ফরম্যাটেই খেলতে চাই। এখন লাল বলে প্রস্তুতি নিচ্ছি, টেস্টের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা টেস্ট খেলব। আমার মনে হয় না, খুব কঠিন হবে। আমরা যদি ফিরে আসতে পারি (আফগানিস্তান সিরিজের ফল থেকে), তাহলে পুরো সিরিজটা সব মিলিয়ে আমাদের জন্য ভালই হবে।”