দায়িত্বটা জানেন বলেই না বলেননি হিয়েরো
কখনোই কোনো বড় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেননি। সেই ফার্নান্দো হিয়েরো কোচ হয়ে গেছেন স্পেনের, তার চেয়েও বড় কথা বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র এক দিন আগে। স্পেন দল এই ধাক্কা সামলে কতটা কী করতে পারবে, সেটা নিয়ে অনেকেই এখন সংশয়ে। তবে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হিয়েরো জোর দিয়েই বললেন, দলের সবাই এককাট্টা আছে, বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে এসব কোনো প্রভাব ফেলবে না। আর দুই দিনে তেমন কিছুই বদলাবে না, স্বীকার করে নিলেন এই বাস্তবতাও।
হুলেন লোপেতেগিকে প্রায় বিনা মেঘে বজ্র্বপাতের মতো বরখাস্ত করে দেওয়ার পর স্পেন ফুটবলে একটা ভূমিকম্পই হয়ে গেছে। স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিয়েরোর ওপরেই এসেছে দায়িত্ব। স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যম জানাচ্ছে, হিয়েরো নিজেই ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট রুবিয়ালেসকে অনুরোধ করেছিলেন যেন লোপেতেগিকে ছাঁটাই না করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। কিন্তু হিয়েরো নিজে কতটা প্রস্তুত? সাবেক এই ডিফেন্ডার নিজের দায়িত্ববোধকেই দেখছেন বড় করে, ‘যখন প্রেসিডেন্ট আমাকে কাজটা নেওয়ার জন্য বললেন চাইলে আমি না বলতে পারতাম, এড়িয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু এখানে শুধু আমি নই, আরও অনেকে জড়িত। এটা একটা দেশের ব্যাপার। আমি আমার দায়িত্ববোধ বুঝি, না বলতে পারিনি।’
কিন্তু এই সময় এসে কাজটা নেওয়া কতটা কঠিন? দুই দিন পরেই পর্তুগালের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ, এমন সময় হিয়েরো কতটা কী করতে পারবেন? কথা বললেন বিচক্ষণের মতোই, ‘এতোদিন ধরে যা হয়েছে সেটা তো আপনি দুই দিনে করতে পারবেন না। আমরা জানি, খেলা খুব কাছে। আমাদের আগে যেটা করা হয়েছে, সেটাই অনুসরণ করতে হবে। এখন আর কোনো কিছু বদলানোর সময় নয়।’
কিন্তু কোচিং অভিজ্ঞতা বলতে এক বছর শুধু দ্বিতীয় বিভাগের দলের দায়িত্ব পালন করা, সেটাও আবার মধুর হয়নি। কাজটা কতটা কঠিন? হিয়েরো মনে করিয়ে দিলেন, ‘আমি এক বছর কোচ ছিলাম, আর এক বছর সহকারী। তবে ফুটবলের সঙ্গে আমি ৩০ বছর ধরে জড়িয়ে আছি। ’
বিশ্বকাপে স্পেনকে ফেবারিট হিসেবেই ভাবা হচ্ছিল। হিয়েরো জোর দিয়েই বললেন, স্পেন সেই লক্ষ্যেই এগুবে, ‘আমি আপাতত ম্যাচ প্রতি ম্যাচ চিন্তা করছি। এখন আগে যা হয়েছে সেসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ জেতা, সেটার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের পরিণত আচরণ করতে হবে। ’