শেষ সময়েই ভাগ্য খুলে গেল ইরানের
এই বিশ্বকাপে কি শেষ মুহুর্তের গোলেই ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে? অন্তিম সময়ে মিশরের স্বপ্নভঙ্গের পর আরেক আফ্রিকান দেশের মরক্কোরও কপাল পুড়ল শেষ সময়ে। আর তাতেই ভাগ্য খুলে গেল ইরানের। ১-০ গোলের জয় পেয়েছে ইরান, ২০১০ সালের পর এশিয়ার কোনো দেশের এটা বিশ্বকাপে প্রথম জয়। আর ১৯৯৮ সালের পর এটা বিশ্বকাপেই ইরানের মাত্র দ্বিতীয় জয়।
সেজন্য ইরান মরক্কোর বদলি খেলোয়াড় আজিজ বোহাদ্দুজকে একটা ধন্যবাদ দিতে পারে। ম্যাচটা যখন নিস্ফলা ড্রতেই শেষ হবে মনে হচ্ছিল, বাঁ দিক থেকে একটা ক্রস করল ইরান। ক্লিয়ার করতে গিয়ে তা নিজের জালে জড়িয়ে দিলেন বোহাদ্দুজ, মরক্কোর খেলোয়াড়েরা তখন বিহবল। আর যে ম্যাচে গোল মনে হচ্ছিল সোনার হরিণ, সেখানে ইরান পেয়ে গেল ভাগ্যপ্রসূত একটা জয়।
অথচ মরক্কো যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে শুরুতে তাদের গোল মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ৪ মিনিটে মরক্কোর ইউনুস বেলহান্দার হেড বার উঁচিয়ে চলে যায়। ৮ মিনিটে আফ্রিকান দেশটির আয়ুব এল কাবির শট একটুর জন্য চলে যায় পোস্টের পাশ ঘেঁষে। ১০ মিনিটের মাথায় মরক্কো এগিয়ে যেতে পারত দুবার।
১৯ মিনিটে প্রথম গোলটা পেতে পেতেও পেল না মরক্কো। বক্সের ভেতর শট নিয়েছিলেন মরক্কোর ইউনুস বেলাহান্দা। ইরান ডিফেন্ডার তা ফিরিয়ে দেওয়ার পর এসে পড়ে মেদহি বেনাতিয়ার পায়ে। সেটা আবার ঠেকিয়ে দেন ইরান গোলরক্ষক।
তবে ৪৩ মিনিটে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগ পেয়েছিলেন ইরানের সরদার আজমুন। দুর্দান্ত এক প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বক্সে। কিন্তু মরক্কো গোলরক্ষক মুনির সেটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুই দল খেলতে থাকে সতর্কতার সাথে। এই অর্ধে ইরান একটু গুছিয়ে খেলতে শুরু করে। মরক্কোর বল পজিশনও একটু কমে। তবে গোলের পরিষ্কার সুযোগ পাচ্ছিল না কেউই। শেষ পর্যন্ত ৮০ মিনিটে এসে খুব কাছাকাছি গিয়েছিল মরক্কো। হাকিম জিয়েশের দূর থেকে নেওয়া ভলি দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন ইরান গোলরক্ষক। এই অর্ধে পরিষ্কার সুযোগ পায়নি কেউই, ইরানের তো গোলে কোনো শটই ছিল না। ম্যাচটা যখন ড্রতে শেষ হতে যাচ্ছে, তখনই নাটক। আর তাতেই ইরান পেল দারুণ একটা জয়।