• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    প্রযুক্তির 'হাতে' কষ্টের জয় পেল ফ্রান্স

    প্রযুক্তির 'হাতে' কষ্টের জয় পেল ফ্রান্স    

    ফুটবলে যদি প্রযুক্তি না থাকত তাহলে কী হতো? আজকের ম্যাচে তখন ফ্রান্সের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ১-০ গোলের জয়টাই লিখতে হতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারি ও গোললাইন প্রযুক্তির কল্যাণে ভাগ্য খুলে গেছে ফ্রান্সের। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ২-১ গোলের কষ্টার্জিত জয়ে অবশ্য তারা বার্তা পেয়েছে, এমন খেলা দিয়ে বিশ্বকাপে বড় কিছু করা খুবই কঠিন।

     

     

    বলতে গেলে পুরো ম্যাচে ফ্রান্স নিজেদের খুঁজেই পায়নি। দেশমের ৪-৩-৩ ফর্মেশনে মনে হচ্ছিল কী করতে হবে ফুটবলাররা নিজেরাই জানেন না। গ্রিজমানকে মাঝে গেলে এমবাপে-ডেম্বেলে প্রান্তবদল করছিলেন, কিন্তু সমন্বয় ছিল না বলতে গেলে। মধ্যমাঠে কান্তে ছাড়া তুলিসো ও পগবাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রথমার্ধে লরিস অমন দারুণ সেভ না করলে এগিয়ে যেতে পারত ফ্রান্সই।

    শেষ পর্যন্ত অবশ্য পগবা নিজেকে ফিরে পেতেই ভাগ্য খুলে গেল ফ্রান্সের। ৫৭ মিনিটে পগবা প্রথমবারের মতো দারুণ একটা বল বাড়ালেন। গ্রিজমান সেটা ধরতে গিয়ে পড়ে গেলেন, শুরুতে রেফারি পেনাল্টির বাঁশিও বাজাননি। মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার রিসডন বলেই পা লাগিয়েছেন। কিন্তু ভিডিও রিভিউ করার পর রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। গ্রিজমান পেলেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল, ফ্রান্সও এগিয়ে গেল।  রিপ্লে দেখেও অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি, সেটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল কি না।

    পাঁচ মিনিট পরেই পেনাল্টি পেয়ে ম্যাচে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন মুইয়ের ফ্রিকিকটা বক্সে উড়ে আসার পর সেটা কোনো এক বিচিত্র কারণে হাত বাড়িয়ে ঠেকাতে গিয়েছিলেন উমতিতি। এবার আর বাঁশি বাজাতে ইতস্তত করেননি রেফারি, জেদিনাকের পেনাল্টি থেকে সমতায় ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া।  

    এরপরেই গ্রিজমান ও ডেম্বেলের বদলে জিরু ও ফেকির ওঠেন মাঠে। ফ্রান্সও অবশ্য তারপরও গুছিয়ে খেলতে পারছিল না একদমই, অস্ট্রেলিয়া রক্ষণ ছিল নিরেট। শেষ পর্যন্ত ৮১ মিনিটে ভাগ্যগুণেই পেয়ে যায় তা। জিরুর সঙ্গে দারুণ ওয়ান টু খেলে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন পগবা, তাঁর প্রথম বারেই নেওয়া শট বেহিচের পায়ে লেগে চুমু খায় ক্রসবারে, ফিরেও আসে জালে না জড়িয়ে। খানিকক্ষণের মধ্যে রেফারি বাঁশি বাজান গোলের, দেখা যায় বল লাইনের শুধু ৩ সেন্টিমিটার ওদিকে পড়েছে। সেটা অবশ্য হয়েছে বেহিচের আত্মঘাতী গোলই। সেই ২-১ গোলেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। তবে পেছনে রেখে গেছে অনেক বিতর্ক।

    ফ্রান্স একাদশঃ লরিস, ভারানে, উমতিতি, হার্নান্দেজ, পার্ভার্দ, কান্তে,  পগবা, তোলিসো, ডেম্বেলে, এমবাপে, গ্রিজমান

    অস্ট্রেলিয়া একাদশঃ রায়ান, রিসডন, মিলিগান, সেইন্সবুরি, বেহিচ, জেডিনাক।, মুই, ক্রুস, লেকি, রজিচ, নাবুট